নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২০
সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিধি নিষেধ নেই। আচরণবিধির ফাঁকগোলে বিএনপির অধিকাংশ হেভিওয়েট নেতাই এবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে স্থায়ী কমিটির প্রায় সব সদস্যই নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তর-দক্ষিণে সর্বক্ষণ বিচরণ করছে। সেদিক থেকে আওয়ামী লীগ একটু অসুবিধাজনক অবস্থানে আছে। মন্ত্রী-এমপিরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। একারণে নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এমনকি নির্বাচনের কাজ পরিচালনার জন্য যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা- আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদও অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করলে কি হবে, বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতারাই এবারের নির্বাচনে ঢাকার ভোটার নন এবং তাঁরা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। যেসব নেতারা এবারের সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না তাদের মধ্যে রয়েছে-
বেগম খালেদা জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবরণ করছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারান্তরীন রয়েছেন। এই নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। জানা গেছে। ২০১৪ এর পর থেকে তিনি ভোটার হিসেবে তাঁর নাম নবায়ন করেননি। আর এখন যেহেতু দণ্ডিত। সেইজন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
তারেক জিয়া
বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তারেক জিয়ার বাংলাদেশের কোন এলাকার ভোটার তালিকায় নাম নেই। এমনকি তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এই কারণে এবারের নির্বাচনে তিনি ভোট দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার ভোটার নন, তিনি ঠাকুরগাঁয়ের ভোটার। আর এইজন্য এবারের নির্বাচনে তিনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করলেও ভোট দিতে পারছেন না।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার ভোটার। এই নির্বাচনের প্রচারণায় তাকে সবথেকে বেশি সরব দেখা গেলেও নির্বাচনে তিনি কাউকেই ভোট দিতে পারছেন না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে এবারের নির্বাচনের প্রচারণায় তেমন সরব না দেখা গেলেও বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় মাঝে মাঝে অংশগ্রহণ করেছেন এবং মাঝেমধ্যে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দু-চারটি কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। এই নির্বাচনে তিনিও প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করলেও ভোট দিতে পারবেন না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বিএনপির আরেক হেভিওয়েট নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবারের নির্বাচনে বেশ সরব ছিলে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ-অনুযোগ করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন নেতৃত্বে। তবে নেতৃত্বে থাকলে কি হবে, নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না কারণ তিনি চট্টগ্রামের ভোটার।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন, যে একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যদি কেউ ভোটার না হোন, তাহলে তিনি কি সেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না? এবং নির্বাচন আচরণবিধিতে এটার সংশোধন হবার প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন একটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটাররা ছাড়া অন্যকেউ থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন বিএনপির এই হেভিওয়েট নেতাদের কি হবে সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।