নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০২ মার্চ, ২০১৯
২০০৮ সালে শক্তিশালী একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে চমক দেখিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। যদিও শুরুতে এই পরিষদে ছিলেন না ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করা ড. গওহর রিজভী। তিনি অক্সফোর্ড এবং হাভার্ডে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর হঠাৎ করেই তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেসময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন পরিচিত মুখ ছিলেন না ড. রিজভী। তিনি বাংলাদেশে যতো না অপরিচিত, বিশ্বে সুধী সমাজে ততটাই আলোকিত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হলো তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেছিলেন, তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়ের শিক্ষক বলেই এমন পদ পেলেন?
তবে তার ব্যক্তিগত পরিচয়কে ছাপিয়ে তিনি দৃশ্যপটে আসেন ১/১১’র ভূমিকার কারণে। সেসময় কারাবন্দী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলেন ড. গওহর রিজভী। এ বিষয়ের দালীলিক প্রমাণ পাওয়া যায় এবারের বইমেলায় প্রকাশিত ‘এক এগারো’ শীর্ষক গ্রন্থে। গ্রন্থটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ’ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদ।
এক এগারো’ বইয়ের ২৯৭ ও ২৯৮ পাতায় ডিজিএফআইয়ের ব্রিগে. জে. বারীর একটি সাক্ষাৎকারে বলা হয়েছে, দুই নেত্রী তখন জেলে। শেখ হাসিনার কাছে ব্রিগেডিয়ার আমিন রেগুলার যায়। ওনার কাছে গওহর রিজভীকে নিয়া যায়। এগুলো কিন্তু না বলা কথা, আপনাকে বলতেছি।
মহিউদ্দিন আহমদ: আমিন নিয়ে যায় গওহর রিজভীকে?
বারী : জি। এটা সেনাপ্রধান জানে। এই তিনজন জানে। সেনাপ্রধান, আমিন আর রিজভী। আমার কাছে যখন খবর আসল, আমি তখন ডিজির অফিসে বসা। ওনার বাসায় একটা অফিস আছে, সেখানে। বললাম, স্যার, ড. গওহর রিজভীকে চেনেন নাকি?
না, আমি চিনি না।
উনি তো শেখ হাসিনার সঙ্গে রেগুলার দেখা করে।
কে নিয়া যায়?
আমিন।
অ্যা, তাই নাকি?
ডিজিও জানে না। চেইন অব কমান্ড কোথায় চলে গেছে? ডিজি সাথে সাথে লাল ফোনে সেনাপ্রধানকে ফোন করল।
স্যার, এ রকম তো ঘটনা।
আরে, এ তো আমি জানি।।
আমার মনঃকষ্ট, রাগ—আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে চাই নাই। যেটা নিয়ে মানুষ গর্ববোধ করবে, দেশের মানুষ—ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গর্ববোধ করবে ডেমোক্রেসি নিয়ে—কী করল? বললাম, স্যার, আই হেইট ইউ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।