ইনসাইড পলিটিক্স

কবে শপথ নেবেন ফখরুলরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে চান এবং সংসদে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কথা বলতে চান। আজ দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে তিনি আলাপ করেছেন যে, শপথ নেওয়া হলে সংসদে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, মুক্তি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলা সহজতর হবে। অবশ্য অনেকদিন ধরেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে চান বলে বিএনপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা দাবি করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘আমি গতকালই বলেছিলাম যে বিএনপির অনেক নেতাই উড়াল দিতে চায় এবং আমার কাছে এমন তথ্য আছে কারা সরকারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছেন এবং শপথ নেওয়ার পায়তারা করছেন।’ কী ধরনের তথ্য আছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে, ‘আমি তো পুলিশ নই। এসব তথ্য উন্মোচন করার দায়িত্ব আমার না। আপনারা নিজেরাই খোঁজ নিয়ে দেখুন কারা কোথায় কীভাবে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে এবং সংসদে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, আরও অনেক পাখি উড়াল দিতে চায় এবং শপথ নিতে চায়। কিন্তু বেগম খালেদার মুক্তি ছাড়া শপথ নিলে সেটা হবে জাতির সঙ্গে বেঈমানী। আজ তিনি বাংলা ইনসাইডারকে এটাও বলেছেন, যারা বলছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সংসদে যেতে হবে, তারা আসলে খালেদা জিয়াকে ব্লাকমেইল করছেন। তারা শপথ নিলে বিএনপি হয়ত আপাতত মেনে নেবে কিন্তু  ইতিহাসে তাদের বিচার হবে এবং তাদেরকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন না একদিন দাঁড়াতেই হবে।

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নির্বাচিত ছয় এমপির শপথ নিয়ে তোলপাড় চলছে। যদিও বিএনপিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, তারা কেউই শপথ নেবেন না এবং সংসদে যাবেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মির্জা ফখরুলই সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে তিনি বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের অন্য নেতাদের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে মির্জা ফখরুল উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে শপথ নেয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও মির্জা ফখরুল শপথ নিয়ে কোন উদ্যোগ, আলোচনা বা আগ্রহের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি শ্রেণী বিএনপিকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার জন্য নানা অপকৌশলে মেতেছে এবং এর অংশ হিসেবেই শপথ গ্রহণের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে।  তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম যাই বলুক না কেন বিএনপির যে সব নেতা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন তারা গত ১৭, ১৮ ও ১৯ মার্চ তিনদিন মির্জা ফখরুলের বাসভবনে একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।

একটি সূত্র অবশ্য বলছে, মির্জা ফখরুলের শপথ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ তেমন একটা নেই। অন্যান্য যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের মধ্যে এই আগ্রহটা বেশি। তাদের চাপেই মূলত শপথ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির শপথবিরোধী সিনিয়র নেতারা বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই পিছন থেকে তাদেরকে উসকে দিচ্ছেন যেন তারা শপথ নেয়ার জন্য দলের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করেন। তবে বিএনপির এই নেতারা কবে শপথ নেবেন এবং শপথের জন্য স্পিকারকে কবে চিঠি দেয়া হবে এ সম্পর্কে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। একটি সূত্র বলছে, আগামী সংসদ অধিবেশনের আগেই বিএনপির নেতৃবৃন্দ শপথ নেবেন।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় অধিবেশন ডাকা হয়। সেই হিসেবে ১০ মে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন বসার কথা।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হাসপাতালে থেকে আজই বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।

এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। 


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ পালনে আজ সস্ত্রীক সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


মির্জা ফখরুল   ওমরাহ হজ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে বিজেপির আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে।

এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।

ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


ভারত নির্বাচন   বিজেপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন