নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০১৯
একসময় তাঁরা আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকও ছিলেন। দলের সঙ্কটকালে তাদের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একসময় তাঁরা দল থেকে ছিটকে পড়েন এবং এই ছিটকে পড়েই বাঘ থেকে বিড়ালে পরিণত হয়েছেন। এদের অনেকে আওয়ামী লীগে নেই এখন। কেউ কেউ বহিষ্কৃত হয়েছেন, আর যারা আছেন তারা থেকেও না থাকার মতো। এমন কিছু আওয়ামী লীগ নেতা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন-
১. লতিফ সিদ্দিকী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি রাজনীতি করেছেন লতিফ সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি নির্ধারকও ছিলেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের ভূমিকার কারণে পরবর্তী নির্বাচনের পর গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও মনোনীত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। কিন্তু ২০১১ সালে নিউইয়র্কে হজ্জ নিয়ে কিছু মন্তব্য করার জন্য তিনি মন্ত্রীত্ব হারান, দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর তিনি আর দলে ফিরতে পারেননি। এখন তিনি রাজনীতিতে থেকেও নেই। ২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বরে তিনি নির্বাচনে স্বতন্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি ভোট বর্জনও করেন। আওয়ামী লীগে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কোনো ইঙ্গিত বা আভাসও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন রাজনীতিতে তিনি একটি নিখোঁজ সংবাদ।
২. ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম
ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম তাজউদ্দিন আহমেদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাজউদ্দিন আহমেদ যে মুজিবনগর সরকার গঠন করার উদ্দেশ্যে যে ভারতে গিয়েছিলেন, তখন তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাজউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি আলোচিত আর জনপ্রিয়ও হন। বঙ্গবন্ধুর আমলেই এই নক্ষত্রের পতন ঘটে এবং তিনি মন্ত্রীত্ব হারান। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর তিনি আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন এবং দলটির সঙ্গে থেকে আইনজীবী অংশের নেতাও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ পুনঃসংগঠিত হয়েছিল কিন্তু রাজনীতিতে তিনি কখনোই দলের সভাপতির বিশ্বস্ত এবং আস্থা অর্জন করতে পারেননি। এজন্য তিনি রাজনীতিতে থেকেও নেই। আওয়ামী লীগে তিনি আছেন কি নেই, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো কেউ জানে না। আইনজীবীদের রাজনীতি থেকেও তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ এখন আইন পেশা নিয়েই ব্যস্ত। রাজনৈতিক ডামাডোলে তাকে খুব একটা দেখা যায় না।
৩. মুকুল বোস
একসময়ে মুকুল বোসকে মনে করা হতো আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। এজন্যই তিনি একসময় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনও করেছিলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও হন তিনি। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের ঝরে তাঁর আদর্শ দুমড়ে মুচড়ে ছাড়খার হয়ে যান। তিনি ছিলেন মাইনাস ফর্মুলার অন্যতম সমর্থক। এই মাইনাস ফর্মুলার কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও রাজনীতি থেকে অবসরের কথাও বলেছিলেন। এ কারণেই তিনি রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন। ওয়ান ইলেভেনের পর মুকুল বোস রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হন। কিছুদিন আগে তাকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করা হলেও রাজনীতিতে তিনি থেকেও নেই। একসময় ভাবা হতো যে ভবিষ্যেতের নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে মুকুল বোস একজন। সময়ের আবর্তনে তিনি এখন অপাঙক্তেয়।
৪. আব্দুল মান্নান
বগুড়া কখনো আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর জায়গা ছিল না। প্রতি নির্বাচনেই বগুড়ার আসনগুলো আওয়ামী লীগের জন্য নাজুক ছিল। বগুড়া থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঝাণ্ডা উড়িয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ছিলেন। তাকে একরকম গড়েপিঠেই তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের সময়ে তিনিও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তিনিও রাজনীতিতে নির্বাসিত, থেকেও না থাকার মতো।
এরকম অনেক নেতা আছেন যারা একসময় আওয়ামী লীগের বাঘ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যাদের মনে করা হতো প্রধানমন্ত্রীর অতি আস্থাভাজন, ঘনিষ্ঠ, ক্ষমতাবান। কিন্তু তারা বাঘ থেকে বিড়ালে পরিণত হয়েছেন শুধুমাত্র নিজেদের আদর্শের বিচ্যুতির কারণে। এরকম তালিকা প্রণয়ন করলে সেটা একেবারে ছোট হবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।