নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ মে, ২০১৯
এখন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জাতীয় পার্টির দিকে ঝুঁকছে বিএনপি। বিএনপির রাজনিতিতে এখন টালমাটাল অবস্থা চলছে। ২০ দল আছে কি নাই, বিএনপির অধিকাংশ নেতারাই জানেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারেও একই অবস্থা। এরকম একটি হ য ব র ল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন নতুন বন্ধু খুঁজছে। পুরনো বন্ধুদের নিয়ে কোনো কাজের কাজ হবে না বলেই মনে করছে লন্ডনে পলাতক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এজন্যই নতুন মিত্রের সন্ধানে নেমেছে বিএনপি।
বিএনপি মনে করছে যে, ভোটের ব্যাংকে জাতীয় পার্টির ভালো ভোট রয়েছে এবং জাতীয় সংসদে যেহেতু জাতিয় পার্টি এখন বিরোধী দল। তাই জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্য গড়লে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে। তবে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এ ধরনের উদ্যোগকে আরেকটি আত্মঘাতী তৎপরতা হিসেবে মনে করছেন। উল্লেখ্য যে, বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সাল থেকে প্রথমে চার দলীয় ঐক্যজোট এবং পরে ২০ দলীয় ঐক্য জোট গড়েছেন। ২০ দলীয় ঐক্যজোট বিএনপির একটা আদর্শিক জোট হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু গত বছরের নির্বাচনের আগে লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার প্রেসক্রিপশনে ২০ দলীয় জোটের বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি থাকলেও তার নেতা নির্বাচিত করা হয় ড. কামাল হোসেনকে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনে তাদের শোচনীয় ভরাডুবি হয়। এরপর বিএনপির মধ্য থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাদ দিয়ে শুধু ২০ দলকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি হয়।
বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বলেছিলেন যে, ২০ দলীয় জোট থাকবে বরং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের পরামর্শেই শেষ পর্যন্ত বিএনপির পাঁচ জন সংসদ সদস্য (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া) সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির তারেকের প্রেসক্রিপশনে ঘোষণা করেছেন যে, সংসদের ভেতরে এবং বাইরে আন্দোলন করবেন। সংসদের ভেতরে মাত্র পাঁচজন সংসদ সদস্য নিয়ে আন্দোলন করার মতো অবস্থা যে বিএনপির নেই সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।
আবার গণফোরাম থেকে যে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খান তারা কেউই বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংসদে কাজ করবে এমনটি ভাবছেন না বিএনপির নীতি নির্ধারকরাও। এর ফলে বিএনপিকে নতুন মিত্রের সন্ধান করতে হচ্ছে। এরশাদ যেহেতু অসুস্থ, সেজন্য এখন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন জি এম কাদের। জি এম কাদেরের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির একটা গোপন যোগাযোগ ছিল। ২০১৪ সালে বিএনপি যখন নির্বাচন বয়কট করেছিল, জিএম কাদেরও সেই দলে ছিলেন।
জিএম কাদের সরকারের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের কঠোর সমালোচক। তাছাড়া রাজনীতিতে এরশাদের মতো কোনো ভাড়ামীপূর্ণ ইমেজ তার নেই। বরং তার ইমেজটা অনেক স্বচ্ছ এবং সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি জনগণের কাছে পরিচিত। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি।
বিএনপির তারেকপন্থিরা মনে করছে, ২০ দল এখন অকার্যকর। এই জোটের দলগুলর শক্তি সামর্থ নেই বললেই চলে। আর জামাত সঙ্গে থাকায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সহযোগিতা বিএনপি পাচ্ছে না। এও বাস্তবতায় ২০ দলকে অকার্যকর রেখেই বিএনপি আলাদাভাবে চলতে চায়।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিজেরাই এখন বিভক্ত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আপনাআপনিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে বিএনপি মনে করছে। এ অবস্থায় সংসদের ভেতরে ও বাইরে আন্দোলন করার জন্য জাতিয় পার্টির দ্বারস্থ হতে চাইছে বিএনপি। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, বেগম খালেদা মুক্তির ব্যাপারে জাতীয়পার্টির অবস্থান স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে তারা সহানুভূতিশীল হলেও প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি না। খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু ছাড়া জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপি নতুন করে ঐক্য করলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে সে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ২০ দলীয় জোট আছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও আছে। আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও ঐক্য করবো। আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটা জাতীয় ঐক্যমত তৈরি করতে কাজ করছি। যত বিলম্বেই হোক, সেটা আমরা করবো একদিন। তবে এরকম ঐক্য প্লাটফর্ম করলে সেখানে নেতা কে হবে এবং সেটা কী কী ইস্যুতে কাজ করবে সেসব বিষয় অস্পষ্ট রেখে এরকম প্লাটফর্ম রাজনীতিতে মোটেও কার্যকর হবে না বলে মনে করছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এখন বিএনপি আন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে কোন পথে যায় সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন