নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১০ মার্চ, ২০১৯
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে আজ ৭৮টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরেরদিনই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতির কোন কমতি না থাকলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলটির ন্যূনতম তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, উপজেলা নির্বাচন শুরু হলেও আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র লক্ষ্য ডাকসুর নেতৃত্ব নিজেদের দখলে নেয়া। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ডাকসুর নেতৃত্ব নিজেদের ছাত্র সংগঠনের হাতে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এ জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ভিপি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে জিএস এবং সাদ্দাম হোসাইনকে এজিএস করে ২৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ। এই প্যানেলেকে বিজয়ী করার জন্য প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ ৭৮টি উপজেলায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ৫ম উপজেলা নির্বাচনের শুরু হলো। আরও চারধাপে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরাই মাঠে ফেবারিট। তবে তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অন্তত ১০০টি উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। তবে এ বিষয়ে যেন ভ্রুক্ষেপই নেই দলটির। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপি দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী দমনে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। কারণ, আওয়ামী লীগ জানে, উপজেলায় যে-ই জিতুক তিনি আওয়ামী লীগেরই হবেন।
ডাকসুতে ছাত্রলীগের জয়ের মূল বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি সরকারবিরোধী ‘সেন্টিমেন্ট’কেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিরোধী সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডাকসুর প্রভাব বরাবরই লক্ষ্যণীয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনেক নেতাই ডাকসু থেকে উঠে আসেন। গত ২৮ বছর ডাকসু না থাকাই সে প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। তাই সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে আওয়ামী লীগ ডাকসুর নেতৃত্ব হাতছাড়া করতে চায় না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।