নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চসিকে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরি। আজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৯ জন। তাদের মধ্যে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আইনজীবীও রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দলীয় মনোনয়ন বিতরণের প্রথম দিন মেয়র পদে মোট চারজন ফরম সংগ্রহ করেন। তারা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক মন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনজন। তারা হলেন– বর্তমান মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুছ।
১২ ফেব্রুয়ারি ফরম সংগ্রহ করেন পাঁচজন। তারা হলেন– সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের আবদুচ ছালাম, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ইনসান আলী ও সাবেক সংসদ সদস্য মইনুদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান।
১৩ ফেব্রুয়ারি ফরম সংগ্রহ করেন দুজন। তারা হলেন– সাবেক মেয়র মনজুর আলম ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন।
সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি চরজন ফরম সংগ্রহ করেন। তারা হলেন– চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের ভাই এরশাদুল আমীন, লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার মো. মনোয়ার হোসেন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক কুমার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণত পরীক্ষিত ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা এবং ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারগুলোকে মূল্যায়ন করে থাকেন বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী। এসব দিক থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে রেজাউল করিমকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।