ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাবিতে আন্দোলন উস্কানির নেপথ্যে কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে উস্কে দেয়ার পেছনে তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে বলে মনে করছে সরকার। ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেছে, তারপর ১২ই মার্চ বিকেলবেলা সব পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন নির্বাচিত ভিপি নূরকে আলিঙ্গন করে এই ঘটনার সমাপ্তি টানেন।

সরকার আশা করেছিল যে, এই ঘটনার মধ্যদিয়েই ডাকসু কেন্দ্রিক উত্তেজনার অবসান ঘটবে। কিন্তু ওইদিন রাতের কিছু তৎপরতা সরকারের নজরে এসেছে এবং ওই তৎপরতার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আবার নতুন মোড় নিয়েছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি মনে করছেন। সরকার মনে করছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তৃতীয় পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, শুধুমাত্র লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নয় সরকারের শরিকসহ বিভিন্ন মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।

সরকারী সূত্রগুলো বলছে, প্রথমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটা আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে একটা চাপে ফেলার কৌশল শুরু থেকেই নিয়েছিল বিএনপি এবং ছাত্রদল। তারেক জিয়ার নির্দেশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নির্বাচনী প্রচারণা জোরালোভাবে করেনি। ত্রুটি, বিচ্যুতি নিয়েই তারা কালক্ষেপণ করেছে এবং নির্বাচনের দিন একটা পর্যায়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ছিল এই নির্বাচনের মধ্যদিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা একটা বিস্ফোরক পরিস্থিতি করবে যেটার মাধ্যমে তারা সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলবে এবং সরকারকে একটা চাপে ফেলবে। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এবং সরকারী বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, তারেক জিয়ার এই পরিকল্পনা ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছে। এই গোষ্ঠীর মধ্যে শুধু যে বিএনপি এবং তারেক জিয়া ছিল তা নয়।  সরকারী সূত্রগুলোর মতে, বাম গণতান্ত্রিক মোর্চার যে ছাত্র সংগঠনগুলো সেই ছাত্র সংগঠনগুলো প্রগতিশীল জোট নামে নির্বাচন করেছিল এবং এই নির্বাচনে ছাত্রজোটটি সরাসরিভাবে বিএনপির সঙ্গে কাজ করেছে। বাম মোর্চা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করছে এবং ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। একাধিক সরকারি মহল মনে করছে যে, লিটন নন্দীর নেতৃত্বে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর যে জোট সেই তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তপ্ত করার জন্য অন্যতম সক্রিয় সংগঠন। তবে তারা কার ইশারায় এটা করছে সে ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত নয়। সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বিএনপি বা তারেক জিয়ার একটি যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এই যোগাযোগের সূত্রগুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি একাধিক সূত্র বলছে, এই নির্বাচনে জামাত শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধীদেরও উৎসাহ ছিল এবং তাঁরাও এই নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্রে নেমেছিল যেগুলো এখনও শেষ হয়নি। সরকারের কাছে এরকম নিশ্চিত তথ্য আছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে প্যানেল দেয়া হয়েছিল নুর এবং রাশেদের নেতৃত্বে সেই প্যানেলকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা এবং মদদ দিয়েছে জামাত শিবির গোষ্ঠী। ছাত্র শিবির আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্যানেলকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছিল।

নির্বাচনের পরদিন যখন নূর শপথ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অঙ্গিকার করেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাখান করার ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতেই একটি মহল নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে শপথ না নেওয়ার আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং নানা রকম প্রলোভন দেখান। যে মহলগুলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তার মধ্যে জামাত-শিবিরের একাধিক গোষ্ঠী ছিল বলে সরকারের কাছে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে। তারা চাইছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যেন কোটা সংস্কার আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো যেন একটি পরিস্থিতি তৈরী হয়। সরকারের কাছে এমন তথ্য আছে যে, ১৪ দলের যে শরিকদলগুলো যেমন জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টিসহ যারা ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তারাও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটা অসহিষ্ণু পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য পরোক্ষভাবে ইন্দন যুগিয়েছে তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে তারা নির্বাচন বর্জন এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে নেতা নুর, তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বলে তথ্য প্রমান সরকারের কাছে আছে। বিশ্ববিদ্যালেয়ের পরিস্থিতি ঘোলা করে তারা সরকারকে একটি চাপে রাখতে চাচ্ছে। একাধিক সূত্র মনে করছে, যেহেতু তারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হননি এবং আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পরেছে, সেজন্য আওয়ামী লীগকে একটা চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ছাত্রলীগকে একঘরে করার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী সমর্থক শিক্ষকদের একটি অংশও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নাজুক করতে চাইছে বলে সরকার মনে করছে।

আআমস আরেফিন সিদ্দিক যখন উপাচার্যের পদ থেকে সরে যেতে হয় এবং ড. আখতারুজ্জামান উপাচার্য হন তখন শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ তৈরী হয়। একটা আরেফিন গ্রুপ আরেকটি আখতারুজ্জামান পন্থী গ্রুপ। আরেফিন গ্রুপ এই নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং তারফলে যেন আখতারুজ্জামান গ্রুপের ভরাডুবি হয় এবং তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃর্তৃত্ব হারায় সেইজন্য বিভিন্ন স্থানে তারা এই নির্বাচন নিয়ে সমলোচনা করছেন। বিভিন্ন স্থানে এই নির্বাচন বাতিল চেয়ে বক্তব্য রাখছেন। ছাত্রদেরও উস্কে দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সব গুলো ইঙ্গিত, তৎপরতা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা রকম বক্তব্য বিবৃতি এক করলে বোঝা যায় যে সবগুলো গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা ক্ষেত্র হিসেবে পরিচালিত করে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরী করতে চাইছেন যেখান  থেকে সরকার বিবৃত এবং চাপের মুখে পড়ে। সরকার বিরোধী একটি আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। একাধিক নেতা বলছেন, এরকম চেষ্টা কোটা কিংবা সড়ক আন্দোলনের সময়ও হয়েছিল। কিন্তু তখন যেমন তারা সফল হতে পারেনি, এখনও সফল হতে পারবে না। 

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চেয়ারম্যান হয়ে অনেকে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে পৌনে চার লাখ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন। সদর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে তিনি সাত কোটি ১৭ লাখ টাকার সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। শুধু আমিরুল ইসলাম নন, দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত অনেক চেয়ারম্যানই গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের সম্পদ বেড়েছে শতগুণেরও বেশি।

চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রদর্শিত সম্পদের চেয়ে প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চেয়ারম্যানরা আবারও এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেকে বলছেন, তাঁরা বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁরা কোনো অন্যায় কাজে যুক্ত হননি।

জানতে চাইলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলেই ধনী হওয়ার একটা সোপানে পা দেওয়া যায়। রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।

 আতার অর্থ বেড়েছে ১৭৬ গুণ, রয়েছে দুদকের মামলা

কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এবারও তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। গত পাঁচ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিপুল হারে বেড়েছে।

হলফনামার তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে আতার নগদ টাকা ছিল পাঁচ লাখ এবং ব্যবসার জামানত ছিল ৭২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

বর্তমানে তাঁর ব্যাংকে জমা ও নগদ অর্থের পরিমাণ সাত কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া এফডিআর রয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে আতার অর্থ বেড়েছে ১৭৬ গুণ। এ ছাড়া পাঁচ বছর আগে তিনি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কারের মালিক ছিলেন। বর্তমানে তাঁর রয়েছে ৯০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাডো গাড়ি।

আতার অস্থাবর সম্পদের পাশাপাশি স্থাবর সম্পদও বেড়েছে। ২০১৯ সালে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল ৬৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার। বর্তমানে তিনি সাত কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক। গত ১১ মার্চ আতাউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সাম্মিয়া পারভীনের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুদক। ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা ওই মামলায় তাঁরা এখন জামিনে আছেন।

এ বিষয়ে আতাউর রহমানের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চেয়ারম্যান হয়ে কোটিপতি আমিরুল

২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো পঞ্চগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন আমিরুল ইসলাম। ওই সময় দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২.৫ একর কৃষিজমি এবং একটি হাসকিং মিল ও সংলগ্ন বাড়ির মূল্য তিন লাখ টাকা। তিনি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা অনুসারে বর্তমানে তাঁর স্থাবর সম্পদের পরিমান সাত কোটি ৭৫ লাখ টাকা। গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১৯১.২০ গুণ।

হলফনামা অনুসারে বর্তমানে আমিরুল ইসলামের পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় বিসিক শিল্পনগরীতে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির কারখানা, ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫৭ শতক বসতভিটা, এক কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ডুপ্লেক্স ভবন, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি টিনশেড ভবন এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১.৩১ একর জমি রয়েছে।

স্থাবর সম্পদের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে আমিরুল ইসলামের। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুসারে তিনি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি এক কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক।

হলফনামা অনুসারে, ২০১৯ সালে আমিরুল ইসলামের বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

জানতে চাইলে আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংক থেকে আমার একটি বড় ঋণ নেওয়া আছে। এ ছাড়া গরুর খামার, অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরি, রাইস মিল ইত্যাদির মাধ্যমে আমি এসব সম্পদ গড়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।’

মুকুল ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে মুকুলের নিজের ও স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। ২০১৯ সালে মুকুলের নগদ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকা টাকার পরিমাণ ছিল এক লাখের কিছু বেশি। বর্তমানে তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

হলফনামার তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে জিয়াউল হাসান মুকুলের নগদ অর্থ ছিল ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ছয় হাজার ৬৮৫ টাকা। ২০১৯ সালে তাঁর স্ত্রী রেখা আক্তার বানুর হাতে নগদ কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে তাঁর হাতে রয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৩৪৪ টাকা। ২০১৯ সালে মুকুলের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৮৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১০৫ গুণ।

জানতে চাইলে জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, ‘আইনজীবীর ভুলে ২০১৯ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের হলফনামার তথ্যে গরমিল দেখা দিয়েছে। আসলে আমার এত সম্পদ নেই।

সম্পদ বেড়েছে আরো যেসব উপজেলা চেয়ারম্যানের

হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ বিপুল বেড়েছে।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, বগুড়া সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর এবং সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।


হলফনামা   তথ্যা   চেয়ারম্যান   সম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আওয়ামী লীগ   সম্পাদকমণ্ডলী   সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন