নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা চুড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই এই তালিকা দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই তালিকা পর্যালোচনা করে যারা দলের জন্য ক্ষতিকর এবং বিপদজনক তাদের পর্যায়ক্রমে বের করে দেয়া হবে অথবা নিস্ক্রিয় করা হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো নিশ্চিত করেছে।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতি এই তালিকার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, সারা দেশে এই তালিকা তৈরী এবং তা কেন্দ্রে পাঠানোর কাজ চলছে। অন্য একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, অনেক এলাকা থেকে তালিকা পাঠাতে গড়িমসি করা হচ্ছে। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি দ্রুত এই তালিকা পাঠানোর জন্য নতুন করে তাগদাপত্র দেয়ার নির্দেশ দেন। সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কিছু মন্ত্রী-এমপির অবস্থান এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলে কোন্দল প্রসংগে গতকালের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। এই আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রসংগে উত্থাপন করেন। উল্লেখ্য, গতবছরের অক্টোবরে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য এখনও অনেকে আওয়ামী লীগে ঢুকছে। এরা বিভিন্ন অপকর্ম করছে, তার দায় আওয়ামী লীগের উপর পরছে। এসম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী ঐ সময়ই সারাদেশে নব্য আওয়ামী লীগারদের তালিকা তৈরী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের কারণে ঐ তালিকা প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রত্যেক জেলায়, যারা ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে কারা বিএনপি-জামাত থেকে এসেছে তারও তালিকা করতে বলা হয়েছিল। এই নব্য আওয়ামী লীগারদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাও পৃথক ভাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সূত্র জানা গেছে, ২০০৮ নয় ২০১৪ সালের পর আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক পরেছিল। যারা আওয়ামী লীগে সে সময় যোগদিয়েছিল, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এসেছিল বিএনপি-জামাত থেকে। এদের প্রায় প্রত্যেকেই অগ্নি সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার আসামী। পলাতক অবস্থায় তারা স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে আওয়ামী লীগে যোগদেয়। এদের কারণেই ২০১৪-১৫ সালে আগুন সন্ত্রাসের মামলা গুলো ঝুলে আছে বলেও মনে করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। এরা এখন আওয়ামী লীগ হবার কারণেই এই মামলা গুলোকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আর সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে এরাই বিভিন্ন স্থানে অশান্তি সৃষ্টি করেছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক মূল্যায়ন করেছেন। এরা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়া এমনকি কোথাও কোথাও বিএনপি জামাতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বলেও আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ এসেছে। তাই সবার আগে নব্য আওয়ামী লীগারদের তালিকা করে তাদের ভূমিকা মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।