নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৭ মে, ২০২০
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে চাপের মুখে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা এবং দূরদৃষ্টিতায় আস্থা রয়েছে জনগণের। আর এরকম পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ঈদের পর কি করেন সে অপেক্ষায় রয়েছিল জনগণ এবং রাজনৈতিক বোদ্ধারা। কিন্তু ঈদের আগে থেকেই শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। অযোগ্য, ব্যর্থ এবং যারা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না তাঁদেরকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে এটা খুব জানান দিয়ে নয়, রুটিন পরিবর্তন হিসেবে এই পরিবর্তনগুলো করা হচ্ছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, ইতিমধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন হয়েছে, সামনের দিকে আরো পরিবর্তন আসছে। শেখ হাসিনার এই শুদ্ধি অভিযানকে তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়।
১. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন
করোনা মোকাবেলায় সবথেকে বেশি দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছিল, মন্ত্রণালয়ে সমন্বয়হীনতা ছিল প্রকট এবং অনেকে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। আর এই অবস্থায় একই সাথে উঠেছিল দূর্নীতির অভিযোগ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিল যে, এন-৯৫ মাস্ক যেগুলো দেয়া হয়েছিল, সেগুলো যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সে এটাও বলেছিলেন যে, যারা সাপ্লাইয়ের মালগুলো দিচ্ছে তা যথাযথ কিনা যাচাইবাছাই করে দেখতে হবে। আর এরপরেই সিএমএইচডি’র পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে একরকম চ্যালেঞ্জ করেই আত্মপক্ষ সমর্থন করতে থাকে। ঈদের আগেই সিএমএইচডি’র পরিচালককে বদলি করে নতুন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবও পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং যেকোন সময় সচিব পরিবর্তন হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদেও পরিবর্তন আসছে বলে সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং নতুন সচিব আসার সাথে সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
২. মন্ত্রিসভায় রদবদল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সরকারকে আরো গতিশীল এবং বেগবান করতে মন্ত্রিসভায় রদবদল করবেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল বাজেটের আগে না পরে হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একাধিক সূত্র বলছে যারা পারফর্ম করতে পারছেন না, যারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছেন না এসমস্ত মন্ত্রীদেরকে দ্রুতই অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে এবং মন্ত্রিসভাকে গতিশীল করার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ার। কাজেই তিনি কখন এটা করবেন তা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন সরকারের একাধিক ব্যক্তি।
৩. প্রশাসনিক পরিবর্তন
সরকারকে গতিশীল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের উচ্চপদেও রদবদল করবেন বলে জানা গেছে এবং উচ্চপদে এই রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের সাথে আরো কয়েকজন সচিবের বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য প্রশাসনকে গতিশীল করা, আরো দায়িত্বশীল করা এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেন দূর্নীতির কোন অভিযোগ না আসে তা নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য যে, করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই সরকার প্রশাসনের উপর নির্ভর করে সঙ্কট মোকাবেলা করতে চাইছে এবং এই সময়ে অনেকের দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট নন। অনেকর এই সঙ্কট মোকাবেলায় যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল, সেই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এই সমস্ত বাস্তবতায় সরকার প্রশাসনের উচ্চপদে, বিশেষ করে সচিব, অতিরিক্ত সচিব পদে একাধিক রদবদল হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনার এই শুদ্ধি অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো করোনা সঙ্কটের প্রেক্ষিতে সামনে গিয়ে আমাদের যে কঠিন দিনগুলো আসছে, সেই কঠিন দিনগুলোতে যেন সরকার অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দ্রুত কার্যকর এবং দূর্নীতিমুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন