ইনসাইড পলিটিক্স

চকবাজার অগ্নিকাণ্ড, প্রধানমন্ত্রী ও নগর সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতের খবর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষকে শকাহত করেছে।  বিবিসি অনলাইন,বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে,  গুগল নিউজের ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরিতে শীর্ষে রয়েছে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর। নিউইয়র্ক টাইমস ছাড়াও মিরর, ইয়াহু নিউজ, দ্য কুইন্ট, গার্ডিয়ান নিউজ, আল–জাজিরা, এনডিটিভি, টেলিগ্রাফের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে। ফেসবুক ও টুইটারেও ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন এই দুটি মাধ্যমের সিটিজেন জার্নালিস্ট আর এই মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।

গত বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাতে পৌনে একটার দিকে পাশের কয়েকটি ভবনে  আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ এবং অর্ধশতাধিক আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিমতলী ট্রাজেডির পরে সবার প্রত্যাশা ছিল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না; কিন্ত মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে মর্মান্তিক এত মৃত্যু দেখতে হচ্ছে। নিমতলী ঘটনার পরে যে কথা এসেছিল তা হলো আন্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।   

যা হোক নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফায়ার ব্রিগেড দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প  মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি সিটি কর্পোরেশশের এখানে কি ধরনের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল? যারা চকবাজার বা নিমতলীতে কেমিক্যাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা! কিন্তু সবাই তা করে না, দেখার যাদের কথা তারাও সঠিক সময়ে দেখেন না। তাহলে এ ধরনের ঘটনার জন্য নিয়মানুযায়ী তারাও দায়ী হবেন। আর নিয়মবহির্ভূত ব্যবসার সুযোগ যারা করে দিয়েছেন সেই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যাবেন নানা বাহানায়, কারণ দেশের বিদ্যমান আইনে তার সুযোগ আছে। 

পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন, সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেননি। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য জানান। দেশের অভিভাবকের অবস্থা এমন হবে তাতে অবাক হবার কিছু নেই কারণ তিনি স্বজন হারানোর কী কষ্ট তা খুব ভালো করেই জানেন। তাই তাঁকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

অন্যদিকে, সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ আর আশাসবাণী শুনানো হচ্ছে। বাস্তবে এটি করা ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোন পথও নেই। আন্তরিকতা থাকলেও আসলে সবাই অসহায় দেশের ত্রুটিপূর্ণ আইনী ব্যবস্থা আর সরকারের আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের অভাব। জানমালের ক্ষতির জন্য হয়তো দায়সারা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কী কেউ আছে যিনি তাঁর নিজ সন্তান বা স্ত্রী-কন্যা বা বাবা-মায়ের জীবনের বিনিময়ে কোটি টাকার অনুদান নেবো! কখন নেবো? কেন নেবো?    

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেই শেখ হাসিনার সরকার নগর সরকারের পরিকল্পনা হাতে নেয়। কিন্তু ২০১৩ সালে ৫ও ৬ই মে হেফাজতের শাপলা চত্তরের সমাবেশ এবং তৎপরবর্তী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে অজ্ঞাত কোন কারণে নগর সরকারের পরিকল্পনা থেকে সরকার পিছিয়ে আসে। কিন্তু নগরীতে পরিসেবা বা সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন নগরীতে চকবাজারের এমন সব ঘটনা ঘটে যাতে করে নিজেদের দায় এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কৌশলে দায় এড়ায়। কিন্তু দেশ ও জনগনের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতির সম্পূর্ণ দায়ভার গিয়ে পড়ে সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের ঘাড়ে।  

কাজটা যদিও বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার মত কঠিন তবুও নগর সরকারের নিয়ে আলাপ করা যায়। মনে করি ঢাকা মহানগরীর কোন এলাকায় পানির সংকট। পানি সরবরাহের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার, সিটি কর্পোরেশনের নয়। তেমনি পয়ঃনিষ্কাশনের সমস্যায় হয়তো কোন এলাকার মানুষ নাকাল। নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে, যদিও তাঁর কোন হাত নেই এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে। একইভাবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে থানা-পুলিশের কাজের জন্য, বিদুত, গ্যাসের সরবরাহের জন্য নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের স্মরনাপন্ন হন, যদিও তাঁদের কিছুই করার নেই এসব ক্ষেত্রে। এমন অনেক বিষয় আছে যা নিস্পত্তি করার ক্ষমতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেই কিন্তু ঘটনার সব দায় গিয়ে পড়ে রাজনীতিবিদের ঘাড়ে, সরকারের বদনাম হয়। এই যে পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় কারও উপরেই কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু দায় সব তাঁদের, তাঁদের নেতার।       

উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শক্তিশালী নগর সরকার ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত সব সংস্থার কর্মীদের সংশ্লিষ্ট নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হয়। নগর সরকারের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা এসিআর লেখেন। এই এসিআর এর উপর ভিত্তি করে যেহেতু বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের পদোন্নতি, বেতনের বিশেষ বৃদ্ধি, ইত্যাদি হয় তাই নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীরা নগর সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, দায়িত্ব পালনে সযত্ন হন বা বাধ্য হন। ফলে সংশ্লিষ্ট নগরীতে পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়জিত সকল সংস্থার কাজে সমন্বয়ের অভাব খুব কমে যায়। তবে সমন্বয় না থাকলেও তাঁর সত্যিকার দায় নগর সরকার এড়াতে পারে না। এই দায় থেকেই তারা জবাব্দিহীতার মধ্যে চলে আসে। ভারতের পশ্চিম উনত দেশে এঁর চলন আছে। প্রতবেশী দেশ ভারতে ইউনিয়ন পর্যায়েও এঁর পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা দেখা গেছে। একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতে পারে। মনে করুণ কোন জেলা শহরের পৌরসভায় বিদ্যুৎ, পুলিশ, গ্যাস, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইত্যাদি বিভিন্ন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা কাজ করেন। বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা যে নগরীর অধীনে পদায়ন করা হবে, তাঁদেরকে ডেপুটেশনে ঐ স্থানীয় সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হবে। তথন নগর সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবার ঘাটতির জন্য বা কমতি অথবা খামতির জন্য দায়ী থাকবেন। শাস্তি বা পুরস্কার দুটোই তাঁর জন্য থাকে। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবা আর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যাবে না বলে উন্নত দেশগুলতে দেখা গেছে। তখন ঘুরে ফিরেই চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটবে আর বিভিন্ন দপ্তর তাঁদের দায় এড়াতে মরিয়া হয়ে বিবৃতি দেবে না, কিন্তু লোভের আগুনে প্রাণ যাবে না নিরিহ মানুষের।  

নগর সরকার ব্যবস্থায় নিয়মিতভাবে নগর সরকার তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে ঠিক তেমনি সরকারী সম্পত্তি বেহাত হওয়া, বা জানমালের ক্ষতির সম্বভাবনা বা আশংকা দেখা দিলে অনতিবিলম্বে তা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে। নগর সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান সরকারের হোমওয়ার্ক করা আছে, সরকার প্রধান প্রাথমিক পর্যায়ে নব গঠিত সিটি করপরেশনে এটা পাইলটিং করতে চেয়েছিলেন। এখন মনে হয় সময় এসেছে, দেশে নগর সরকার চালু করার সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়ার। দরকার হলে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিজ্ঞদের নিয়ে এক বা একাধিক মতবিনিময় সভা করে তা চূড়ান্ত করা যায়।    

 

বাংলা ইনসাইডার

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি তারেকের ভুল কৌশলের শিকার?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

কয়েক দিন পর পর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই নড়বড়ে বলেই মনে করছেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ, সেই অসুস্থতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা দরকার এবং সেই চিকিৎসা দেশের সম্ভব নয়। এজন্য তারা মনে করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া দরকার। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ নেই। বরং তারেক জিয়ার অনাগ্রহের কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রলম্বিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায় হল, তিনি যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি তার অপরাধের দণ্ড মওকুফ করতে পারে বা দণ্ড হ্রাস করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন মুক্ত মানুষ হতে পারেন। তখন তার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এই মতের বিরোধী। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ তার ভাই এবং বোন তার জীবনের প্রয়োজনে সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে চান। তারা মনে করেন যে, বেগম জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে রাজনীতির চেয়ে তার চিকিত্সাই সবচেয়ে জরুরি। আর এই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তার তারেক জিয়া মনে করছে যদি বেগম জিয়া তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। এর ফলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। নিজের স্বার্থে তিনি তার মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করছেন জিয়া পরিবারের দুই সদস্য। 

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল আদালতের আশ্রয় নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেরকম তা নিয়ে যদি আদালতে আবেদন করা হয়, আদালত সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে যদি রায় দেয় যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সরকার কোন বাধা হবে না। কারণ আদালতের রায় চূড়ান্ত। এভাবে বহুবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের রায়ে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের। এটি কোন নতুন প্রক্রিয়া নয়। কিন্তু তারেক জিয়া বিএনপির আইনজীবীদেরকে এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য বাধা দিচ্ছেন।

বিএনপি নেতারাও এই ধরনের বাধা বিস্মিত। তারা জানেন না তারেক জিয়া কেন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা দিচ্ছেন এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না। এ নিয়ে বিএনপির কারোরই কোন ব্যাখ্যা নেই। 

বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আইনি প্রক্রিয়া তারেক জিয়ার নির্দেশে থমকে গেছে এবং সেই থমকে যাওয়ার কারণ অজানা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় দেশের তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করুক- এটিই হয়তো তারেক জিয়া চান। কারণ তারেক জিয়া যদি তার মার প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা দেখাতেন সে ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা না করুন কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি গ্রহণ না করাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে,বেগম জিয়াকে এই অবস্থায় রেখে তারেক জিয়া পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। 

অনেকে মনে করেন যে, বেগম জিয়া যদি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বেগম জিয়া সুস্থ হলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এ কারণেই কি তিনি বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে নিতে অনাগ্রহী? এই প্রশ্নটি এখন উঠেছে। 

বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তৃতীয় পথ হলো সরকারের সাথে সমঝোতা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেটির কোন সুযোগ নেই। কারণ ইতোমধ্যে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে সরকারের দুটি সুবিধা দেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যদি বেগম জিয়াকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করানো যায় এবং তিনি যদি বিএনপি সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করেন তাহলে হয়তো সরকারের সাথে একটা সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু সেটাতেও তারেক জিয়ার সায় নেই। তারেক জিয়ার কারণেই যেমন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তারেক জিয়ার কারণেই হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।




খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।

আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।

বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।

জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।

এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।

শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।

আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।

কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।

বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।


শেখ   হাসিনা   আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   জাহিদ মালেক   মোস্তফা কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে ৭টা ৫ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতই। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন সেটা করাতে নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতাল থাকার পর গুলাশানের বাসায় ফেরেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

৭৯ বয়সী এই রাজনীতিবিদ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল   খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আরও ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার একযোগে ৬৬ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে দল থেকে নির্দেশনার পরও এ সব নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। একই কারণে সম্প্রতি তৃণমূলের ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬৬ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবার কমবেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন