নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
দেড়শোজন নেতাকর্মীকে শোকজ করা হলেও এখনই আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর অবস্থানে যাবে না। বরং আওয়ামী লীগ শোকজ দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা এবং ভবিষ্যতে দলের ঐক্য যেন তারা নষ্ট না করে সেরকমভাবে একটি নির্দেশনা দিয়েই তাদেরকে ছেড়ে দিবেন। এছাড়াও দীর্ঘ সময় যারা আওয়ামী লীগ করেছেন, নানা রকম মান অভিমান করে দলে নিস্ক্রিয় রয়েছে। যারা দু:সময়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু এখন পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্বে দল থেকে দূরে রয়েছে তাদেরকে সক্রিয় করা, দলে ফিরিয়ে আনা এবং কাজে লাগানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, রংপুর ৩ আসনের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন যে, অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনীত করতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছে। যারা আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাস করে। তাদেরকে আওয়ামী লীগে রাখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাদেরকে দূরে ঠেলে দেওয়া কোন চ্যালেঞ্জ নয়। দূরে ঠেলে দেওয়া ভালো কাজ না। তাদেরকে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করাটাই প্রধান কাজ বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালি করার জন্য ৫ টি পরামর্শ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে।
তার মধ্যে প্রথমটি রয়েছে, দলের যে সমস্ত ত্যাগি এবং পরীক্ষিত কর্মী রয়েছে তাদেরকে স্থানীয় নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য কাজ করা।
দ্বিতীয়ত, দলে যারা সুবিধাভোগী আছে এবং যারা অন্য দল থেকে এসে সুবিধা লাভের আশায় আসে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে না আসা।
তৃতীয়ত, তরুণ বিশেষ করে যুবকদেরকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। তরুণদেরকে উৎসাহিত করা।
চতুর্থত, দলে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। নারীরা যেন বেশি করে আওয়ামী লীগে যোগদান করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। পঞ্চমত, অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্ব পালন শেষে যেন তারা নিস্ক্রিয় না হয়ে পড়ে বরং তাদেরকে যেন মূল দলে সম্পৃক্ত করা যায় সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী কাউন্সিলের আগে এখন থেকেই যেন এই ধারায় সংগঠনিক তৎপরতা তৈরী করা হয়। বিশেষ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ যে জেলায় ৭৬টি সম্মেলন করবে এবং কাউন্সিলর মনোনয়ন হবে সেই কাউন্সিলর মনোনয়নে স্থানীয় নেতৃত্ব যেন সঠিক সত্যিকার আদর্শে বিশ্বাসী, ত্যাগি, পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করা হয় সে ব্যাপারে তিনি দৃষ্টি ও নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তরুণদেরকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালি করা এবং জনবান্ধব রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং আমাদেরকে নিদের্শনা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশনার আলোকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা থেকেই এই মুহূর্তে উপজেলায় যারা দলের বিরুদ্ধাচারণ করেছে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকবে আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।