নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০১৯
দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু তৃতীয় দফায় ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করলে তারা মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী, মন্ত্রীদের জন্য বাড়ি বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী যদি একজন মন্ত্রী দায়িত্ব ছেড়ে দেন তাহলে তিনমাস পর্যন্ত তিনি ঐ বাড়ি রাখতে পারেন। তিনমাসের মধ্যে তাকে বাড়িটা ছেড়ে দিতে হয়। সেই হিসেবে ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে, যেসব মন্ত্রীরা বাদ পড়েছিলেন তাদের জন্য গতকাল ৭ এপ্রিল ছিল বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার শেষদিন। কিন্তু ৮ জন মন্ত্রী এখন পর্যন্ত সরকারি বাসভবন ছাড়েননি। যে কারণে আজ থেকে তারা অবৈধ দখলদারে পরিণত হয়েছেন।
তবে এসব মন্ত্রীরা বলেছেন তারা খুব শিগগিরই বাসভবন ছেড়ে দেবেন। অবশ্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তারা বলেছেন যে মন্ত্রীরা দেশের আইন, নীতি প্রণেতা; তারা যদি আইন না মানেন তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয় আছে।
যেসব মন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাসভবন ছাড়েননি তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি ছায়াবীথি ২ ‘তন্ময়’, হেয়ার রোডে থাকতেন। সেই বাসা তিনি এখনো ছাড়েননি। মন্ত্রীর পারিবারিক সূত্র থেকে জানানো হয়েছে তিনি খুব শিগগিরই বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ৫নং মিন্টু রোডে থাকতেন। তিনিও এখনো তার বাসা ছাড়েননি। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছায়াবীথি ৬ ‘নিলয়’, হেয়ার রোডে থাকতেন, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ২০ পার্ক রোডে থাকতেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান থাকতেন ৩৫ মিন্টু রোডে, বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামালও ৫ মিন্টু রোডে, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট ১নং ভবনের ২য় তলায় এবং ঐ একই অ্যাপার্টমেন্টের ৪র্থ তলায় বাস করছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার। এদের কেউই এখনো বাসভবন ছেড়ে যাননি।
যদিও মনে করা হচ্ছে যে তিনমাস সময় অতিবাহিত হলেও তারা হয়তো দুই-চারদিনের মধ্যে বাসা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু যারা দেশের নীতি নির্ধারক ছিলেন, যারা দেশ পরিচালনা করতেন- তারা যখন আইন লঙ্ঘন করেন তখন সাধারণ মানুষকে আইনে বাধ্য করা কতোটা যৌক্তিক সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন