নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০১৯
দীর্ঘ ৫ মাস পর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গোপনীয়তা রক্ষা এবং দলের তথ্য ফাঁসের প্রসঙ্গটি মুখ্য হয়ে উঠেছিল। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমভাগে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের আইনজীবিদের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দকে দল পরিচালনার কৌশল সম্বন্ধে নির্দেশনা দেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, দুটি পর্যায়ের বৈঠকেই বিএনপির গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা দলের গোপন সিদ্ধান্তগুলো সরকারের কাছে ফাঁস করে দেয়। সরকার আগে থেকেই বিএনপির কৌশল সম্বন্ধে জানে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আইনজীবিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রথমেই বলেন যে, আমরা এখানে যা আলোচনা করবো, সব তথ্য মিটিং শেষ হওয়ার আগেই সরকারের কাছে চলে যাবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আমরা যে কৌশল নিবো, সেই কৌশলের বিপরীতে সরকার আগে থেকে পদক্ষেপ নিবে। তিনি এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা যখন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য হাইকোর্টে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঠিক তার আগে সেই সিদ্ধান্তের কথা সরকারের কাছে চলে যায়। সরকার সঙ্গে সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে ৫ সদসেদ্যর একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। তিনি আরো বলেন, আমরা যখন বেগম খালেদা জিয়ার একের পর এক জামিনের জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম, সেই তথ্যও সরকারের কাছে ফাঁস হয়ে যায়। সরকার প্রাথমিকভাবে আরো কয়েকটি মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া যেন জামিনে মুক্ত না হতে পারেন সেই পথ চিরতরে বন্ধ করে দেয়।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই বক্তব্যের পর বৈঠকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কয়েকজন নেতা জানতে চান যে, কারা সরকারের এজেন্ট? কারা আওয়ামী লীগের কাছে তথ্য ফাঁস করে? কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এখানে কারো নাম প্রকাশ করেননি। একইভাবে যখন তারেক জিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতা হয়, তারেক জিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতাতেও বিএনপির অন্য একজননেতা মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন যে, এই সমস্ত আলাপের বিষয়বস্তুগুলো কোন কিছুই গোপন থাকে না। সবকিছু সরকারের কাছে চলে যায়। বিএনপিরই কিছু লোক এটা ফাঁস করে দেয়। যার ফলে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়। মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, আন্দোলনের ব্যাপারে কোন খসড়া তৈরী করলেই তা সরকারের কাছে চলে যায়। যেকোন কর্মসূচী নেওয়া বা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের মতো যাই কিছু করার প্ল্যান করি না কেন তার আগে দলের মধ্যে যারা সরকারের এজেন্ট, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তারেক জিয়া জিজ্ঞাস করেন তাদের নাম কি? কিন্তু মির্জা আব্বাস তাদের নাম বলেননি। শুধু বলেছেন যে, তাঁরা এত শক্তিশালী যে তাঁদের নাম বললে দলের মধ্যেও বিপদে পরব, সরকারের কাছেও সমস্যায় পরব। কিন্তু বিএনপির একাধিক সূত্রগুলো বলছে যে, আজেন্ট বিতর্কেই বিএনপি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারা সরকারের এজেন্ট, কারা সরকারের কাছে বিএনপির সব তথ্য ফাঁস করে দেন এ নিয়ে বিএনপিতে অভিযোগ চলছে। বিএনপির অন্যতম নেতা ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ্ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে এবং এরা বিএনপি যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিএনপি যেন কোনোভাবেই দাঁড়াতে না পারে সেজন্য কাজ করছে।
অন্যদিকে কারামুক্ত হয়ে নিষ্ক্রিয় থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবং বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলেন সরকারের প্রধান এজেন্ট এবং তিনি বিএনপির সব তথ্য সরকারকে ফাঁস করে দেন। তার কারণেই বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী কারাগারে আছেন বলে শিমুল বিশ্বাস বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, যারাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরোধিতা করে তাকেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার দিয়ে ধরিয়ে দেন।
বিএনপির আরেক নেতা হাবিবুন নবী খান সোহেলের ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ করেছেন, বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, আমান উল্লাহ্ আমান এরা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং সরকারের কাছে বিএনপির গোপনতথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, যারা এধরণের অভিযোগ করে তাঁরাই আসলে সরকারের এজেন্ট। বিএনপিকে বিভক্ত করার কৌশলে তাঁরা নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কাজ করছে। কে এজেন্ট বা কে এজেন্ট নয় তারচেয়েও বড় কথা এই বিভক্তি বিএনপিকে কোনো আন্দোলন কর্মসূচির দিকে এগিয়ে নিতে দিচ্ছে না। গতকালকের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা আন্দোলন কোনো ব্যাপারেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়নি। এজেন্ট আতঙ্কে বিএনপির কোনো নেতাই এখন মুখ খুলতে রাজী নয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।