নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন দ্বিতীয় ধাক্কা পেলেন ঢাকা ১০ আসনের মনোনয়ন চেয়ে। মেয়রপদে মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। মূলত খোকনের প্রতি ভালোবাসার কারণে নয়, তার পিতা প্রয়াত মেয়র হানিফের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থেকেই খোকনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেছেন বলে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। সেই সাঈদ খোকন এবার ঢাকা ১০ আসনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। কিন্তু ঢাকা ১০ আসনে যেহেতু আগে থেকেই শফিউল মহিউদ্দীনের ব্যাপারটি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলে নির্ধারিত ছিল, সেই জন্য সাঈদ খোকন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করেই কিভাবে ফরম কিনলেন তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে আলাপ- আলোচনা- বিতর্ক।
তবে বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে এ ব্যাপারে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে যে, এক বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন এবং বিভিন্ন সংসদীয় আসনে উপ নির্বাচনের জন্য বিপুল পরিমান ফরম বিক্রী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও এই খবর শুনে একটু খুশি হন। তিনি বলেন, তাই নাকি! কতজন ফরম কিনেছেন জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিপ্লব বড়ুয়া তাকে সংখ্যাটি জানান। এতে প্রধানমন্ত্রী মুচকি হাসেন। হেসে তিনি বলেন, বাবা এতজন! ঘটনাক্রমে সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিপ্লব বডুয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাঈদ খোকন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করেন, খোকন তুমিও ফরম কিনেছো নাকি? এর জবাবে সাঈদ খোকন বলেন না আপা আমি ফরম কিনিনি।
ধারণা করা হচ্ছে সাঈদ খোকন এটাকেই সংকেত হিসেবে নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাঈদ খোকন ধানমন্ডি আসনে ফরম কিনেছেন কিনা? এটাকে সাঈদ খোকন সবুজ সংকেত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
এরপর তিনি গণভবন থেকে বেরিয়ে যান এবং আধা ঘন্টার মধ্যেই বিপ্লব বডুয়াকে ফোন করেন। ফোন করে জানান তিনি ফরম কিনতে আগ্রহী। বিপ্লব বডুয়া যেহেতু দফতর সম্পাদক, তাই যে কেনো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের ফরম কিনতে আগ্রহী হলে তাকে ফরম দেওয়া তার দায়িত্ব। ফরম কিনে যথারীতি তিনি জমা দিয়ে দেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই জিজ্ঞাসা কি ইতিবাচক ছিল? সাঈদ খোকন তি তাকে পাল্টা কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলেন। না জিজ্ঞাসা করে তিনি কি করে ভাবলেন এটিই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি।
এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, তার যদি রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং দূরদৃষ্টি না থাকে তাহলে তিনি কিভাবে রাজনীতিতে এগিয়ে যাবেন?
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাঈদ খোকনকে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাস করেছিলেন তুমি ফরম কিনেছো কিনা? এতেই সাঈদ খোকন মনে করেছিলেন এটি হয়তো ইতিবাচক। আসলে প্রধানমন্ত্রী এত ফরম কেনার ভিড় দেখে একটু কৌতুকের সূরেই কথাটি বলেছিলেন।
কিন্তু সাঈদ খোকন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বুঝতে পারেননি। যেভাবে মেয়র থাকাকালীন সময়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের বার্তা এবং আকাঙ্খার কথা বুঝতে পারেননি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী সাঈদ খোকনকে সাহচর্য দেবেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী তাকে কাছে রেখে রাজনীতির তালিম দেবেন। তবে গত পাঁচ বছর সাঈদ খোকনের যে অভিজ্ঞতা বা ২০০১ সালে তার যে রাজনীতির গতি প্রকৃতি তাতে তিনি কতটুকু পরিণত রাজনীতিবিদ হতে পারবেন তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।