নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে নবনির্বাচিত এমপিদের লড়াই শুরু হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিরা কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না এবং তাদের কোন মতামতও নেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ থেকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিলে প্রতিটি উপজেলায় জনপ্রিয় তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম স্থানীয় সরকার মনোনয়ন কমিটিকে দেয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় এমপিরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চাচ্ছেন। তারা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইতিমধ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এরকম অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের নির্দেশনা সুস্পষ্ট। এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা পালন করতে পারবে না। তারপরও যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে বিষয়টা আমরা দেখবো এবং এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
কিন্তু ওবায়দুল কাদের যা-ই বলুন না কেন এমপিরা দায়িত্ব গ্রহণ করেই এ ব্যাপারে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। বেশ কিছু জেলা ও উপজেলা থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে। হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অথবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে বাগে এনে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে এমপিরা। এর ফলে তারা বসে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্তের সময় এমপিদের তালিকাই চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে প্রার্থীদের নাম তারা দেবেন তারাই চূড়ান্ত হবে না। আমাদের সারাদেশে জরিপ আছে। জরিপের পরই এটা চূড়ান্ত হবে।
উল্লেখ্য, গতবারও উপজেলা নির্বাচনের সময় এমপিরা উপজেলার প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। যেসব উপজেলায় এমপিদের শক্তিশালী ভূমিকা ছিল না সেসব উপজেলায় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মধ্যে কর্তৃত্বের লড়াই শুরু হয়েছিল। এবারও উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় এমপিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।