নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১৬ মে, ২০১৯
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয় রাজধানীর বনানীতে ভাড়ায় নেওয়া কার্যালয়টিও ছেড়ে দিচ্ছেন এরশাদ। বাড়ির মালিকও বাড়িটি খালি করে দিতে এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ঈদের পরেই দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা এ কার্যালয়টি ফাঁকা করে দেয়া হবে। আর এর মাধ্যমে এইচএম এরশাদের বনানী কার্যালয়ের সমাপ্তি হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার জানান, এরশাদ সাহেব অফিসটি ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। তাছাড়া বাড়ির মালিকের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে অফিসটি ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে। বনানীর এ কার্যালয়টিতে এরশাদ নিয়মিত বসতেন। মূলত; এখান থেকেই জাপার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা হতো। এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব, প্রেস সচিব, ডেপুটি প্রেস সচিব, কোষাধ্যক্ষসহ ১০ জনের একটি টীম প্রতিনিয়ত কাজ করতো এ কার্যালয়ে বসে।
এইচএম এরশাদ এই কার্যালয়ে বসেই বিদেশী কুটনীতিকদের সাক্ষাত দিতেন এবং বিদেশী প্রতিনিধিরাও এখানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক (বর্তমানে তালাকপ্রাপ্তা) নিয়মিত বসতেন বনানীর এই কার্যাালয়ে। এরশাদের পাশাপাশি সে সময় বিদিশাও সারাদেশের জাপার কার্যক্রম দেখভাল করতেন এখানে বসে। সে সময় বনানীর কার্যালয়টি অনেক আলোচনা-সমালোচনার জায়গা ছিল। বিদিশা পরবর্তীতে জাপার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বনানীতেই মানচিত্র নামের আরেকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে সেখান থেকে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।