ইনসাইড পলিটিক্স

‘শেখ হাসিনাই যুবলীগের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। অনেক অনেক প্রশ্ন এখন এই কংগ্রেসের প্রাক্কালে ঘুরছে। যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসের প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা ইনসাইডারের।

বাংলা ইনসাইডার: যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের প্রস্তুতি কেমন?

হারুনুর রশিদ: যুবলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবলীগকে দেশ গঠনের কারখানা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রচিন্তা এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন সেই আলোকে যুবলীগকে দেশ গঠন এবং গঠনমূলক রাজনীতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুবলীগ আজকের এই অবস্থানে। সেই সংগঠনের কংগ্রেসে স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে চাইবেন। তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য রয়েছে। এদেশের যুব সমাজ যারা তারা এই সংগঠনটিকে ভালোবাসে। কারণ যুবলীগ লাখো যুবকের স্বপ্নের ঠিকানা। কারণ যুবলীগ যুবদের ধ্যান ধারণা আকাঙ্খাকে ধারণ এবং লালন করে। তার আলোকেই আমাদের নেত্রীর যে রাজনীত তা এগিয়ে নিয়ে যায় যুবলীগ। বর্তমান যুবরাইতো এক সময় এদেশের নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদের বিষয়টা আমরা যেমন মাথায় রাখি তেমনি নেত্রীও মাথায় রাখেন। সেই আলোকেই আমরা কংগ্রেসে যুবলীগকে সাজাতে চাই। এ কারণে যুব সমাজেরও একটা গভীর উৎসাহ রয়েছে এই কংগ্রেসের ব্যাপারে।

এই কংগ্রেসে প্রাণপ্রিয় নেত্রী তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এটা কিন্তু একটা মাইলফলক। এই কংগ্রেস দৃষ্টিনন্দন সুশৃংখল এবং খুব তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী। আমাদের সিনিয়র নেতা যারা, প্রেসিডিয়াম, জেল, মহানগরের যারা নেতা আছেন সবার মাঝে একটা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সেটা দৃশ্যমান হওয়া বাকি।

এবার যুবলীগের কংগ্রেস হচ্ছে একটা সংকটময় মুহূর্তে। যুবলীগের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি এখন জেলে। এরকম একটা সংকটময় মুহূর্তে এখন যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করতে গিয়ে আপনি কি কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি?

না, চ্যালেঞ্জ বলতে যেটি বোঝায় সেটা হলো একটি সফল কংগ্রেস মানেই তো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে, যে সংকট বা সাময়িক যে বিষয়গুলি বিশেষ করে ইমেজ সংকটের যে বিষয়গুলো রয়েছে- আমি মনে করি এগুলো সাময়িক। এগুলো ব্যক্তির দায়। যুবলীগ একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় নয়। ব্যক্তির দায় বলতে ব্যক্তি বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়ও বিদায় হবে। আমার যদি কোনো কালিমা থাকে তার জন্য সংগঠন দায়ী নয়। যে নেতৃত্ব আসবে, তার জন্য আলোর দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস।

আপনার কি মনে হয় না এর জন্য যুবলীগের ইমেজ সংকট হয়েছে? আপনি বললেন লাখো তরুণ যুবলীগ করে, তাদের কাছে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি?

ইমেজ সংকট যে কালিমার কারণে, সেই কালিমা এবং ইমেজ সংকট যাদের কারণে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজেই মানুষ কি চায়? মানুষ দেখে যে অপরাধ করলে তার শাস্তি হয় কি না। শাস্তি যেহেতু নিশ্চিত হয়েছে সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে, কাজেই আমরা মনে করি এই কংগ্রেসের যে ঢেউ উঠবে, সবকিছুর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস একটা মাইলফলক হিসেবে যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, পিছনের যত কালিমা রয়েছে তা ধুয়েমুছে যাবে।

যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক রকম আলোচনা হচ্ছে, পুরো দেশবাসীর আগ্রহ যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসছেন। আপনি যুবলীগের জেনারেল সেক্রেটারি, আপনি কি মনে করেন, কি রকম নেতৃত্ব আসতে পারে?

যারা সংগঠনটিকে ভালোবাসে, এই সংগঠনে যাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ, শ্রম, ভালোবাসা রয়েছে, সেখান থেকেই নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন। তবে সব কথার শেষ কথা, এই সংগঠন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে লালন করে এবং তার আদর্শে পতাকা বহনকারী সংগঠন। কাজেই এই সংগঠনে যারা নেতৃত্বে আসবে, তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে অর্থাৎ যে নেত্রীর সেন্টিমেন্ট বুঝবে, নেত্রীর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, নেত্রীর আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে- এমন নেতৃত্বই এই কংগ্রেসের মাধ্যমে আসা উচিৎ।

এবার এই কংগ্রেসে কতজন আসবেন, কাউন্সিলে কতজন আসবে, এই ব্যাপারে আপনারা কি ভাবছেন/জানেন?

