নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০১৯
সৌদি আরবে নির্ধারিত হবে বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য। ঈদের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীন থেকে ক্ষীণতর হয়েছে। কারণ সরকারের সঙ্গে বিএনপি এবং বেগম জিয়ার পরিবারের যে সমঝোতার প্রচষ্টা। সেই সমঝোতার প্রচষ্টা খুব একটা এগোয়নি। এখানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। অন্য একটি সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা থমকে গেছে তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপের কারণে। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পরবর্তী অবস্থা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে হঠাৎ করেই সৌদি দূতাবাসের আগ্রহ তৈরী হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩১মে সৌদি আরবে যাচ্ছেন এবং সেখানে ওমরাহ পালন এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে একাধিক বৈঠক ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব বরাবরই সহানুভূতিশীল। উল্লেখ্য যে, ওয়ান ইলেভেনের সময় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সৌদি আরবের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া এবং সৌদি আরবে যতদিন ইচ্ছে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্বাবধায়ক সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সৌদি আরবে পাঠায়নি। এ সময় কি কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সৌদি আরবে যাওয়া হয়নি তা এখনো অজানা থাকলেও সৌদি আরবের সঙ্গে বেগম জিয়ার সখ্যতা অজানা নয়। একাধিক সূত্রে জানা গেছে যে, বেগম জিয়া কারান্তরীন হওয়ার পর জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সৌদি আরব সরকারের কাছে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল তারা যেন এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সৌদি সরকার তখন তা কিছুই করেনি। নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়াকে যখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন আবার নতুন করে সৌদি দূতাবাস এবং সৌদি সরকারের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। একটি সূত্র বলছে, সৌদি আরবে বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ রয়েছে। কিছুদিন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদ সম্পর্কে সৌদি আরবের পত্র পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, সৌদি আরবে বিনিয়োগকৃত অর্থের একটা বড় অংশ খরচ করেই সৌদি সরকারের একটি মহলকে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তৎপর করা হয়েছে। তারাই সরকারকে বেগম জিয়ার জামিন এবং সৌদি আরবে চিকিৎসার জন্য প্রেরণের ব্যাপারে দেনদরবার করছে। তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, বেগম জিয়ার জামিনের ব্যাপারে সৌদি আরব যে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে বেগম জিয়ার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া বা রাজনৈতিক অবসর নেওয়া এবং সৌদি আরবে চিকিৎসাকালীন সময়ে কোনোরকম রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়া, এই তিনটি মৌলিক বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। এই তিনটি বিষয়ে বেসম খালেদা শেষ পর্যন্ত রাজি থাকবেন কিনা সেটিও একটি দেখার বিষয়।
একাধিক সূত্র বলছে যে, সমঝোতার প্রশ্নে সবসময়ই শেষ সময়ে এসে বেগম খালেদা জিয়ার অনমনীয় অনড় অবস্থান ও একগুঁয়েমির কারণে সমঝোতা প্রস্তাবটা এগুচ্ছে না। এবার বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য যে সৌদির মধ্যস্থতায় সে সমঝোতা সেটারও ভবিষ্যত কী হবে, তা দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।