নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল একজন সফল রাষ্ট্রনায়কই নন, তিনি একজন ভালো সংগঠকও। নিজের হাতে তিনি অনেক নেতাকে তৈরি করেছেন। কেউ কেউ তার অপত্য স্নেহ পেয়ে নেতা হিসেবে বিকশিত হয়েছেন। আবার অনেকে নেতৃত্বে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেননি।
১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। সেই সময় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রলীগ থেকে সম্ভাবনাময় তরুণদেরকে আবিস্কার করা, তাদেরকে রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া, বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে তাদেরকে বিকশিত করার চেষ্টা শেখ হাসিনা করেছেন। আজকে যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃত্বে রয়েছেন, তাদের সবাই প্রায় শেখ হাসিনার হাত ধরে রাজনীতিতে বিকশিত হয়েছেন। কিন্তু এদের অনেকেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেননি।
সুলতান মাহমুদ মনসুর, মাহামুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, মুকুল বোস, হাবিবুর রহমান- এরা সবাই শেখ হাসিনার হাত ধরেই রাজনীতিতে পরিচয় লাভ করেছিলেন। কিন্তু এদের অনেকেই রাজনীতিতে তাদের সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। কিন্তু তারপরেও দমে যাননি শেখ হাসিনা। আগামী দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ যেন নেতৃত্বশূন্য না হয়, আগামী দিনে যেন আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃত্বের সঞ্চারণ থাকে সেজন্য শেখ হাসিনা তার সমস্ত দায়িত্বের পাশাপাশি তরুণদের গড়ে তোলার কাজও করছেন।
এখন শেখ হাসিনার বিশেষ পরিচর্যায় যেসমস্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সম্ভাবনার আলো ছড়াচ্ছেন তাদের কয়েকজনকে নিয়েই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।
বিপ্লব বড়ুয়া
বিপ্লব বড়ুয়াকে একরকম নিজের হাতেই গড়ে তুলছেন শেখ হাসিনা। গত মেয়াদে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক। এবার তিনি পদোন্নতি পেয়ে দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন। শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে তার নিবিড় সাহচর্যে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতা, বিচক্ষণতা এবং সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলো রপ্ত করছেন বলে জানা গেছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র নওফেল চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। যদিও এবার তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক নন, কিন্তু এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনিও শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহধন্য। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে তাকে রীতিমত গড়েপিঠে তুলছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতমেয়াদে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার তিনি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহধন্য। শেখ হাসিনা তাকে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ, উপদেশ দিচ্ছেন। আগামী দিনের নেতা হিসেবে যেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গড়ে উঠতে পারেন, সে ব্যাপারে শেখ হাসিনার বিরামহীন সাহচর্য রয়েছে।
এনামুল হক শামীম
এনামুল হক শামীম শেখ হাসিনার হাতেগড়া সাবেক ছাত্রনেতা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হিসেবে শেখ হাসিনাই তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও তাকে শেখ হাসিনাই দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে তাকে জাতীয় নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করছেন। গতমেয়াদে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই মেয়াদে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনা যে কয়জন তরুণদের বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে এনামুল হক শামীম অন্যতম।
নাহিম রাজ্জাক
প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাকও শেখ হাসিনার বিশেষ স্নেহধন্য। তাকেও শেখ হাসিনা আগামী দিনের নেতা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশের কয়জন নেতা আছেন যারা তরুণদের তৈরী করেন এবং তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য শ্রম এবং সময় দেন? শেখ হাসিনা এদিক থেকে একজন ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রনায়ক।
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।