নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৯
দুই সপ্তাহ আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘প্যাকেজ’ আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। কিন্তু দুই সপ্তাহ গড়ালেও কোন ‘প্যাকেজ’ আন্দোলন তো দূরের কথা, আন্দোলনের নামে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারেনি বিএনপি। এনিয়ে বিএনপির শীর্ষ মহলে নানা রকম কানাঘুষা চলছে। এনিয়ে সন্দেহের তীর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দিকে। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য মনে করছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সরকারের গোপন আঁতাত রয়েছে। তিনি সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত প্যাকেট পান। প্যাকেট পেয়েই তিনি প্যাকেজ আন্দোলনের কর্মসূচী বন্ধ করে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের কর্মসূচী তৈরী করা হবে। এজন্য একগুচ্ছ প্যাকেজ আন্দোলনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আন্দোলনের কর্মসূচী এবং সময়সূচী নির্ধারনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর দুই সপ্তাহ পেরুলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন কর্মসূচী ঘোষণা করেননি বা কোন আন্দোলনের দিন তারিখও দিতে পারেননি। কেন দিতে পারেননি এ ব্যাপারে বিএনপির একাধিক সদস্য বলেছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে চাপ দেওয়ার কৌশল হিসেবেই এই প্যাকেজ আন্দোলন কর্মসূচী করতে চেয়েছিলেন। যখনি তিনি সরকারের কাছ থেকে ‘উপঢৌকন’ পেয়েছেন তখনই তিনি আন্দোলনের কর্মসূচী থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, প্যাকেজ আন্দোলন করি আর যে আন্দোলনই করি, আমাদের আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আর কোন পথ খোলা নেই। কিন্তু এটা বোঝার পরও আমাদের নেতারা কেন আন্দোলনের মতো কোন কর্মসূচী দিচ্ছেন না সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একগুচ্ছ প্যাকেজ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছিল। প্যাকেজে কি কি আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছিল জানতে চাওয়া হলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওই বৈঠকে আমরা বলেছিলাম অবস্থান কর্মসূচী, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধাপে ধাপে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী আমরা পালন করবো। সরাদেশে স্বাক্ষর অভিযান করবো, সারাদেশে মানববন্ধন করবো এবং আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দলের মহাসচিব কেন কর্মসূচী গ্রহণ করছেন না তা তার বোধগম্য নয় বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জাতীয় সংসদে বিএনপির ৬ জন সদস্যর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে বৈধতা দিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর যখন বাম মোর্চা থেকে হরতাল এবং কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়, সেই হরতাল এবং কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য বিএনপির একাধিক নেতার পক্ষ থেকে চাপ ছিল। সেই চাপে অস্বীকৃতি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ওই কর্মসূচিকে সমর্থন দেননি। বরং তিনি ওই কর্মসূচিতে সহমত পোষণ করেছে। বিএনপির মত একটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন কর্মসূচি বিহীন। এটা বিএনপির মধ্যে একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিএনপির অন্যতম নেতা মেজর অব. আবদুল হাফিজ বলেছেন যে, বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে না কেনো এটার বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। আন্দোলন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন। তিনি মনে করেন যে, বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন না হলে বিএনপির মধ্যে আন্দোলন করার কোনো সম্ভাবণাই নাই। এদিকে আন্দোলনকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্যই হঠাৎ করেই কাউন্সিলের কথা বলা হয়েছে বলে একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা মনে করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কাউন্সিলের কোনোরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেটাই চাইছেন যেটা সরকার চাইছে। সরকারের নির্দেশেই এখন বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবী করেছেন, তিনি যা কিছু করছেন তা সবকিছুই খালেদা জিয়ার নির্দেশেই করছেন কিন্তু বিএনপির সিনিয়র নেতারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্রমশই অবিশ্বাস করছে এবং মনে করছে যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারনেই বিএনপি ক্রমশ একটি নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আন্দোলন কোনোটাই সম্ভব হচ্ছে না। বিএনপি আসলে কি চায় এই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন সম্প্রতি এক বৈঠকে বলেছেন যে, আমরা যদি আন্দোলন করতে না পারি তাহলে আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। কিন্তু কিছু না করার মধ্যদিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক রহস্য পুরুষে পরিণত হয়েছেন বিএনপির কাছে। এই মুহুর্তে বিএনপিতে দলের সবচেয়ে অজনপ্রিয় ব্যক্তিটি হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন যে, বিএনপি সঠিক পথেই আছে এবং যখন সময় হবে তখনই আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।