নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ৮৫ ব্যাচের দখলে চলে গেছে। ৮২ ব্যাচের অধিকাংশ কর্মকর্তা অবসরে গেছেন। এখন যারা বাকি আছেন তাদের মধ্যে আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এবং সংসদ বিষয়ক সচিব ড. জাফর আহমেদ খানসহ অল্প কয়েকজন আছেন ৮২ ব্যাচ থেকে। এদের সবার চাকরির মেয়াদ এ বছর শেষ হবে। এদের মধ্যে ড. জাফর আহমেদ খানের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৭ জুলাই, আর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ডিসেম্বরে। তার মাধ্যমে প্রশাসনে ৮২ ব্যাচের রাজত্বের অবসান হবে।
এরপর আছে বিশেষ ব্যাচ ৮৩, ব্যাচ ৮৪ এবং ৮৫ ব্যাচ। ৮৩ ব্যাচের অধিকাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই অবসরে চলে যাচ্ছেন। এই ব্যাচের উল্লেখ করার মতো আছেন স্থানীয় সরকার সচিব এস এম গোলাম ফারুক, তিনিও ৩১ মে অবসরে যাচ্ছেন। ৮৪ ব্যাচেরই সচিব এখন সবচেয়ে বেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগসহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ের সচিব আছেন ৮৪ ব্যাচের। এছাড়া চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে আছেন তথ্যসচিব আব্দুল মালেক। কিন্তু ক্রমশঃ ৮৪ ব্যাচকে কোনঠাসা করে প্রশাসনের নেতৃত্ব নিচ্ছে ৮৫ ব্যাচ।
এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সচিব পদ এখন ৮৫ ব্যাচের দখলে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকজন সচিব অবসরে যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ এবং শ্রম কল্যাণ সচিব আফরোজা খান। খালি হওয়া এই পদগুলোর সবই ৮৫ ব্যাচের দখলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ভার ৮৫ ব্যাচের দখলেই চলে যাবে।
৮৫ ব্যঅচের আধিপত্যের বড় প্রমান হলো জনপ্রশাসন সচিব। এই পদটি সাধারণত: সিনিয়র একজন সচিবকে দেওয়া হয়। কিন্তু ৮২ ব্যাচের ডা. মোজাম্মেল হোসেন স্বেচ্ছা অবসরে যাবার পর এই পদটি দেওয়া হয় ৮৫ ব্যাচে। এরপর থেকেই ৮৫ ব্যাচের আধিপত্য যুগের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবও ৮৫ ব্যাচের হওয়ার কারণে এখন সচিব পদোন্নতিতে ৮৫ ব্যাচই প্রধান্য পাচ্ছেন। ৮৪ ব্যাচের অনেক ভালো এবং দক্ষ কর্মকর্তা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে অবসরের প্রহর গুনছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।