নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির দলীয় অধিকাংশ প্রার্থী নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থীরা মামলা করে কোনভাবেই নতুন করে সরকারের রোষানলে পড়তে রাজি নন। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচন প্রত্যাখান করে দলের সকল প্রার্থীদের স্ব-স্ব জেলার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার নিদেশ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হলেও অধিকাংশ জেলায় মামলা দায়ের হয়নি।
বাংলা ইনসাইডারের তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, লন্ডন থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছিলেন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে প্রার্থীদের স্ব-স্ব জেলায় মামলা করতে। কিন্তু তারেক রহমানের এ নির্দেশনা মানছেনা না অনেকেই। কুমিল্লার একটি আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া এক প্রার্থী জানান, জীবনের সব্বোচ ঝুঁকি নিয়ে নিবাচন করলাম। নিবাচনকালীন সময়ে পাশে পেলাম না কোন নেতাকে। উপর থেকে নির্দেশ দিয়েই তারা খালাশ। হামলা-মামলার খড়্গ নিয়ে এখনও আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। দলের মাঠের কর্মীরা ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তুর মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি জানান, কোন কিছুতেই আমরা কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এমন বাস্তবতায় ট্রাইব্যুনালে মামলা করা খোদ সরকারের রোষানলে পড়া। এ ধরনের রোষানলে পড়তে কোনভাবেই রাজি নন নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা। চাঁদপুরের এক প্রার্থী জানান, বিএনপি করাই এখন বোকামি। মামলা করে কোন ফায়দা হবে বলে তিনি মনে করেন না।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস বাংলা ইনসাইডারকে জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের ট্রাইব্যুনালে মামলা করাটা কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা। কেন্দ্রের নির্দেশনা যারা মানবেন না তাদের বিষয়ে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মীর্জা আব্বাস জানান, তারেক সাহেব বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।