ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে বিপর্যয়ে পড়তে পারে আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে বিপদ দেখছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের জরিপে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক কোন্দল রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন উম্মুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছেন। এরফলে শুধুমাত্র একজনকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতীক দেওয়া হবে এবং যারা মনোনয়ন পাবে না তাঁরা যদি ইচ্ছে করে তাহলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের মাঠ জরিপে বলা হচ্ছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটা হবে দলের জন্য বিপর্যয়কর। কারণ প্রতিটা নির্বাচনী এলাকায় নূন্যতম তিন থেকে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগকে শুধু বিভক্তই করবে না, আওয়ামী লীগকে হারানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে।

অন্যদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে তাঁরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না কিন্তু বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি এবং জামাত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জানা গেছে। সেই সমঝোতা অনুযায়ী ১০০ টি উপজেলা বিএনপি জামাতকে ছেড়ে দিবে। জামাতের প্রার্থীরা সেখানে এককভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবে। বাকী ৩৮৯ টি উপজেলায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায়ে তাদেরকে বার্তা দেওয়া হবে যে, তাঁরা যেন ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিএনপি এবং জামাত যদি এরকম পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এবং আওয়ামী লীগ যদি প্রার্থী উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বড় ধরণের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। এজন্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রার্থী উন্মুক্ত করে দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। উপজেলা নির্বাচন যেহেতু একটি স্থানীয় নির্বাচন, সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ের লোকজন এখানে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই নির্বাচনে প্রচুর স্বতন্ত্র প্রার্থী পাওয়া যাবে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী করার ক্ষেত্রে মত দিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

অবশ্য আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলও মনে করছেন যে, শেষ পর্যন্ত যদি প্রার্থিতা উন্মুক্ত করা হয় তাহলে উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগে যে বিভক্তি তৈরি হবে সেই বিভক্তি পরবর্তীতে কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হবে। এজন্য  আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাঁরা কোনো প্রার্থী দেবে না। এটা উন্মুক্ত হবে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যাপারে একক প্রার্থী এবং দলের নেতারা যদি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন , ‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা করিনি। তবে দলের শৃঙ্খলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলে বা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করে তবে সেটা অবশ্যই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে পড়বে। যেটাকে আমরা বরদাস্ত করবো না।‘

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং আওয়ামী লীগের মাঠ জরিপের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অন্যচিন্তা করছে। শেষপর্যন্ত উন্মুক্তভাবে প্রার্থিতা না দিয়ে একক প্রার্থিতা দেওয়া হবে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই খারাপ ফলাফল করতে পারেনা। কারণ আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধাকরা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনে বিরাট সাফল্যের পর উপজেলা নির্বাচনে বিপর্যয় ভিন্নরকম বার্তা দিবে। বিশেষ করে যখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিএনপি এবং বিভিন্ন মহল।

বাংলা ইনসাইডার/এসআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বহিষ্কৃত হয়েও ভোটে অটল বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রায় দেড়শ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। যারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কার করে বিএনপি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৮০ জনকে বহিষ্কারের পর শনিবার (৪ মে) দ্বিতীয় দফায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তবে দলের পদ হারালেও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে হারতে চান না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আশা-নিরাশার দোলাচলেও রয়েছেন। কারণ জয়ী না হলে দুকূলই হারাতে হবে তাদের।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে সরকার। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল; ভেবেছিলেন বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে পারবে; কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে (সংসদ) ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না।’

দলটি থেকে বহিস্কৃত কয়েক নেতা জানান, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ এবং দ্বিধান্বিত। তা ছাড়া এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বিএনপি সুবিধা করতে পারত।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই অধিকাংশ নেতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; কিন্তু বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রমিজ উদ্দিন (লন্ডনি) বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালোই আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী; কিন্তু বিএনপি তো আমাদের বহিষ্কার করেছে।’

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাবর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছি। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো। আশা করছি জয়ী হব।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি।’

শেরপুরের নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুকশেদুল হক শিপলু বলেন, ‘১১ বছর কারাগারে ছিলাম। এখনো ঠিকমতো বাড়িঘরে থাকতে পারি না। এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভোটের মাঠে আছি, থাকব।’

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তবে ভুল স্বীকার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদকে দলে ফেরানো হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। সবমিলিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় দেড়শ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এমন পরিস্থিতেও তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তারা এলাকায় প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। ফলে চার দফার উপজেলা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা তিন শতাধিক হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন আমরা তাদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ ও বৈঠক করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে দল এখন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা লোভী। তারা দেশ, দল ও জাতির শত্রু। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এ ধরনের সুবিধাবাদীদের দলে আর স্থান দেওয়া হবে না। তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে যারা বহিষ্কৃত হলেন তারা হল..

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলার রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও আব্দুর রহিম, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মো. হযরত আলী, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রিয়াদ আরফান সরকার রানা, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ফিরোজা বেগম সোনা, বীরগঞ্জ উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম রীজু ও মামুনুর রহমান মামুন, গাইবান্ধায় শিল্পী খাতুন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার মমতাজ বেগম, নাটোরের লালপুরের ভিপি আরিফ, বাগাতিপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জিয়াউর রহমান ও নাসরিন পারভিন মুক্তি, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুলফিকার আলী ভুট্টো, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইন্দোনেশিয়া শিতু, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান, খুলনার দীঘলিয়ায় এনামুল হক মাসুম, ফুলতলা উপজেলার সাব্বির আহমেদ রানা, বরগুনা সদর উপজেলার অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সানাউল্লাহ সানি ও জয়নুল আবেদীন রাফি মোল্লা, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মো. আব্দুল মান্নান ও খন্দকার লিয়াকত হোসেন, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান রবিন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও তাসলিমা জেসমিন পাপিয়া, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মাহবুবুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার, রাজবাড়ী সদর উপজেলার শাহিনুর আক্তার বিউটি, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আসাদ মাতব্বর, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার হোসাইন নুর মোহাম্মদ আনির, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোকসানা বেগম, শেরপুরের নকলা উপজেলার মোকসেদুল হক শিপলু, রেজাউল করিম, দেওয়ান মামুন ও দেওয়ান কোহিনুর, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলার আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হারুনুর রশিদ দুলাল, মোহন মিয়া বাচ্চু ও মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলায় নুরুল হক আফিন্দি ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছাদ উদ্দীন সাদ্দাম ও পলিনা রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা শাহ আলম স্বপন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাওলানা আব্দুল হেকিম, রাজনগর উপজেলার ডলি বেগম, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান সেফু ও আব্দুল আলিম ইয়াছিন, নোয়খালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবু বক্কর সিদ্দীকি রুবেল, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাফায়েত আজিজ রাজু, বান্দরবানের লামা উপজেলার জাকের হোসেন মজুমদার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কামাল উদ্দীন, হামিদা চৌধুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আবু সুফিয়ান রানা ও রাবেয়া আক্তার রুবি।


বহিষ্কৃত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হবে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে। তারেক জিয়ার এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। হেভীওয়েট নেতারা বলছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং ঢালাওভাবে এধরনের সিদ্ধান্ত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরকে দলের সিনিয়র নেতারা আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি তারা দেখবেন। আর এই আশ্বাসের কারণেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন না। তারা বুঝতে পেরেছেন এ সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করা হবে পুর্নমূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরাও তারেকের ওপর বিরক্ত

প্রথম দফায় বিএনপির ৬৩ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর তৃতীয় দফায় বিএনপির ৬৮ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে যেমন বিএনপি নেতাদের হুমকির পর পরই প্রার্থীরা তাদের মনোন য়ন প্রত্যাহার করেন, এবার তা হচ্ছে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করেই উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভক্তি। বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচন তাদের মধ্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় সহজ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই কারণেই দলের নির্দেশনা অমান্য করছেন।

আবার কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তা থেকে নির্বাচন করছেন। তারা মনে করছেন যে, একের পর এক নির্বাচন বর্জনের কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, সংগঠন দূর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায় যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে যাওয়া যাবে। দল সংগঠতিত করার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর এই সুযোগ সৃষ্টি করতেই তারা উপজেলা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

বিভিন্ন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, যখন তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে তখনই তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাবী করেছেনে, তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের প্রতি নমনীয় এবং সহানুভূতিশীল বলে দাবী করেছেন অন্তত ৩ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানো প্রার্থী। দলের মহাসচিব তাদেরকে বলেছেন, ঠিক আছে, নির্বাচন করে জিতে আসুন তারপর দেখা যাবে।

আরও পড়ুন:  খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

অন্যদিকে কয়েকজন নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, রুহুল কবির রিজভী তাদেরকে মোটেও উৎসাহিত করেননি। কয়েকজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা দুজনই তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেন। যদি তারা মনে করেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে অনেক নেতাকে।

আর একারনেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থীরা সড়ে যাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনে যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।  


বিএনপি   তারেক রহমান   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   রুহুল কবির রিজভি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন