নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
টানা দশ বছর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। যেখানে সবাই চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে ব্যস্ত। কে কি পেলেন, কেউ মন্ত্রীত্ব কেউ সংসদ সদস্য, কেউবা অন্যকিছু। চাওয়া পাওয়ার হিসেবে গড়মিল হলেই হতাশা। তখন তাদের বক্তব্য হলো এত ত্যাগ স্বীকার করলাম, ত্যাগের মূল্য পেলাম না। দু:সময়ের সঙ্গী ছিলাম কিন্তু তার মূল্যায়ন হলো না। আওয়ামী লীগ সুখের সময়ে দলের ত্যাগী ,পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করে না ইত্যাদি নানা কথা কান পাতলেই শোনা যায়। কিন্তু এরমধ্যেও দেখা যায়, কিছু মানুষের সরকারের কাছে চাওয়া পাওয়ার কোন হিসেব নেই। যেভাবে আছেন, তাতেই সন্তুষ্ট। আওয়ামী লীগের দলের জন্য কাজ করছেন, নিবেদিত প্রাণ হয়ে। দলের ভালোর জন্য সবসময় পরিশ্রম করছেন তার জায়গা থেকে তিনি অবদান রাখছেন।
এরকম কিছু মানুষের মধ্যে অন্যতম হলেন:
ওমর ফারুক চৌধুরী: তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান হলেও এখন পর্যন্ত কোন মন্ত্রীত্ব চাননি। সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়নের জন্য কখনো আবেদনও করেননি। এমনকি মেয়র পদের জন্যও কখনো নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তিনি কোন ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা সরকারের পদ পদবি গ্রহণ করেনি। যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে এই সংগঠনকে সংগঠিত করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। মেধা মননের চর্চার জন্য তিনি স্থাপন করেছেন যুব জাগরণ কেন্দ্র। শতাধিক প্রকাশনা করেছেন। চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিয়ে তার কোন তাড়া নেই। এনিয়ে তিনি ভাবেনও না। দল তাকে কি দিলো বা কি পেলেন। এ নিয়ে ভাবনা নেই। বরং নীরবে নিভৃতে নিজের কাজটি করে যাচ্ছেন।
মোশাররফ হোসেন কাজল: বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলাগুলোর রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী। তিনি জিপি হতে পারতেন, মন্ত্রী হতে পারতেন। সংসদে নির্বাচন করে এমপিও হতে পারতেন। কিন্তু তিনি শুধু দুর্নীত এবং বিএনপি জামাত অপশক্তির বিরুদ্ধে মামলা লড়েই যাচ্ছেন। তার আইনী লড়াইয়ের জেরেই জিয়া এতিম খানা মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদন্ড নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের পরিচিত মুখ। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার উঠাবসা। কিন্তু তিনি কখনো কোন চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেননি। কখনো বলেননি এটা চাই ওটা চাই। যেভাবে আছেন তাতেই খুশি এই মারকুটে আইনজীবি।
সৈয়দ রেজাউর রহমান: ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলার প্রধান কৌশলী। তিনি আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। দলের দু:সময়ের সাথী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলারও অন্যতম কৌশলী। দশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও তিনি কখনো পদ পদবি চাননি। কোন পুরস্কার বা কোন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা কোন মন্ত্রীত্ব তাকে আকর্ষণ করে না। বরং দলের জন্য বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে যেতে পেরেই তিনি খুশি। তার মধ্যে কোন অভিমান নেই, কোন রাগ নেই। চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলানোর যন্ত্রণা নেই। নাই অতৃপ্তির বেদনা।
এরকম আরও কিছু মানুষ আছেন আওয়ামী লীগে, যারা দলের সুদিনের সময়ও কোন কিছু প্রত্যাশা করেন না। শুধু প্রত্যাশা করেন, আওয়ামী লীগ যেন ভালোভাবে পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যেন দেশ চালাতে সফল হন। এবং আওয়ামী লীগ যেন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারে। এই সমস্ত মানুষের সংখ্যা হয়তো অনেক। তবে এসমস্ত মানুষগুলো আছে বলেই আওয়ামী লীগ হয়তো এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।