নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাকি আর মাত্র ৬দিন। আগামী পয়লা ফ্রেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রচারণা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া ছাড়াও নির্বাচনে জয়ের জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করছেন প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরা। সেই কৌশলের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজেদের পক্ষে ভেড়ানো। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা একটি বড় ফ্যাক্টর। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা এবং ভোটারদের ভোটে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলররাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
কারণ একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররাই নিবিড়ভাবে ঘুরে বেড়ায় আর তারা ওই ওয়ার্ডের নারী নক্ষত্র সবই জানেন। এক্ষেত্রে দুই দলই মনে করছে যে, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা যদি তাদের পক্ষে থাকে তাহলে নির্বাচনী বৈতিরণী পাড় হওয়া অনেক সহজ হবে। এই নির্বাচনে দুই দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। প্রতিটা ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, উত্তরে মোট ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৫৪টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই জনপ্রিয়। বিদ্রোহী প্রার্থীরা যেহেতু আওয়ামী লীগে মনোনয়ন পাননি তাই দলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নেই। তাই নির্বাচনে জয়ী হতে মরিয়া তারা। আর এই সুযোগটি নিতে চাইছেন উত্তরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
বিভিন্ন সূত্র প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই তাবিথ আউয়াল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে যোগযোগ শুরু করেছেন। তাবিথকে সমর্থন দিলে বিএনপির ভোটগুলো বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাবেন আর এতে তাদের জয় সুনিশ্চিত হবে। এ রকম একটি প্রলোভন দিয়ে তাবিথ বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ভেড়াতে চাচ্ছেন।
এই কৌশলে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামও। ৫৪টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই বিএনপিরও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারা দলীয় মনোনয়ন পাননি। আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ভেড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ সাধ্যমত সব চেষ্টাই করছে।
আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বলা হচ্ছে, তারা যদি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করে এবং নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের উৎসাহীত করেন তাহলে নৌকার ভোটগুলোও বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যাবে। এরপর তারা যদি শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা করবে।
একই কৌশল দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭২টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এদের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছে। এই সমস্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে ইশরাক হোসেনের এজেন্টরা। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বোঝাচ্ছে তারা বিএনপির সমর্থন পেলে এবং বিএনপির ভোটগুলো তাদের জন্য অনেকটা সহজ হবে।
এরকম যুক্তি দেখিয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার চেষ্টা করছে। একই কৌশল অবলম্বন করছে শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা টিম।
তবে আওয়ামী লীগের মাঝে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ বিএনপির থেকে। কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সবাই ক্ষমতাবান। তারা প্রকাশ্যে প্রচারণা করছে। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে হয় স্থানীয় এমপি নাহলে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মদদ দিচ্ছে। তাদের মদদের কারণে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছেন। প্রশাসনের সাথেও তাদের নানারকম সখ্যতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এইসমস্ত বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি শেষপর্যন্ত নিজেদের বিজয়ের জন্য বিএনপির ভোট ব্যাংকের ভোট পেতে যদি তারা বিএনপির সাথে আঁতাত করে, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর জন্য একটা বড় ধরণের সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ বিএনপি থেকে যে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়াবে, তাঁর নিজস্ব কোন ভোটব্যাংক নেই এবং বিএনপির ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেবেনা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে, তাদের একটা নিজস্ব বলয় এবং গ্রুপ রয়েছে। তাদের নির্দেশিত পথেই ভোট দেবে।
তবে নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিজস্ব ভোটব্যাংক এবং গ্রুপ রয়েছে তারা যদি মনঃস্থির করে যে তারা তাদের কাউন্সিলরকে জেতাবে এবং সেই কাউন্সিলরকে জয়ী করার বিনিময়ে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিবে- এমনটা তারা করতে পারে। তবে শেষ বিচারে এই গোপন আঁতাতে কে বিজয়ী হয় সেটা দেখার বিষয়। কারণ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর একক শক্তির তুলনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের শক্তি এবং প্রচারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থী দুই দলের জন্যই বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।