আমাদের তো অনেকেই আসতে চায় সারা বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু আমাদের তো আয়োজনে সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে যে প্যান্ডেলটা করা হয়েছে, সব মিলিযে সেখানে যে আসন সংখ্যা, সেখানে লক্ষ যুবক আসতে চাইলেও আমি তো তাদের সেখানে অ্যাকোমোডেট (স্থান সংকুলান) করতে পারবো না। কাজেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকগুলো এসে একটা কষ্টের ভিতরে পড়বে। কাজেই যেই আয়োজন আছে, সেই আয়োজনকে ছাপিয়ে সেখানে আমাদের ২৫-৩০ হাজার যুবক কংগ্রেসে আসতে পারবে।

সারাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব কি রকম হবে?

সেখানে প্রথমে তো উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন, তারপরে যখন কাউন্সিল শেষ হবে, সেখানে সাড়ে ২২শ এর মতো কাউন্সিলর থাকবেন।

কতজন কাউন্সিলর থাকবেন? কীভাবে এটা ঠিক করা হয়েছে?

এটা হচ্ছে প্রতি গ্যালারি ২৫ জন করে কাউন্সিলর। আমাদের যে জেলার ইউনিটগুলো রয়েছে, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর, আমাদের যে ইউনিট কোর্ড আছে জেলা, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর। এবং এই কাউন্সিলর নির্ধারণে জেলায় যদি নেতৃত্বের মধ্যে কোনো সংকট তৈরি হয় সেটারও পথনির্দেশ করা আছে আমাদের গঠনতন্ত্রে। সেটা হলো ১-২৫ এর মধ্যে যার মান থাকবে তারা কাউন্সিলর হয়ে যাবে। যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয় কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তাহলে গঠনতন্ত্র নির্দেশ করে দিয়েছে তোমাদের মতবিরোধ থাকলেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে যাবো অটোম্যাটিকালি ১-২৫।

আপনার কি মনে হয় এবার যুবলীগের নেতৃত্ব হবে কি ভোটের মাধ্যমে নাকি সর্বসম্মত ভিত্তিতে? প্রত্যেকবারই তো আমরা দেখি এটা একটা আলোচনার মাধ্যমে হয়। এবার কিভাবে হবে। যেহেতু এবার কংগ্রেসটা একটা অন্য রকম তাৎপর্য নিয়ে আসছে?

যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এর আগে ছয়টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সপ্তম কংগ্রেস। কোনো কংগ্রেসেই যুবলীগের কর্মীরা সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক, এটা যুবলীগের কর্মীদের মানষিকতার মধ্যে নেই। কারণ তারা মনে করে সংগঠনের মালিক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তার সংগঠন কিভাবে সুচারুভারে পরিচালিত হবে সবার চেয়ে তিনিই ভালো বুঝবেন। এবং যারা উনার কাছে আকাঙ্খা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে থেকে তাদের সার্ভিস রেকর্ড, তাদের ভূমিকা, তাদের সাহসিকতা, সংগঠন পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের দক্ষতা, তাদের বুদ্ধিমত্তা তাদের মেধা সবকিছু বিবেচনায় এনেই নেত্রী সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এমন ধরণের আকাঙ্খা প্রকাশ করে নেত্রী যতদিন জীবিত আছেন তিনিই নির্ধারণ করবেন যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসবেন।

আপনি তো দীর্ঘদিন যুবলীগের সঙ্গে আছেন। নতুন নেতৃত্বের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?

নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা রাজনীতিকে যেন সৎভাবে গ্রহণ করা। এটি একটি সততার পেশা। এটা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কাজেই আমি সংগঠনে আসবো কিছু নেওয়ার জন্য নয় কিছু দেওয়ার জন্য এমন চিন্তা থাকতে হবে। আমরা জাতিকে, তরুণ প্রজন্মকে তাদেরকে দেওয়ার মানষিকতা নিয়েই। প্রথম শর্ত হলো দেওয়ার মানষিকতা, ত্যাগী মনোভাব থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে যে মনোভাব প্রেষণ করি তা বাস্তবায়নে কোনো বাধা প্রতিবন্ধকতা যদি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে সেটা অতিক্রমের একটি সাহস থাকতে হবে। কাজেই নতুন নেতৃত্বের কাছে এটিই প্রত্যাশা করব যে, এই দেশের যুব সমাজের যে চিন্তা চেতনা ধ্যান-ধারণা আকাঙ্খা সেটা ধারণ করে, লালন করে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের, আমাদের আদর্শিক নেতা, আমাদের পথপ্রদর্শক তার যে চিন্তা চেতনা সেটা যেন নতুন নেতৃত্ব ধারণ করে একটা পরিচ্ছন্ন্য সংগঠন, একটা আদর্শ সংগঠন। যেই সংগঠনে শুধু প্রশংসায় থাকবে বা সেই সংগঠনে যেন কোনো অপবাদ পিছু না নেয় সেই ধরণের কর্মসূচি তাদের গ্রহণ করতে হবে। সংগঠনকে সেভাবেই সাজাতে হবে, যেনো কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি সংগঠনে আসতে না পারে। যার জন্য সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন ব্যক্তি যেন সংগঠনের কোনো স্তরে যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেটি নতুন নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে।

আপনি কি মনে করেন এই কংগ্রেস সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কোনোরকম কোন্দল  বা বিভাজন থাকবে না?

আমি এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। কারণ এই কংগ্রেস নিয়ে যেহেতু লক্ষ লক্ষ লোকের একটা প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্যই সুশৃঙ্খল হবে কারণ যুবলীগ সুশৃঙ্খল একটি সংগঠন। এখানে উৎশৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। যুবলীগ উৎশৃঙ্খল কোনো নেতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কাজেই অনেক সুন্দর একটা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা মনে করি। চাওয়া পাওয়া নিয়ে অনেকের ভেতরেই আকাঙ্খা থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে মানষিকতা বা এ রকমের দু:সাহস তাদের সংখ্যা হয়তো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। যেটা কংগ্রেসের খ্যাতি, যে লোকসমাগম, যে নান্দনিকতা, যে শৃঙ্খলা এই সব কিছুর কাছে এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি থাকে সেগুলো ধুয়ে মুছে বিদায় হয়ে যাবে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হবে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে। তারেক জিয়ার এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। হেভীওয়েট নেতারা বলছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং ঢালাওভাবে এধরনের সিদ্ধান্ত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরকে দলের সিনিয়র নেতারা আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি তারা দেখবেন। আর এই আশ্বাসের কারণেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন না। তারা বুঝতে পেরেছেন এ সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করা হবে পুর্নমূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরাও তারেকের ওপর বিরক্ত

প্রথম দফায় বিএনপির ৬৩ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর তৃতীয় দফায় বিএনপির ৬৮ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে যেমন বিএনপি নেতাদের হুমকির পর পরই প্রার্থীরা তাদের মনোন য়ন প্রত্যাহার করেন, এবার তা হচ্ছে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করেই উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভক্তি। বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচন তাদের মধ্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় সহজ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই কারণেই দলের নির্দেশনা অমান্য করছেন।

আবার কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তা থেকে নির্বাচন করছেন। তারা মনে করছেন যে, একের পর এক নির্বাচন বর্জনের কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, সংগঠন দূর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায় যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে যাওয়া যাবে। দল সংগঠতিত করার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর এই সুযোগ সৃষ্টি করতেই তারা উপজেলা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

বিভিন্ন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, যখন তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে তখনই তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাবী করেছেনে, তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের প্রতি নমনীয় এবং সহানুভূতিশীল বলে দাবী করেছেন অন্তত ৩ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানো প্রার্থী। দলের মহাসচিব তাদেরকে বলেছেন, ঠিক আছে, নির্বাচন করে জিতে আসুন তারপর দেখা যাবে।

আরও পড়ুন:  খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

অন্যদিকে কয়েকজন নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, রুহুল কবির রিজভী তাদেরকে মোটেও উৎসাহিত করেননি। কয়েকজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা দুজনই তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেন। যদি তারা মনে করেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে অনেক নেতাকে।

আর একারনেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থীরা সড়ে যাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনে যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।  


বিএনপি   তারেক রহমান   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   রুহুল কবির রিজভি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা দলগতভাবে নির্বাচন করবে না। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি এবং দলীয় প্রতীকও ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে গোনা দু’একজন। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরাই এ সিদ্ধান্ত মানেননি। তাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই আত্মীয় স্বজনের একটি নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পরিবার। এর বাইরে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাদেরকে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ধরা হবে না। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, অনেকের আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা। কোথাও কোথাও তারা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। তাদেরকে বাঁধা দেওয়া যায় কিভাবে সে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তুলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, স্ত্রী, ভাই, বোন সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী করা ঠিক না। এর বাইরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এ স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন কোন আলোচনা করছে না।

আরও পড়ুন: স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনটাকে সুষ্টু, অবাধ এবং অর্থপূর্ণ করার জন্য কৌশলগত কারনেই এখন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। তবে উপজেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখা হবে। যেসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট অপরাধ করবেন তাদেরই কপাল পুড়বে। কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিবেন তার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে। যেমন..

১। যদি ঢালাওভাবে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলায় প্রার্থী করা হয়। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, স্ত্রী, পুত্র একসাথে যদি নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সেই মন্ত্রী এমপিদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

২। যদি কোন মন্ত্রী-এমপি তাদের পক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতানোর জন্য প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

৩। যদি মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের বা অন্য কোন প্রার্থীর উপর চড়াও হয় বা সহিংসতা করে বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে যেসমস্ত মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা এসমস্ত কাজে জড়িত থাকবেন তাদের কপাল পুড়বে।

৪। যদি মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের কপাল পুড়বে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন, চটজলদি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলা লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ফরিদপুর বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, কুমিল্লা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন।

বহিষ্কার হওয়া সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বহিষ্কার বিএনপি প্রার্থী ৬১ জন।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন