নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
শনিবার দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন পাপিয়া। সেজন্য তিনি তার দলবল নিয়ে বিমানবন্দরেও গিয়েছিলেন ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার জন্য। তিনি বোডিং পাস গ্রহণ করেছিলেন। এরপরই তাকে ঘিরে ধরে র্যাবসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। তারা পাপিয়াকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পাপিয়া সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। পাপিয়া বলেন যে, ‘তোমরা জানো আমি কে?’
এর উত্তরে পাপিয়াকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্তারা বলেন যে, আপনি যে-ই হোন না কেন, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আমাদের সঙ্গে আপনাকে যেতে হবে। ২/৩ মিনিটের কথা কাটাকাটির পর পাপিয়া বুঝতে পারেন তিনি যে মেসেজ পেয়েছিলেন, তা সত্য। তখনই ভেঙে পড়েন পাপিয়া। কিন্তু কী মেসেজ পেয়েছিলেন পাপিয়া?
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা পাপিয়াকে ফোন করেন যার সঙ্গে পাপিয়ার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তিনি পাপিয়াকে জানান যে, তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জেনেছেন। তুমি যত দ্রুত সম্ভব, দেশ ত্যাগ করো। এই টেলিফোন মেসেজ পাওয়ার পরপরই পাপিয়া ওয়েস্টিন হোটেল ত্যাগ করেন এবং ঢাকায় তার বাসায় গিয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পাপিয়ার ২১ দফা টেলি কথোপকথনের তথ্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে এসেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় গোপন করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, পাপিয়া বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করতেন, তদবির বাণিজ্য করতেন, নিয়োগ বাণিজ্য করতেন। প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে তিনি ওয়েস্টিনে নিয়ে এসে নারী এবং মদ দিয়ে আকৃষ্ট করতেন। সেই সব ছবি তুলে পরবর্তীতে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করতেন। এরকম একটি ঘটনায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন পাপিয়া। সেই বিরোধের জের হিসেবেই ওই ব্যক্তি র্যাবসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করেন। পাপিয়া যে ওয়েস্টিন হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া নিয়ে যাচ্ছেন এ সম্পর্কে তথ্য প্রমাণও দেন তিনি।
জানা গেছে যে, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গেও পাপিয়ার সখ্যতা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পাপিয়ার একটি কাজ না করে দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে সময় পাপিয়া তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তার কাছে যে সমস্ত ছবি আছে সেগুলো ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে তাকে ‘বেইজ্জত’ করবেন। এই ব্যক্তি পরবর্তীতে নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্যই পাপিয়ার অপকর্ম সম্পর্কে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে জানান। এর পরপরই র্যাবের টিম অনুসন্ধান চালায় ওয়েস্টিন হোটেলে। তারা জানতে পারে, ৮২ লাখ টাকায় প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বুক করে দীর্ঘদিন ছিলেন পাপিয়া। এ সম্পর্কে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। সমস্ত তথ্য প্রমানাদি নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, পাপিয়ার নেটওয়ার্ক যত দীর্ঘ বিস্তৃত ছিল, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কারো কাছে এই তথ্যগুলো জানাতে বিশ্বাস পাচ্ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রমানাদি দেখার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন। অপরাধি যেই হবে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই ব্যাপারে তার (প্রধানমন্ত্রী) অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যখন পাপিয়ার এই ঘটনাটি জানলেন এবং নির্দেশনা দিলেন; সেই সময় কেউ না কেউ এই নির্দেশনার খবরটি জেনেছিলেন। তারপরপরই পাপিয়াকে এই তথ্য জানানো হয়েছিল যে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে। তিনি যেন গা ঢাকা দেয়।
জানা গেছে যে, প্রথমে পাপিয়া এমন তথ্য বিশ্বাস করেনি। পরবর্তীতে পাপিয়া বিশ্বাস করে দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ধরা পরেন।
যিনি পাপিয়াকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, ওই ৪৮ ঘন্টা পাপিয়া যাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাদের সবাই এখন গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তাদের সঙ্গে পাপিয়ার সম্পর্ক কি এবং কিভাবে তারা পাপিয়াকে সহযোগিতা করতেন এ সম্পর্কে তথ্যগুলো গোয়েন্দারা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করলেই পাপিয়া উত্থানের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন