নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরে তার অবস্থান। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ আওয়ামী লীগের যে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই কাউন্সিল অধিবেশনের পরে ওবায়দুল কাদেরের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকাই ছিল মূল। ওবায়দুল কাদেরের পছন্দের ব্যক্তিরাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের মধ্যেই অভিযোগ রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বের পাশাপাশি সেতুমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় এনিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অসন্তোষ এবং অস্বস্তি লুকানো থাকেনি। তারা প্রকাশ্যেই কাদেরের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের সমালোচনা করেছেন। এরফলে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন বলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে কানাঘুষা রয়েছে। কিন্তু এবার সেই ওবায়দুল কাদেরের কর্তৃত্বই খর্ব করা হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা মহানগরীর দুই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব প্রধান করা হয়েছে কাজী জাফরুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক এবং ফারুক খানকে। এই তিনজনই প্রেসিডিয়ামের সদস্য। জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মহানগরীর এই কমিটিতে যেন সিন্ডিকেট না হয়, একটি বিশেষ গ্রুপ যেন কমিটি করায়ত্ত না করে, এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের মহানগরের যে বিগত কমিটি সেই কমিটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগও ছিল। সে কারণেই এবার কমিটিতে অপেক্ষাকৃত সৎ, স্বচ্ছ এবং দলের জন্য নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীদের অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই দলের এই সিনিয়র তিন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগি এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও ওবায়দুল কাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরা ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বাহাউদ্দীন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল। সেই কমিটির গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল। এবার তাই যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে, তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, বিভিন্ন নেতাকে বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার অর্থ এই নয় যে ওবায়দুল কাদেরের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। বরং ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি অসুস্থ। এজন্য তার চাপ কমানোর জন্যই অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে ওবায়দুল কাদেরের যে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব, এই কর্তৃত্ব কমানোর জন্যই অন্যান্য নেতারা যেন নিজেদের গুটিয়ে না নেন- সেজন্যই বিভিন্ন কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। এরফলে দলের মধ্যে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।