নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৯
আগামীকাল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তার ধারাবাহিকতায় কূটনীতিকদের সঙ্গে এই চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। চা চক্রে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব বিজয়ের পর সারাবিশ্ব থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়েছিল। অভিনন্দন জানানো হয়েছিল। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে জান। বিভিন্ন দেশ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে, পর্যবেক্ষণ শেষে সফল ও সুন্দর হয়েছে বলে তারা মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। চা চক্রের ফাঁকে ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী ৫ বছরে তিনি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান সে ব্যাপারেও তিনি কথাবার্তা বলবেন।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেছেন। কূটনীতিকরা যেন বিরাধীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয় সেজন্যই এই বৈঠক বলে একাধিক কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, এটা নিতান্তই চা চক্র। এখানে সিরিয়াস কোন আলোচনা হবে না। যেহেতু গত ১০ বছর দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহল থেকে আমরা বিপুল পরিমাণ সমর্থন-সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা সারা বিশ্ব থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সব কূটনীতিকদের সঙ্গে মিলিত হবেন, তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এটা একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকার এবং আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জানানো।
ড. গওহর রিজভী আরও বলেন যে, গত নির্বাচনের সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসের যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিল প্রধানমন্ত্রী তার অবসান ঘটিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারটি কূটনৈতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এটাতে সারা বিশ্ব বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করছে এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো জরুরি ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত শ্রেণী-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন। তাদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় যে সমস্ত কূটনীতিক বাংলাদেশে অবস্থান করে নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছেন এবং নির্বাচনের পর সরকারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদেরকে আপ্যায়ন করা হবে। তৃতীয় দফায় আগামী ২ ফেব্রুয়ারি যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সঙ্গে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এ প্রসঙ্গে ড. গওহর রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করতে চাইছেন। সেজন্য তিনি সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশকে নতুনভাবে এগিয়ে নিতে চান। কূটনীতিকদের সঙ্গে চা চক্র তেমনি একটি উদ্যোগের অংশ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।