নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
বিএনপি থেকে নির্বাচিত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ শপথ নিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। এরপর থেকেই বিনেপিতে টালমাটাল অবস্থা। শীর্ষ নেতারা পরস্পরকে বেঈমান এবং গাদ্দার বলে গালাগালি করছেন। কেউ কাউকে বিশ্বাস করছেন না। দলের মধ্যস্তরের এবং তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এই শপথ গ্রহণের পেছনে দলের সিনিয়র নেতাদের মদদ এবং ইন্ধন রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএনপির একাধিক নেতা দাবী করেছেন, বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে তারেক জিয়ার সবুজ সংকেত রয়েছে। ঠাকুরগাও-৩ থেকে নির্বাচিত জাহিদ শপথ গ্রহণের দুইদিন আগে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। জাহিদ তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ‘শপথের ব্যাপারে তারক জিয়া সম্মতি দিয়েছেন।‘ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আরও দুজন নির্বাচিত বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের শপথ গ্রহণের ব্যাপারেও তারেক জিয়া ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন। তবে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এটা বানোয়াট তথ্য। তারেক জিয়া বারবার শপথ না নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি কি করে শপথ গ্রহণে সম্মতি দিবেন? সূত্রমতে, গত মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগেও তারেক জিয়া সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে স্কাইপে যুক্ত হন। তিনি শপথ না নেয়ার পক্ষে বিএনপি নেত্রিবৃন্দের মনোভাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। কিন্তু তারেক জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে রাজনীতি করেছেন, তারা বলছেন ‘এটাই তারেক জিয়ার চরিত্র।‘ সূত্রমতে, বেগম জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ্ আমান ঢাকা জেলার কমিটির ব্যাপারে তারেকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারেক তাঁকে বলেছিলেন, কমিটির নাম পাঠাতে। আমান যে নাম দেবে সেখান থেকেই কমিটি হবে। কিন্তু তারেক যখন কমিটি পাঠালেন তখন দেখা গেলো আমানের দেয়া তালিকা থেকে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। তারেক জিয়া যখন ড: খন্দকার মোশাররফের সঙ্গে কথা বলেন তখন ফখরুলের সমালোচনা করেন। আবার ফখরুলকে বলেন,‘ মোশাররফকে যেন বেশি প্রশ্রয় না দেওয়া হয়।’
বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন দুটি কারণে তারেক জিয়া বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে পারেন।
প্রথমত: তাতে যেন দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার যুক্তরাজ্যের কাছে দেন দরবার না করে সেজন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে তারেক বিএনপির নির্বাচিতদের সংসদে পাঠাচ্ছেন। এতে সরকার তার প্রতি নমনীয় হবে। একজন বিএনপি নেতা দাবি করেছেন, তারেকের স্ত্রী ডা: জোবায়দার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মহলের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। মির্জা ফখরুলরা যখন বিএনপির নির্বাচিতদের সংসদে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না, তখন তারেক জিয়ার সঙ্গেই এনিয়ে দরকষাকষি করে সরকার। এরফলে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারী উদ্যোগ সম্ভবত থমকে যাবে। বিএনপির অনেকেই মনে করেন, নিজে বাঁচার জন্যই হয়তো তারেক নির্বাচিতদের সংসদে পাঠাচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়া মনোনয়ন বাণিজ্য করে ৫ জন নির্বাচিতদের কাছ থেকেই মোটা অংক নিয়েছেন। এখন যদি তারা শপথ না নেন, তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এজন্য হয়তো তারেক নির্বাচিতদের গোপনে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।