নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ মে, ২০১৯
অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বিএনপি। আগামী ১১জুন থেকে অনুষ্ঠেয় সংসদ অধিবেশনে বিএনপির নির্বাচিত কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে সম্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। তবে, কৌশলগত কারণে এই পাঁচ সাংসদের কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার নির্দেশেই বিএনপির ৫জন সংসদ সদস্য এরকম অবস্থান নেবেন। এর মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্যোগ শুরু হবে।
বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল জাতির পিতাকে অস্বীকৃতি এবং ৭৫ এর খুনীদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে। স্বাধীনতা বিরোধী এবং ৭৫ এর খুনীদের নিয়েই বিএনপির আত্মপ্রকাশ। আওয়ামী বিরোধী ভোট একাট্টা করতে বিএনপি জাতির পিতাকে অস্বীকার করে, ইতিহাস বিকৃতি করে জিয়াউর রহমান জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানায়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম জিয়া বানোয়াট জন্মদিন পালন শুরু করে। এরফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুরু হয় বিভক্তির যুগের।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। ওই নির্বাচনের প্রচারেই আওয়ামী লীগ প্রথমবারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে। এরফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট পায় তিন চতুর্থাংশ আসন। এখান থেকে আওয়ামী লীগ একে একে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতির পিতার স্বীকৃতির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়। এসব ব্যাপারে একটি জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে রাজনীতির আওয়াজ ওঠে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়, রাজনীতিতে নীতি আদর্শের মত পার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু মৌলিক জাতীয় প্রশ্নে ঐক্যমত থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, জাতির পিতা ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে বিভাজন করা যাবে না।
বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন। এরপর থেকেই বিএনপি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিহিংসার রাজনীহিতর বদলে রাজনীতির দাবী করে আসছিলো। বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের কাছে , বাংলাদেশে রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালুর দাবী করেছিল। কিন্তু বিএনপি এখন বুঝতে পারেনি যে, এটা তাদের জন্য হীতে বিপরীত হবে। কূটনৈতিক মহল এনিয়ে নিজেরা পর্যালোচনা করে, বিএনপি- আওয়ামী রীগ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে। এসব আলাপ- আলোচনা থেকে কূটনীতিকদের কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, তা হলো বাংলাদেশের রাজনীহিততে বিরোধের সূত্রপাত ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। তাই রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সকল দলের সহ অবস্থানের নীতির চর্চার জন্য এ বিষয়ে ঐক্যমত প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষিতেই সহ অবস্থানের ১০ দফা সুপারিশ দেয়া হয় (দেখুন ১০ দফা সমঝোতা প্রস্তাব যেমন… আ. লীগ-বিএনপির ১০ দফা সমঝোতা প্রস্তাব)। সেই সুপারিশের বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ দৃশ্যমান হবে এবার সংসদে। বিএনপির কোন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে প্রথমবারের মতো জাতির পিতাকে স্বীকৃতি দেবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।