নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ জুন, ২০১৯
একই রাজনৈতিক দল করেন, একই আদর্শে বিশ্বাস করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সাপে নেউলে সম্পর্ক। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কারো নাম শুনতে পারে না। তাদের বিরোধের খবর জানে না, এমন মানুষ এই দেশে খুঁজে পাওয়া দায়। কেন তাদের বিরোধ সেটাও কেউ জানে না। কিন্তু এই বিরোধ কখনোই মিটবার নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমন বেশকিছু ব্যক্তি আছেন, যাদের এই বিরোধ সবাই জানেন। তারা এটাও জানে যে বিরোধ মিটবার নয়। আসুন জেনে নেয়া যাক কার সঙ্গে কার বিরোধ…
সেলিনা হায়াৎ আইভী- শামীম ওসমান: আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে আইভী। শামীম ওসমান হলেন একেএম শামছুজ্জোহার ছেলে। চুনকা এবং শামসুজ্জোহা দুজনেই নারায়নগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমান রাজনীতিতে এসেছেন। সেলিনা হায়াৎ আইভী এখন মেয়র এবং শামীম ওসমান হলেন সংসদ সদস্য। একই এলাকার এই দুই প্রভাবশালীর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দুজনার সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে। দুজনে কেউ কারো নাম সহ্য করতে পারে না। তাদের সম্পর্কের এই অবনতি কেন, সেটা কেউ জানে না। নারায়নগঞ্জবাসী মনে করে এই সম্পর্কের অবনতি উত্তরাধিকার সূত্রেই। অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, চুনকা এবং শামসুজ্জোহার সম্পর্কের তেমন কোন অবনতি ছিল না। দুজনের সম্পর্ক মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের সম্পর্কের কিভাবে অবনতি হলো, দুই মেরুতে কেন তারা অবস্থান করছে তার পেছনে অনেক বক্তব্য আছে। সেই বক্তব্যে নাই বা গেলাম। কিন্তু তাদের সম্পর্কের যে কোনদিনই উন্নতি হবে না, সেটা জানেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বয়ং।
কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী- নিক্সন চৌধুরী: নিক্সন চৌধুরী সরাসরি আওয়ামী লীগ করেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরিবারের তিনি একজন সদস্য। নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত এমপি এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি তিন তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও প্রত্যেকবার তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এই দুজনার মধ্যেও মুখ দেখাদেখি বন্ধ। জাফরুল্লাহ রাজনীতিতে সবই পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। কিন্তু তারপরও তিনি নির্বাচিত এমপি হতে পারেননি, কারণ হলো নিক্সন চৌধুরী। নিক্সন চৌধুরীর বাড়ি হলো মাদারিপুর। কিন্তু তিনি মাদারিপুর থেকে ফরিদপুর এসে এই আসনটিকে নিজের করায়ত্ত করেছেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়। তার বক্তৃতায় লক্ষবস্তু একটাই, কাজী জাফরুল্লাহকে আক্রমন করা। কাজী জাফরুল্লাহকে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী, পাকিস্তানের এজেন্টসহ নানা রকম অভিযোগে অভিযুক্ত করতে এতটুকু কার্পণ্য করেন না। তাদের দুইজনের সম্পর্কের অবনতির কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জানেন এবং কেউই তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
শাহজাহান খান- আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম: শাহজাহান খান করতেন জাসদ আর বাহাউদ্দিন নাছিম করতেন আওয়ামী লীগ। জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন শাহজাহান খান। শাহজাহান খান আওয়ামী লীগের হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন দুদফায়। অন্যদিকে বাহাউদ্দিন নাছিম শেখ হাসিনার সহকারী একাণ্ড সচিব ছিলেন, তারপর এমপি হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দুজনার বাড়ি মাদারীপুর। কিন্তু দুজনের সম্পর্ক সাপে নেউলে। কারো কাছে অপরজনের নাম বললেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তার সম্বন্ধে সমালোচনা মূলক বক্তব্য রাখে। বাহাউদ্দিন নাছিম যেমন মনে করেন যে, শাহজাহান খান কখনোই আওয়ামী লীগ করতেন না। সে জাসদ থেকে এসেছে। এরা আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতিকারক। অন্যদিকে শাহজাহান খান মনে করেন, বাহাউদ্দিন নাছিম হলেন জনসমর্থনহীন উড়ে এসে জুড়ে বসা কিছু নেতা। তাদের দুজনার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন সময় চেষ্টা তদবির হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এবার নির্বাচনে শাহজাহান খান বাহাউদ্দিন নাছিমকে মনোনয়ন বঞ্চিত করেছেন। আবার তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে শাহজাহান খানের মন্ত্রী না হওয়ার পেছনেও বাহাউদ্দিন নাছিমের অবদান আছে বলে অনেকে মনে করেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী- নিজাম হাজারী: ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে গুটিকয়েক প্রার্থী পরাজিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী। মনে করা হয়, ইকবাল সোবহানের পরাজয়ের পেছনে নিজাম হাজারীরই হাত রয়েছে। নিজাম হাজারী হলেন জয়নাল হাজারীর উত্তরসূরী। যদিও ইকবাল সোবহান চৌধুরী পরাজিত হবার পর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু যেটাই করুক না কেন, ফেনীতে তিনি সমালোচিত। ফেনীতে তার অবস্থান অত্যন্ত নড়বড়ে। ফেনীর রাজনীতিতে নিজাম হাজারীই হলো শেষ কথা। মাঝে ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে ফেনীতে যাওয়াই নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন নিজাম হাজারী। যদিও সেই বরফ কিছুটা গলেছে। এবার ইকবাল সোবহান চৌধুরী মনোনয়ন পাননি এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু দুজনার মধ্যে যে সম্পর্কের শীতলতা, তা এতটুকু কমেনি।
রাজনীতিতে এরকম বিরোধগুলো একটা দলকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ করে, তেমন একই আদর্শের অনুসারি হয়ে তারা যদি স্ব- বিরোধী অবস্থানে থাকেন, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরী হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।