নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিএনপি থেকে নেতাকর্মীদের অন্যদলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাশা বিরাজ করছে। এ হতাশার সুস্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে। গত এক সপ্তাহে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী অন্য দলে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কৌশলগত কারণে এসব দলত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসছে না। এসব নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে এ ব্যাপার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সারাদেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পর্যায়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুমতি ছাড়া দলের স্থানীয় পর্যায়ে অন্য দল থেকে আগত কোন নেতাকর্মীকে দলে নেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের বিধিনিষেধ থাকলেও বিএনপির বহুসংখ্যক নেতাকর্মী বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাপাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, রংপুর কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলার বিএনপির অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছে। এর ফলে এসব এলাকায় বিএনপিতে নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এছাড়া সিলেট, মৌলভীবাজারসহ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল থেকেও একাধিক নেতাকর্মী অন্যান্য দলে যোগদান করছে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি এখন সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গে রয়েছেন এবং মনুসর যেন সংসদের যান এ ব্যাপারে তারা তৎপর রয়েছেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, দলটির নেতাকর্মীদের দল ত্যাগের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদে সঙ্গে কথা বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের দলত্যাগের পিছনে মূল ৫টি কারণ সম্পর্কে জানা গেছে। এগুলো হলো:
(১) উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়া: বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন ধরনের নির্বাচনে তারা যাবে না। একই ধারাবাহিকতায় তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এর ফলে দলটির স্থানীয় নেতারা অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন। তাই তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ালেও তারা নির্বাচনে সুবিধা করতে পারবে না। এজন্য তারা জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে।
(২) গ্রেপ্তার-মামলা থেকে রক্ষা পেতে: গত এক যুগ ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা একের পর এক মামলা, গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে। দলটির বিরাট সংখ্যক নেতাকর্মী জেলে রয়েছে। এখনও যারা জেলের বাইরে আছেন তারা নতুন করে এই বিপদে পড়তে চান না। তারা ভাবছে জাপা, বিকল্পধারা, জাসদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে মামলাসহ গ্রেপ্তার থেকে মুক্ত থাকতে পারে। মামলা ও গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের অন্য দলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে।
(৩) দিক নির্দেশনাহীন নেতৃত্ব: ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি কেন গেলো সে ব্যাপারে তৃণমূলের কাছে কোন জবাব নেই। নির্বাচনের পর বিএনপি কীভাবে চলছে সে ব্যাপারেও তৃণমূলকে কিছু জানানো হচ্ছে না। এর ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে অন্যান্য দলে যোগ দিচ্ছে।
(৪) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ: তৃণমূল পর্যায়ের যে সব নেতাকর্মী নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের ব্যাপারে কোন খোঁজখবর নিচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। যার ফলে প্রায় অভিভাবকহীন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিএনপিতে থাকার ভরসা পাচ্ছে না। তারা অন্যান্য দলে আশ্রয় পাচ্ছে।
(৫) অন্য দলগুলোর প্রলোভন: জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারার মতো দলগুলো তৃণমূল সংগঠন গোছাতে চাচ্ছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের আগ্রহ জন্মাচ্ছে এবং তাদেরকে নানা রকম প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের প্রলোভনে বিএনপির অভিভাবকহীন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অন্য দলে যোগ দিচ্ছে।
বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, কেবল অন্য দলে যোগদান শুরু হয়েছে। যোগদানের হার আরও বাড়বে এবং উপজেলা নির্বাচনের আগে এটা বিএনপিতে মহামারী হয়ে দাঁড়াবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।