নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০১৯
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের নতুন রাষ্টদূত গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তাঁর প্রথম বৈঠকটি সম্ভবত ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের যেকোনো সময়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে রিভা গাঙ্গুলির বৈঠক হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশন ও ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এটা যদি হয় তাহলে ড. কামাল হোসেনই হবেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর রিভা গাঙ্গুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। অনেকেরই ধারণা যে, ড. কামাল হোসেন ভারতের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ব্যক্তি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এসব কাজে ভারত তাঁকে সহযোগিতা করেছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এখন রিভা গাঙ্গুলি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাঁর কূটনৈতিক জীবন যেদিন শুরু করলেন, ঠিক সেদিনই শপথ নিয়েছে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
ধারণা করা হচ্ছে যে, রিভা গাঙ্গুলির প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে কিন্তু সংসদ শপথ নেননি তাঁদেরকে সংসদে নিয়ে আসা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ভারত বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি দেখতে চায়। আগামী এপ্রিলে ভারতে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে আগে বাংলাদেশে যেন কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা না সৃষ্টি হয় এবং এই অস্থিরতায় ভারতে যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিগোষ্ঠীর যেন না উত্থান ঘটে এবং জঙ্গিরা যেন বাংলাদেশে কোন রকম আশ্রয় প্রশ্রয় না পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যই ভারত চাইছে বাংলাদেশে সংসদ কেন্দ্রীক রাজনীতি চালু করতে। রিভা গাঙ্গুলি সেই অ্যাসাইনমন্টে নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। আসার পরে তিনি প্রথমেই ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। জানা গেছে, এরপরে তিনি বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে যে, রিভা গাঙ্গুলি বাংলাদেশে আসার আগেই তার সঙ্গে কাদের সিদ্দীকির বৈঠক হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনীতি সম্বন্ধে ব্রিফ নিয়েছেন। তবে ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্র প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, রিভা গাঙ্গুলির মূল দায়িত্ব হলো তিনটি। এর মধ্যে প্রথমটা হলো, বাংলাদেশে যেন সেকুলার রাজনীতির বিকাশ ঘটে। ক্ষমতাসীন এবং প্রধান বিরোধী দল যেন সেকুলার রাজনীতি চর্চা করে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কাজ করবেন। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেন সহিংস সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবেন। তৃতীয়ত, তিনি চাইবেন যে সংসদই যেন বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়।
এসব দায়িত্ব পালনের জন্য রিভা গাঙ্গুলি দেরী করছেন না। আগামী এক সপ্তাহেই তার কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে বলে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল মনে করছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।