ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনা যাদের কাছে ঋণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৯


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ৩৭ বছর পূর্ণ করে ৩৮ বছরে পা রাখছেন। ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পরিবেশে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। হাল ধরেছিলেন এক বিধ্বস্ত রাজনৈতিক দলের। সেখান থেকে আজ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। টানা দশ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যারা চরম সমালোচক, তারা স্বীকার করেন, শেখ হাসিনার একক কারিশমার কারণেই আওয়ামী লীগের এই অর্জন। শেখ হাসিনার একক রাজনৈতিক কৌশলের কাছেই পরাজিত বিরোধী দল। শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণেই আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে। রাজনীতিতে এখন শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ বলতে কিছুই নেই। দলে এবং দেশে তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। এমনকি প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক দলও শেখ হাসিনাকে দেশের প্রধান নেতা হিসেবেই মানেন। এই বাস্তবতায় পুরো জাতি শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। শেখ হাসিনার এই যে উথান, তার রাজনৈতিক বিকাশ, রাজনীতিতে নিজেকে সংহত করা, এর জন্য কি করো অবদান আছে? আজকের রাষ্ট্রনায়ক যিনি একাধারে বিশ্বনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তার এই উত্থানের পেছনে কাদের অবদান রয়েছে? এটা কি শুধুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুন আর দুরদর্শিতা? নাকি তার এই উত্থানের পেছনে আর কারো অবদান রয়েছে?

শেখ হাসিনা নিজেই বলেন, তার রাজনীতিতে এই সফলতা বা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের জন্য যে তিনি সুযোগ পেয়েছেন এটা সম্ভব হয়েছে কিছু মানুষের জন্য। এবং সেই মানুষগুলো কারা? আসুন জেনে নেওয়া যাক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস। শেখ হাসিনা কোন রাখডাক রেখেই বলেন, তিনি কিছু নন। তিনি শুধুমাত্র জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করছেন। জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণই তার একমাত্র লক্ষ্য। সে লক্ষেই তিনি কাজ করছেন। সেজন্য শেখ হাসিনার রাজনৈতিক, আত্মসামাজিকসহ সমস্ত কর্মসূচী জাতির পিতাকে অনুসরণ করেই। জাতির পিতা যা যা করতে চেয়েছিলেন, এক যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশকে তিনি যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেইভাবেই এগিয়ে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সেখানে তিনি নতুন কিছুই সংযোজন করতে চান না। অবশ্যই তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অবদান জাতির পিতার।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা: শেখ হাসিনা তার রাজনীতির বিভিন্ন বাঁকে বারবার স্বরণ করেছেন তার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। তিনি সবসময় বলেছেন, তার মায়ের ধৈর্য্য, প্রতিকূলতায় বিচক্ষণতা এবং বিপদে খেই হারিয়ে না ফেলে সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শিক্ষা তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে দেখি মায়ের মতো মেয়েও সাহসী এবং ততটাই ধৈর্য্যশীল। এমন রাজনৈতিক শিক্ষা তিনি তার পরিবার থেকেই পেয়েছেন। পরিণত, বিচক্ষণ এবং বিশ্ব নেতৃত্বে জায়গা করে নেওয়া শেখ হাসিনার আজকের অবস্থানের পেছনে অবশ্যই তাঁর মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনার আজকের অবস্থানের জন্য অবশ্যই তিনি তাঁর কাছে ঋণী থাকবেন।

শেখ রেহানা: শেখ হাসিনা তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় অকপটে স্বীকার করেছেন যে তিনি রাজনীতি করতে পারতেন না এবং রাজনীতিতে তিনি সফল হতে পারতেন না যদি তাঁর বোন তাঁর পাশে না থাকত। তাঁর বোন একাধারে তাঁর পরামর্শদাতা, তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু এবং তাঁর সবচেয়ে বড় সাহসের আশ্রয়, সবচেয়ে বড় স্বান্তনার আশ্রয়। শেখ হাসিনা একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যখন তিনি মুষড়ে পড়েন, যখন তাঁর মনে হয় যে তখন শেখ রেহানাই তাঁকে সাহস দেন, স্বান্তনা দেন। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ রেহানা প্রমাণ করেছেন যে, তিনি শেখ হাসিনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, কতটা জরুরী এবং শেখ হাসিনা তাঁর উপর কতটা নির্ভর। আজকে শেখ হাসিনা যে আজকের এই অবস্থায় তাতে শেখ রেহেনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল: শেখ হাসিনার আজকের অবদানের পেছনে তাঁর দুই সন্তানের অবদানও অনস্বীকার্য। কারণ শেখ হাসিনা যখন ৮১ সালে রাজনীতিতে এসেছিলেন তখন তাঁর দুই সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়ার জন্য ভারতের দেরাদুনে বোর্ডিং স্কুলে রেখে পড়াশোনা করাতে হয়েছিল। ওই দুই সন্তান মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আদর না পেয়ে বড় হয়েছে। কিশোর বয়সে মাতৃস্নেহ বঞ্চিতদের মানসিক অবস্থা কি হতে পারে সেটা বুঝার জন্য কোনো বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। কিন্তু এই দুটি সন্তানই দেশের জন্য উৎসর্গকৃত প্রাণ। তাঁর মায়ের দেশপ্রেম এবং দেশের জন্য তাঁর মায়ের জীবন উতসর্গ করাকে তাঁরা মেনে নিয়েছে এবং মাকে সাহস জুগিয়েছে, নিজেদের কষ্ট চেপে রেখেছে। শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এত ব্যস্ততায় তাঁর দুই সন্তানের প্রতি নজর দিতে পেরেছেন খুবই কম। তারপরও তাঁরা মায়ের যে নির্দেশনা, মায়ের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তাঁরা যোগ্য সন্তান হিসেবে গড়ে উঠেছে।

আজকে বাংলাদেশের যে দুটি বড় অর্জন একটি হলো- তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনন্য সাধারণ একটি জায়গায় যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ যে অটিজমের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে সে দুটির ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার দুই সন্তানের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সুপরামর্শ দেন বলেই জানা যায়।  কাজেই আজকে যে বিশ্ব নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার আবির্ভাব সেখানে অবশ্যই তাঁর দুই সন্তানের অবদান অনস্বীকার্য।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিকাশ ও রাজনৈতিক অমরত্বের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান যেটা শেখ হাসিনাই সবসময় বলেন তৃণমূলের শক্তি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা। তৃণমূলের সাহস এবং তৃণমূলের নিঃশর্ত সমর্থন এবং ভালোবাসা। যে ভালোবাসায় শেখ হাসিনা বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। যে ভালোবাসায় তিনি প্রতিপক্ষকে পর্যদুস্ত করেছেন। যে ভালোবাসায় তিনি পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের এক অবিসংবাদিত নেতায়।

 

 

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহীদের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।

প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   মির্জা ফখরুল   ড. মঈন খান   নজরুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

৩০ এপ্রিল কী হবে আওয়ামী লীগে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ। 

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একটা নিরপেক্ষ অবস্থান রাখতে চেয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। শুধু দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নয়, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন তাদেরকে মন্ত্রী-এমপিরা সমর্থন দেবে না এবং আওয়ামী লীগ দলগত ভাবে কোন প্রার্থী দেবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগের এই নির্দেশনা অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিরা মানেননি। তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন এবং যারা আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেননি তারা নিজস্ব ব্যক্তিকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এলাকায় আধিপত্য রক্ষার জন্য। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশনা মানেননি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের ৩০ এপ্রিলের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এ নিয়ম আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম চর্চা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা কারা কারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করছেন, স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছেন সেই তালিকা তৈরি করেছেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের বৈঠকে এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। 

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র গুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বিশেষ করে নির্বাচনকে যেন কেউ প্রভাবিত করতে না পারে, নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি কোনো ছাড় দেবেন না- এই বার্তাটি প্রধানত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দেওয়া হবে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী এবং এমপিরা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নিজেদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পর্যায়ক্রমে। আওয়ামী লীগ আকস্মিকভাবে তাদেরকে বহিষ্কার করা বা চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যাবে না। বরং প্রথমে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং যে সমস্ত নেতারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী দিয়েছেন তাদের কমিটিগুলোকে পুনর্গঠন করার বিষয়টিও সামনে আসতে পারে। এ ছাড়া যারা মন্ত্রী এবং এমপি তাদের জন্য এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো তাৎক্ষনিকভাবে সবাইকে বহিষ্কার করা বা দলে থেকে বের করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ তিনি নেবেন না। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হলো উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করা। নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি বাড়ে সেটি নিশ্চিত করা। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে উপজেলা নির্বাচনে যেন মানুষ ভোট দিতে যায় সে বিষয়ে জনগণকে উদ্ধ করার পর জোর দিবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ যেন উপজেলা নির্বাচনের যাকে ইচ্ছা মানুষ ভোট দিক সে বার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই নির্দেশনা দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ   কার্যনির্বাহী কমিটি   উপজেলা নির্বাচন   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ, পুলিশের বাধায় নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।


নয়াপল্টন   বিএনপি   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন থেকে সরলেই বহিষ্কৃতদের ক্ষমা করবে বিএনপি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার সরে আসার খবর জানাতে হবে।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   রুহুল কবীর রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।

রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না। কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।

জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’। 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’। 


ওবায়দুল কাদের   বিএনপি   শেখ জামাল   নানী কবরস্থান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন