ইনসাইড পলিটিক্স

সিনিয়র নেতারা কিভাবে পরাজিত হলেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের ওপর থাকলে সর্বময় ক্ষমতা একজনের হাতেই থাকে। তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মূলত দলে এবং সরকারে তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়েছে এবার নির্বাচনের পর যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ব আস্তে আস্তে নিরঙ্কুশ হতে থাকে। বর্তমানে দলের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব তার ওপর। তার কথাই আওয়ামী লীগের শেষ কথা। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে যে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাতে দলের সিনিয়র নেতারা অপাংক্তেয় হয়েছে। এক সময় যারা দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে নীতি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করতেন, সেই সমস্ত নেতা যেমন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিমের মতো নেতৃবৃন্দ এখন দলে অপাংক্তেয়। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলেন, দলের কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে এখন তাদের নূন্যতম ভূমিকাও নেই। কেন এমন হলো? কি কারণে আওয়ামী লীগ থেকে দলের সিনিয়র নেতাদের গুরুত্ব হ্রাস পেল? কেনই বা সিনিয়র নেতারা দলের মধ্যে অপাংক্তেয় হলেন? কিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেন? এর কারণ বিশ্লেষন হওয়া প্রয়োজন। কারণ আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যেখানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা থাকে এবং ২০০৭ সালের আগেও আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংগুলো ছিল ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ। সেখানে নানা মত, নানা চিন্তা ধারার বিতর্ক হতো এবং যেকোন সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ হতো এবং এনিয়ে বিতর্ক হতো। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এর কারণ কী? অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত দলের সিনিয়র নেতাদের কিছু পদক্ষেপের কারণে এবং দলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তার কারণে। আসুন দেখা যাক কিভাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো এবং কেন সিনিয়র নেতারা দলের মধ্যে অপাংক্তেয় হলো?

১. ওয়ান ইলেভেন: ওয়ান ইলেভেনের আগের ও পরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক ছিল অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এখানে বিতণ্ডা হতো, বিতর্ক হতো এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির অনেক সিদ্ধান্তই সেখানে নাকোচ হয়ে যেত। সিনিয়র নেতারা তাদের নিজস্ব মতামত দিতে কার্পন্য করতো না। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের সময় দেখা গেলো যে দলের অধিকাংশ সিনিয়র নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার জন্য এক ধরনের ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত ছিল। যে ষড়যেন্ত্রর কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। যে কারণে এই ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই সিনিয়র নেতাদের একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছে। এই দূরত্বের কারণেই দলের নীতি নির্ধারনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সরকার পুনর্বিন্যাস থেকে আস্তে আস্তে তাদের ঝেড়ে ফেলেছেন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে দলের সিনিয়র নেতাদের পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে।

২. তৃনমূল এবং কর্মীদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা: প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন ১৯৮১ সালে। সে বছর ১৭ মে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন। তিনি দেশে আসার পর দলের সিনিয়র নেতারা চেয়েছিলেন ইচ্ছেমতো দল পরিচালনা করতে। শেখ হাসিনা যেন তাদের মতে চলেন সেলক্ষ্যে তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। আস্তে আস্তে কর্মীদের ভালোবাসা এবং তৃনমূলের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা শক্তিশালি হতে থাকেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তৃনমূল এবং কর্মীদের মাঝে শেখ হাসিনার বিপুল জনপ্রিয়তা প্রমানিত হয়। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তিনি নিরঙ্কুশ ছিলেন না। বরং ২০০১ সালে নির্বাচেনে বিপর্যয়ের পরে দলের সিনিয়র নেতারা তারা সমলোচনায় মুখর হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময়ও সিনিয়র নেতারা তার সমলোচনা করেছিলেন। মূলত সিনিয়র নেতাদের এই সমলোচনাগুলোই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দলের মধ্যে আরো নিরঙ্কুশ করে তোলে। তিনি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে এই জনপ্রিয়তাই শেখ হাসিনাকে শক্তি জুগিয়েছে। যার ফলে তিনি দলে এবং সরকারে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হন।

৩. কর্মীদের বিশ্বাসের অভাব: সিনিয়র নেতারা দলের মধ্যে এক সময় প্রভাবশালী ছিলেন এবং সিনিয়র নেতারা অনেক নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু ক্রমশ দলের কর্মীদের মধ্যে এই ধারণা জন্মে গেছে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া তাদের কল্যানের জন্য বা তাদের অধিকারের বিষয়টি শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ বিবেচনা করেন না। বরং সিনিয়র নেতারা দলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন বলেও দলের সিংহভাগ কর্মীরা মনে করেন। এ কারণে ক্রমশ সিনিয়র নেতাদের প্রতি অনাস্থা এসেছে এবং শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল হয়েছে। তারা শেখ হাসিনার প্রতিই শুধুমাত্র বিপুল সমর্থন জানিয়েছে। সিনিয়র নেতাদের প্রতি সাধারণ কর্মীদের অনাস্থাই শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

৪ সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিচক্ষণতা: আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি করতে হয়েছে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য থেকেই। ১৯৮১ সালে তিনি যখন রাজনীতিতে আসেন তখন এক বিরুপ রাজনীতির পরিবেশ তাকে মোকাবেলা করতে হয়। শুধু দলের বাইরে নয়, দলের ভিতরেও তাকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শেখ হাসিনা তারা রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা এবং কৌশল দিয়েই অন্যদের পেছনে ফেলেছেন এবং সে কারণেই তিনি দলের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

৫. সততা এবং নিষ্ঠা: আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা এবং নিষ্ঠার কারণে তিনি দলের তরুণ এবং সাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। সাধারণ কর্মী এবং তৃনমূলের নেতারা মনে করেন শেখ হাসিনার সততা প্রশ্নাতিত এবং তিনি দলের জন্য এবং দেশের জন্য ভাবেন। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ ধরনের ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে শেখ হাসিনা শুধু দেশের কথা চিন্তা করেন এবং দলের মঙ্গল কামনা করেন। সে কারণেই দলে এবং দলের বাইরে তার বিপুল জনপ্রিয়তা। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই দল পরিচালনা এবং সরকার পরিচালনায় একক কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছেন। এখান থেকেই সিনিয়র নেতারা দলে অপাংক্তেয় হয়েছেন। রাষ্ট্রে পরিচালনায় তারা ভূমিকাহীন হয়েছেন এবং একটি নতুন পরিবেশের উন্মেষ ঘটেছে আওয়ামী লীগ এবং সরকারে। 

 

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন