নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯
ফেনীতে নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ফেনী আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। নুসরাতের ঘটনার সঙ্গে যেসকল আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদককে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ টিম আজ অথবা কালকের মধ্যে ফেনীতে যাচ্ছে এবং নুসরাত হত্যাকান্ড ঘটনার কোনো দায় যেন আওয়ামী লীগের উপর না আসে সেটার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের যে পর্যায়ের নেতাই হোক না কেনো তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদেরকে তাৎক্ষনিকভাবে দল বহিষ্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এই ঘটনাটির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন।
যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম হানিফ বলেন, ‘ফেনীর ঘটনার ব্যাপারে আমরা নিজেরা তদন্ত করে দেখছি। এখানে কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীর নাম এসেছে। যাদের নাম এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নিজস্ব তদন্তের পর যদি আরও কারও নাম আসে তাঁর বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিবো। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।‘
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।