নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো নিলামে উঠছে। দলের যোগ্য, ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা নয়, যারা তারেক জিয়াকে টাকা দিতে পারবেন তারাই স্থায়ী কমিটির সদস্য হবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চূড়ান্ত করার জন্যই লন্ডনে তারেক জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলামের বৈঠক হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশ কিছু পদ শূন্য রয়েছে। ব্রি. জে. (অব.) হান্নান শাহ’র মৃত্যুর পর তার পদটি পূরণ করা হয়নি। স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের মৃত্যুর পরও তার আসনটি শুন্য রয়েছে। সর্বশেষ মারা গেছেন দলটির অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা তরিকুল ইসলাম। তার আসনটিও পূরণ করা হয়নি এখনও। এছাড়া সর্বশেষ যখন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তখন দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। বর্তমানে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য অসুস্থতা ও নানা কারণে বিএনপির কার্যক্রম দূরে রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান। মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি রাজনীতি না করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এবং দলীয় কোন কার্যক্রমে তিনি এখন নেই। অন্যদিকে অসুস্থতার কারণে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে অনেকটা দূরে সরে রয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি সর্বশেষ আঘাত পেয়েছেন। নির্বাচনে তাকে বা তার স্ত্রীকেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এর পর থেকে দলের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে গুটিয়ে নিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির এই দুটি পদেও নতুন মুখ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে যে, ২০১৬ সালে বিএনপির যে স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেখানেও তারেক জিয়ার পছন্দ অপছন্দ প্রাধান্য পেয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার আগ্রহ সত্ত্বেও আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো দলের প্রতিষ্ঠাতা, ত্যাগী নেতা মনোনয়ন পাননি।
দলের একাধিক নেতাকর্মী চেয়েছিলেন, দলের যে সব ত্যাগী নেতা দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং বিএনপিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়ে আন্দোলনমুখী করা এবং সংগঠন গোছাতে সক্ষম তাদের মধ্য থেকে স্থায়ী কমিটির জন্য মনোনয়ন দেয়ার জন্য। কিন্তু এবার ত্যাগ বা পরীক্ষার কিছু নেই। তারেক জিয়া তার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন যে, কারা কতো ত্যাগ করেছেন সেটা তিনি জানেন। কারণ দলে কেউই কোন ত্যাগ স্বীকার করেননি। কেউ যদি ত্যাগ স্বীকার করতো তাহলে আজ দলের এই হাল হতো না। এজন্য তারেক জিয়া তার মতো করে মনোয়ন দেবেন।
গতবার তারেক জিয়া এমন কিছু নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন যারা খোদ বিএনপি নেতাদের কাছেই অচেনা। চট্টগ্রামের আসলাম চৌধুরী সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে এসেছেন। এবারও স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্ধারণে মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর পাওয়া গেছে। বিএনপির মধ্যম সারির অনেক নেতা বা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকা অনেক নেতা এবার স্থায়ী কমিটিতে স্থান পাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে তারেক জিয়ার প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষক আবদুল আউয়াল মিন্টু এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ পাওয়ার সিদ্ধান্ত মোটামুটি নিশ্চিত। এছাড়া দলটির স্থায়ী কমিটিতে আর কারা যোগ দেবেন সেটা নির্ভর করবে তারেক জিয়া কারা ঠিক কীভাবে খুশি করতে পারবে তার উপর। বিএনপির মধ্যস্তরের অনেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ পাওয়ার লক্ষ্যে এখন লন্ডনে ধর্না দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত যারা তারেক জিয়াকে বেশি খুশি করতে পারবেন তারাই সদস্যপদ পাবেন। তাই বিএনপি যখন নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করবে সেটা একটা বড় চমক হয়ে আসবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপির একটি সূত্র বলছে, স্থায়ী কমিটির একটা অংশ জিয়া পরিবারের সদস্যদের জন্য রাখা হবে এবং অপর অংশ মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে। মনোনয়ন বাণিজ্যে শেষ পর্যন্ত কারা পদ পাচ্ছেন সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন