ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার গিলে খাচ্ছে আওয়ামী লীগকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

টানা দশ বছর ক্ষমতায় থেকে তৃতীয় মেয়াদের জন্য দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠনটি বাংলাদেশের সবেচেয়ে বড় সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের কিছুটা বিধ্বস্ত সময় কেটেছিল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা  ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন করেন এবং ক্রমশ আওয়ামী লীগ আবার পূর্বের রূপে যায় এবং শক্তিশালী, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একানব্বইয়ের নির্বাচনে পরাজয়ের পরও আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বড় রাজনৈতিক দল ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক দল যে দলের তৃণমূল পর্যন্ত কর্মীবাহিনী আছে এবং আদর্শভিত্তিক সংগঠন আছে। তুলনা করলে দেখা যায় যে, বিএনপি আসলে ক্ষমতায় বসে কতিপয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে গঠিত একটি ক্লাবের মত। আর আওয়ামী লীগ হলো তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি সংগঠন। যে সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে শুধু ত্যাগ তিতিক্ষা করেছে, মানুষের জন্য, জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছে নিজেদের জীবন যৌবনকে। কিন্তু টানা দশ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের সংগঠনের অবস্থা কি এই প্রশ্ন উঠছে। আওয়ামী লীগের সংগঠন আজ ঘুনে ধরা, আওয়ামী লীগের সংগঠন আজ আদর্শহীন, আওয়ামী লীগের সংগঠন আজ সরকারমুখী। এরকম অভিযোগ হরহামেশাই উঠছে। তৃতীয় মেয়াদে দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। আওয়ামী লীগের সংগঠনকে গিলে খাচ্ছে সরকার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন দল এবং সরকারকে আলাদা করতে। এজন্যই তিনি যখন মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন, সংগঠন করার জন্য মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংগঠনই হচ্ছে রাজনীতির প্রাণ। সংগঠনই যদি না থাকে তাহলে একজন রাজনীতিবীদের কোনো পরিচয় থাকে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে সরকার এবং সংগঠন একাকার হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের প্রধান এবং সভাপতি শেখ হাসিনা, তিনি প্রধানমন্ত্রীও বটে। সভাপতির দায়িত্ব পালনের চেয়ে সরকারের দায়িত্ব পালন করাটাই তাঁর মূল দায়িত্ব। যার জন্য তাঁকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় দিতে হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, এবারের মন্ত্রিসভার অধিকাংশ মন্ত্রীই নতুন , আনকোরা। এজন্য সবগুলো মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এরপরও তিনি সংগঠনে যে পরিমাণ সময় দেন তা অন্য যে কারও চেয়ে বেশি।

সাংগঠনিক কাঠামোতে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সংগঠন থাকার কথা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠন নেই বললেই চলে। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা ইউনিয়ন পরিষদের টেন্ডারসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেই ব্যস্ত থাকেন। দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা যারা তারা নানারকম দেন দরবার, তদ্বিরে সময় কাটান। সংগঠন দেখার তাঁদের সময় কই?

এরপর আসে উপজেলা পর্যায়। উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ বিভক্ত এবং পরস্পর মুখোমুখি প্রায়। এমপিদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিরোধ নতুন নয়। এবার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এই বিরোধ আরও নতুন করে গরে উঠেছে। পাশাপাশি এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দেয়ার ফলে আওয়ামী লীগ একের অন্যের মুখোমুখি ও শত্রুতে পরিণত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বরং এক পক্ষ, অন্য পক্ষকে কীভাবে কুপোকাত করবে সেই চেষ্টাতেই ব্যস্ত।

এরপর আসে জেলা পর্যায়। জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অবস্থা তথৈব। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে জেলা প্রশাসনের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা যেন আওয়ামী লীগ নেতারাই হয়ে গেছেন। নেতাদের একমাত্র কাজ হলো বিভিন্ন সরকারী কাজ তদারকি করা, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা, বিভন্ন তদ্বিরে সময় দেওয়া। জেলা পর্যায়ের নেতারা অধিকাংশ সময় ঢাকায় কাটান এবং স্থানীয় পর্যায়ের সংগঠন চালানোর মত বা কর্মসূচি দেওয়ার মত কোনো সময় তাঁদের হাতে নাই। শুধু দায়সারা গোছের একটি দিবস পালন। দিবসে পুষ্প স্তবক অর্পন করা। মন্ত্রী বা এমপিরা গেলে তাদেরকে সময় দেওয়া, এই নিয়েই তারা তৎপর।

এরপর আসে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় পর্যায় কমিটি। বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটি নাজুক, দুর্বল এবং অস্তীত্ববিহীন প্রায়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে একটা বড় অংশ মন্ত্রী, যারা দাপ্তরিক কাজেই ব্যস্ত থাকেন। আর যারা মন্ত্রী না,  তারা হতাশ ও কিছু না পাওয়ার বেদনায় আপ্লুত এবং তারা সব সময় খোঁজেন কোথাও কিছু পাওয়া যায় কিনা। প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ প্রধান তাদের অনুগ্রহ বা অনুকম্পা পৃষ্ঠ হয়ে তাদেরকে কোন পদ পদবি দেয় কিনা, সেই চিন্তায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর মূল ভরসা। সংগঠন দেখা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং সংগঠনকে সময় দেওয়ার মত সময় তাদের হাতে নেই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আড্ডা এবং কথাবার্তা বলার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। মহানগরীর কার্যক্রম হলো সিটি কর্পোরেশনকে ঘিরে। মহানগরীর কার্যালয় বা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যারা আসে, তার স্রেফ কিছু সময় কাটানো ও দলের একে অন্যের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য আসে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অধিকাংশই থাকে নানা রকম তদবির ব্যবসা বাণিজ্য এবং ব্যক্তিগত কাজে কাটান।

আওয়ামী লীগ দশ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এই ক্ষমতায় থাকার মূল্য দিতে হচ্ছে সংগঠনকে। এই সময় আওয়ামী লীগের সংগঠন সবচেয়ে ক্ষয়িঞ্চু এবং দুর্বল বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে এর বিরুদ্ধ মতও আছে। অনেকেই মনে করে করছে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মকান্ড বেশি নেই। বিরোধী দলের কার্যক্রম নেই। কাজেই এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমিত হয়ে গেছে। সীমিত রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সাংগঠনিক শক্তির দুর্বলতা বোঝার কোন উপায় নেই। আওয়ামী লীগ যে কোন সময় সংগঠিত হতে পারে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিস্তৃর্ণ নেতাকর্মী রয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল একথা ঠিক নয়। হয়তো কর্মসূচী নেই বলে আওয়ামী লীগকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা পোড় খাওয়া তারা মনে করেন যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরে ক্ষমতার নানা রকম সুবিধা পেয়ে পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর আগের মতো ত্যাগ স্বীকার করতে কতটুকু প্রস্তুত সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। দুর্দিনে এই সমস্ত নেতাকর্মীরা কতটুকু রাজপথে নামবেন বা কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করবেন সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে একটা ব্যাপারে সবাই একমত যে আওয়ামী লীগের আদর্শিক অবক্ষায় ঘটেছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষীকি উদযাপন হবে আগামী বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হবে। এই সময়কে ঘিরে যতসব কর্মসূচী সব সরকারী উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে। দলীয় উদ্যোগে কর্মসূচী কম। দলীয় উদ্যোগে কর্মসূচী নেই বললেই চলে। যার ফলে সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে কোন কাজ নেই। প্রত্যেকেই নিজেদের আখের গুছিয়ে নিজেদের অবস্থান ভালো করার জন্যই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা একটা সংগঠনের জন্য বিপদজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

মূলত সরকারে থাকার জন্য সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মন্ত্রিসভায় বা এমপি হিসেবে আছেন তারা বাইরে এসে মনে করছেন তারা সরকারের অংশ। তাঁরা সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরফলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে অনেকে মনে করছে। আওয়ামী লীগের যারা প্রবীণ রাজনীতিবিদ তারা মনে করছেন, দু:সময়ে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালি হয়। বিশেষ করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, একানব্বইয় থেকে ছিয়ানব্বই বিরোধী দলের সময় আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত ছিল এবং আওয়ামী লীগ সম্বেন্ধে একজন প্রবীন নেতা বলেছেন, বন্যেরা যেমন বনে সুন্দর, শিশু মাতৃকোরে। সেরকম আওয়ামী লীগও সবচেয়ে বেশি তার সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে পারে, যখন সে বিরোধী দলে থাকে। তাহলে কী দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে আওয়ামী লীগ আর দশটা রাজনৈতিক দলের মত একটি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে? সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দিবে।  

বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় গণ প্রতিরোধের মুখে মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

আর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশনা দিয়েছেন যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে একটি গণ প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে উপজেলার নির্বাচনগুলোতে।

একাধিক উপজেলায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েছে এবং স্থানীয় তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে তারা কাজ শুরু করেছেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের নিজেদের প্রার্থী দিয়েছেন তারা এখন নিজস্ব বলয়ের বাইরে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাচ্ছেন না।

অবশ্য কোন কোন উপজেলায় আগেই প্রভাব বিস্তার শেষ করে ফেলেছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থীরা। তারা কোথাও কোথাও একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় এটা সম্ভব হয়নি, যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন উপজেলার প্রার্থীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত যদি উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ থাকে তাহলে বেশিরভাগ উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের ভরাডুবি ঘটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন, কাজেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা হল একেবারেই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।

আর এ কারণেই নেতাকর্মীরা এখন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা তাদের বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর ফলে উপজেলা নির্বাচন একটি নতুন মাত্রা এবং প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   গণ প্রতিরোধ   মন্ত্রী-এমপি   মাই ম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বেকায়দায় আলাল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায় পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি বলেননি।

কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাজকাহনে কী বলেছেন তা একটু দেখে নেওয়া যাক। তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কি না সে বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। তিনি জানান, প্রয়োজনে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে। যারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেবে।

আলালের এই বক্তব্য বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপির লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এই বক্তব্য সম্পর্কে আলালের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানতে চান যে, কেন আলাল এই ধরনের কথা বললেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিকল্পের কোন ভাবনা নেই এবং এ ধরনের কোন আলোচনাও হয়নি। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে তারেক জিয়া যথেষ্ট যোগ্যতা এবং পরিপক্কতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের বাইরে বিএনপিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এই বক্তব্য যখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তখন আলাল তোপের মুখে পড়েছেন। আলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও দলের ভিতর তিনি ব্যাপক তিরস্কার এবং ভর্ৎসনার মুখোমুখি পড়ছেন।

এরকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজনীতিবিদরা যা করেন, আলাল সেই একই কাণ্ড করেছেন। তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এরকম বক্তব্য তিনি দেননি। তার বক্তব্য, মিথ্যা এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার এক প্রতিবাদ বার্তায় বলেছেন। অথচ বক্তব্যটি এখনও ডিবিসিতে রাজকাহন অনুষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে।

তাছাড়া বিএনপির নেতারাও এই বক্তব্যগুলো দেখেছেন। যে কারণে আলালের এই প্রতিবাদ বা তিনি এ ধরনের কথা বলেননি বলে যে মন্তব্য করছেন তা তারেক জিয়া বা অন্য নেতাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। এই বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছেন বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সামনের দিনগুলোতে এখন বিএনপি আলালের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, এর আগে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাই দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। যাদের মধ্যে শওকত মাহমুদ অন্যতম। আলালকেও সেই পরিণতি বরণ করতে হবে কী না সে নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।


বিএনপি   যুগ্ম মহাসচিব   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএন‌পির আন্দোলন সফল হ‌বে না তা আগেই বুঝেছিলাম: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দ‌লের তৃণমূ‌লের নেতা‌দের মতামত উপেক্ষা করে কে‌ন নির্বাচ‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছি‌লেন তা জানিয়েছেন জাতীয় পা‌র্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কমি‌টির সাম‌নে তিনি বলেছেনে, ‘বিএন‌পির আন্দোলন সফল হ‌বে না তা আগেই বুঝেছিলাম। তাই দলের অস্তিত্ব টি‌কি‌য়ে রাখ‌তে নির্বাচ‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছিলাম। তবে ভোট ভালো হয়নি।’

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ব‌র্ধিত সভায় এসব কথা ব‌লেন তিনি।

গত বছ‌রের ১২ ন‌ভেম্বর ব‌র্ধিত সভায় জাপার নেতারা নির্বাচন বর্জনের প‌ক্ষে মতামত দেন। ত‌বে আওয়ামী লী‌গের কাছ থে‌কে ২৬ আস‌নে ছাড় পে‌য়ে নির্বাচ‌নে অংশ নেন জি এম কা‌দের।

নির্বাচ‌নের আগের প‌রি‌স্থি‌তি ব্যাখ্যা ক‌রে কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সভায় বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।

নির্বাচনে অংশগ্রহ‌ণের প্রশ্নে নেতাকর্মীদের ম‌ধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জা‌নি‌য়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি।

মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন। আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলা‌দে‌শে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝ‌তে পে‌রে‌ছিলাম’।

বি‌রোধীদলীয় নেতা ব‌লেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। এবং জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।


জাতীয় পা‌র্টি   জাপা   জি এম কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মে দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আগামী ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া দলের অন্যান্য নেতারাও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, গতকাল খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে পরে সেই সমাবেশে স্থগিত করা হয়।


মে দিবস   নয়াপল্টন   সমাবেশ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনকে কঠোর বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ ব্যপারে তিনি প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলবেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যেন কোন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা না হয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেন কোনরকম পক্ষপাতের অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট অনুশাসন জারি করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে প্রার্থী না করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাচনকে মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন, তাদের পক্ষের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য। আর এটি যেন না হয়, সেজন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একদিকে তিনি যেমন দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন যে, দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না। দলীয় প্রতীক দেয়া হচ্ছে না উপজেলা নির্বাচনে। মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে না দাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং মন্ত্রী এমপিরা যেন নির্বাচনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে সেজন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী-এমপি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী করানোর জন্য মাঠে নেমেছেন এবং নির্বাচনে তারা যেন জয়ী হয় এজন্য নানা রকমের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে এসেছে বলেই জানা গেছে। আর একারনেই তিনি প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পৃথক পৃথকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিবেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেসমস্ত নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের জন্য দিতে যাচ্ছেন তার মধ্যে রয়েছে..

১) মাঠ প্রশাসন উপজেলা নির্বাচনে নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে

২) কোন প্রার্থীর পক্ষে মাঠ প্রশাসন কাজ করবে না এবং কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না

৩) কোন মন্ত্রী-এমপিরা তাদের অন্যায় অনুরোধ করলে তারা শুনবে না এবং সে ব্যাপারে তারা শুনবে না। এজন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবেন

৪) আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন সুষ্টু করার জন্য কাজ করবেন এবং কোন ভাবেই যেন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয়, সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।

৫) যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠবে তাদের ব্যাপারে আইনগত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশনায় দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি চাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনকে একটি অবাধ সুষ্টু নিরপেক্ষ করতে। একটি ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করাতে। যেন সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হয়।


উপজেলা নির্বাচন   প্রশাসন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন