নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৯
মন্ত্রী এমপিকে সময় দিতে হবে কর্মীদের। মন্ত্রীদের বর্তমান সরকারের দায়িত্ব পাওয়ার তিন মাসের মাথায় কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরী হয়েছে। কর্মীরা অভিযোগ করছেন যে, নতুন মন্ত্রিসভায় যারা মন্ত্রী হয়েছেন তারা সময় দেন না। তাদের কাছে গেলে তারা দেখা করেন না। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ এসেছে যে, এমপি-মন্ত্রীরা বিশেষ করে মন্ত্রীরা সময় দেন না। তারা এলাকার খোঁজ খবর নেন না। কর্মীদের সমস্যা এবং নানা রকম অভিযোগ তারা শোনেন না। একইরকম অভিযোগ এসেছে এমপিদের বিরুদ্ধেও। একাধিক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও এমন অভিযোগ করেছেন।
এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কর্মীদের সচিবালয় বা মন্ত্রীদের কার্যালয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহীত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মন্ত্রণালয় তদবিরের জায়গা নয়। মন্ত্রণালয় দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা দলের বিষয়ে আলোচনার জায়গা নয়। যদি কোন রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা থাকে সেটা অন্য জায়গায় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষনিকভাবে কয়েকজন মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, মন্ত্রণালয়ের বাইরে একটি নির্দিষ্ট দিনে দলীয় কার্যালয় অথবা মন্ত্রীর বাসভবনে অথবা মন্ত্রীর সুবিধাজনক অন্যকোন স্থানে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধা শোনার জন্য মন্ত্রীদের মাসে অন্তত দুবার এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এমপিদের বলা হচ্ছে, তারা যেন এলাকায় যান। এলাকায় নেতাকর্মীদের কথা শোনেন এবং পরামর্শ দেন। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী অনৈতিক তদবির, চাকরি নিয়োগের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে কর্মীদের কোন পরামর্শ বা সুপারিশ মন্ত্রী এমপিদের গ্রহণ না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা যখন সংসদ সদস্য হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর শপথ নিয়েছেন, তখনই দেওয়া হয়েছিল।
এমনকি মন্ত্রী, এমপিদেরকে থানায় কোনো তদ্বির, কোনো মামলার আসামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, কোনো মামলার বিচারকার্যের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, আদলতে সুপারিশ না করা ইত্যাদি অনুশাসন ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা যেমন এলাকার রাস্তাঘাট, মানবিক কারণে কোনো অসুস্থ নেতাকর্মীর চিকিৎসা ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যক্তিগত এবং মানবিক বিষয়গুলো যেন মন্ত্রী, এমপিরা দেখভাল করেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সপ্তাহে অন্তত একদিনও যেন দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন সে ব্যাপারে খুব শীঘ্রই একটি অনুশাসন জারি করা হবে। এছাড়া মন্ত্রীদের সুবিধামতো একটি সময়কে নির্দিষ্ট করতে হবে যে সময়ে শুধু তিনি কর্মীদেরকে সাক্ষাৎ দেবেন। তবে সেটি দপ্তরে নয়, বাসায় বা অন্যকোনো সুবিধাজনক স্থানে দিতে হবে। মন্ত্রীরা এলাকায় গিয়ে যেন কর্মীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রাখেন যেখানে তিনি ব্যক্তিগত সমস্যা, অভাব অভিযোগগুলো শোনেন এবং সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, কর্মীরা যদি অসন্তুষ্ট হয় বা হতাশ হয়ে যায় তাহলে দলের যে সাংগঠনিক শক্তি সেই তা কমে যাবে। ফলে আস্তে আস্তে দল দুর্বল হয়ে পরবে। কর্মীদের চাঙ্গা করতে মন্ত্রী এবং এমপিদেরকে আরও কর্মীবান্ধব হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।