ইনসাইড পলিটিক্স

পলাতকদের ফিরিয়ে আনার জন্য টাস্কফোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বিদেশে পলাতক শুধু তারেক জিয়া একা নয়, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডিত ১৩৭ জনকে ফেরত চায় বাংলাদেশ। পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি সাব কমিটি এই তালিকা হালনাগাদ করেছে। বিদেশে পলাতক বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এই কমিটির সভাপতি। আইনমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই কমিটিতে রয়েছেন। এই কমিটি বিদেশে পলাতক বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য একটি সাব কমিটি গঠন করেছে। সাব কমিটির সদস্যরা বৈঠকের মাধ্যমে বিদেশে পলাতক বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডিতদের তালিকা হালনাগাদ করেছে। আগামী মার্চ মাসে আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

১৩৭ জনের তালিকায় যে সমস্ত নতুন নাম যুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহ মো ফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, মেজর জেনারেল আমিনসহ বেশ কয়েকজন। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭৫’র আত্মস্বীকৃত খুনী, যারা দেশের বাইরে পলাতক আছেন তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে রয়েছে কর্নেল রশিদ, মেজর ডালিম, নূর চৌধুরীসহ আরও বেশ কজন। এদের ফিরিয়ে আনার জন্য নানা কূটনৈতিক তৎপরতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেককে যেন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেজন্য ইন্টারপোলের কাছে বাংলাদেশ তিন দফা আবেদনও করেছিল। তবে এ ক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ‘তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সময়ের ব্যাপার। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।’

’৭৫’র খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, যেসব দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছে সেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গিয়ে সেখানে অবস্থানকারী নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কথা বললে তাকে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, যেহেতু তাকে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে, কানাডারি আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউকে সে দেশে ফেরত দেয়া হয় না। তবে তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। তিনি সর্বশেষ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় তার ব্যাপারে এমন প্রতিবন্ধকতা নেই। তাকে খুব সহসাই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তারেক জিয়া ছাড়াও বিএনপির যেসব নেতারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত হয়ে পলাতক রয়েছেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিস চৌধুরী, তিনি বিভিন্ন দেশে পালাক্রমে থাকেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তরে তথ্য রয়েছে। তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ‍যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ আরব আমিরাতের দুবাইতে অবস্থান করছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হয়েছে। তাকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামী মেজর জেনারেল আমিনও এখন আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত তথ্য পেয়েছে। তাকেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সেটি এখনও মিমাংসা হয়নি। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সরকার এসকে সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা দরকার বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও অভিযুক্ত যেসব আসামী বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের আগামী বৈঠকে এ ব্যাপারে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশেষ করে ৭৫’র খুনী এবং ২১ আগস্টের দণ্ডিতদের যেন দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায় এ ব্যাপারে সরকার ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটের মাঠেই রয়েছেন মন্ত্রী-এমপির স্বজন ও বিএনপির প্রার্থীরা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপেও কেন্দ্রের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারবিরোধী বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এ ধাপেও প্রার্থিতা বহাল রেখে ভোটের মাঠে রয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা। কেন্দ্র থেকে দেওয়া কঠোর হুঁশিয়ারি তাদের ভোটের মাঠ থেকে সরাতে পারেনি। অন্যদিকে হাইকমান্ডের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন বিএনপির অন্তত দুই ডজন নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের প্রার্থীদের বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও তাদের পিছু হটাতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দ্বিতীয় ধাপের ১৬০টি উপজেলা ভোটে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অন্তত ৩০ জন আত্মীয়-স্বজন মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাত্র কয়েকজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনী মাঠে বহাল রয়েছেন অন্যরা। অন্যদিকে, এ ধাপে বিএনপির অন্তত ৩০ জন স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে গতকাল তাদের কয়েকজন ভোটের মাঠ থেকে সরে যান। বাকিরা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।

সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে মোট দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৯১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৭৭, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০১ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৮ জন রয়েছেন।

এর মধ্যে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় ইতোমধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও পাঁচজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গতকাল নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে পড়েন অনেকে। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমে পড়বেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ২৯ মে তৃতীয় এবং ৫ জুন সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রত্যাহার করেননি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে মাঠে রয়েছেন। মনোননয়নপত্র প্রত্যাহার না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি এবং জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নিজের পরিচয়ে রাজনীতি করি। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। মন্ত্রীর ভাই হয়েছি বলে নির্বাচন করতে পারব না। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। তা ছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত আমি পাইনি। একেক সময় একেক সিদ্ধান্তের কথা বলে। আমি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত লিখিতভাবেও পাইনি। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। এর মধ্যে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান এবং রাকিবুজ্জামান আহমেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বগুড়ায় আদমদীঘি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বহাল রয়েছেন সিরাজুল আলম খান রাজু। তিনি বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সংসদ সদস্য খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর বাবা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের আপন বড় ভগ্নিপতি, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জাফরউল্লাহ চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপির ভায়রা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবুল কালাম আজাদ।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে ও সাবেক মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে থাকছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাঠে রয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন।

শরীয়তপুর সদরে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দীপু মিয়া প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিল্লাল হোসেন দীপু মিয়া বলেন, ‘আমি ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার চাচাতো ভাই। তা ছাড়া আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমি ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম। আমি বর্তমানে শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি; তাই মানুষকে সেবা দিতেই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি’।

চুয়াডাঙ্গা সদরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাতিজা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং দুমুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ভাই আলী মনসুর বাবু।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় স্থানীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ, জামালপুরের বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই মো. নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, ‘এমপির সংসার এমপির, আমার সংসার আমার। এমপির খাবার এমপি খান, আমার খাবার আমি খাই। তাহলে আমি নির্বাচন কেন করতে পারব না? তা ছাড়া আমি দলের কেউ নই’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়ে গেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আপন ফুফাতো ভাই সায়েদুর রহমান স্বপন। এ বিষয়ে সায়েদুর রহমান স্বপন বলেন, ‘আমি মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই। মন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় নই। আমি দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করছি না। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তা ছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তাই নির্বাচন করতে আমার কোনো বাধা নেই’। ভোটের মাঠ থেকে সরেননি হবিগঞ্জের বাহুবলের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর বড় ভাই রাজন চৌধুরী।

প্রার্থিতা থেকে সরে গেলেন যেসব স্বজন

নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) ছেলে গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং গাজী গ্রুপ ও বিসিবির পরিচালক। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা মেনে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন পাপ্পা গাজী।

বর্জনের পরও মাঠে বিএনপির প্রার্থী: দলের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এ ব্যাপারে কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘আমার ওপরে দলের কোনো চাপ নেই। তা ছাড়া আমি ১০ বছর আগেই দলের পদপদবি থেকে সরে এসেছি। আমি দল করি না। একজন সমর্থক মাত্র। এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, খুলনার ফুলতলা উপজেলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, দিঘলিয়ায় জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ এনামুল হাচান মাসুম ও বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, পাবনার ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসরিন পারভীন মুক্তি প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এর আগে তিনি ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে নাসরিন পারভীন মুক্তি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১০ বছর ধরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও মুক্তি দল থেকে দুবার বহিষ্কার হয়েছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ চেয়ারম্যান পদে হাজীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। মাঠে রয়েছেন বিশ্বম্ভপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা মোহন মিয়া বাচ্চু, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির নেতা আবুল কাশেমসহ আরও অনেকে।

বিএনপির সরে গেছেন যারা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম খান হিরু ও রাজবাড়ী সদরে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আহসান উল্লাহর দলীয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও যারা জয়ী

এদিকে ২১ এপ্রিল শেষ দিনে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তিনজন চেয়ারম্যান (কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া), তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ( কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাজস্থলী) এবং পাঁচজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া আড়াইহাজার ও মৌলভীবাজার সদর) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রূপগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপির স্বজন   বিএনপি   প্রার্থী   আওয়ামীলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে কিছু জরুরি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আজ বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
 
শামসুদ্দিন দিদার জানান, সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডের ০১ নম্বর বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


হাসপাতাল   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটিতে আলোচনা হয়নি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর হীরক জয়ন্তী জাঁকজমকভাবে আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্মদিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। বৈঠকে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শুরু হয়। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা নির্বাচন   কার্যনির্বাহী কমিটি   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের জনসভা বুধবার

প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে (বুধবার) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এই শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে দলের কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করবেন।

আওয়ামী লীগ   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আরও চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানোনো হয়।


এতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মোসা. সাবিরা বেগম, সুনামগঞ্জ জেলাধীন শাল্লা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজিরুল ইসলাম আজহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ এবং যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমানকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।


এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

বহিষ্কারকৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ২১ জন।

বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন