নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২০
করোনা নিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতি পার করছে আওয়ামী লীগ সরকার। সাড়ে ১১ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এই প্রথম ক্ষমতাসীন দলটি এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। আর এই পরিস্থিতি একাই সামলাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা সঙ্কট মোকাবেলার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাধানের পথ খুঁজেছে। আমলাদেরকেই গুরুত্বপর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমলাদেরকে নিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা সফল হয়নি বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আর এর ফলে আরেকটা সমস্যা হয়েছে তা হলো আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন, সরকারের নীতিনির্ধারনী কর্মকাণ্ডে তাঁদের উপস্থিতি অনেক কম। আর একারণেই আমলারা ঘাড়ে চেপে বসেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নেতারা চান কেন্দ্রীয় নেতাদের আরো সক্রিয় অংশগ্রহণ। আওয়ামী লীগের নেতারা চান যে, সভাপতি শেখ হাসিনার পাশে যেন নেতারা দাঁড়ান।
অনেকের মনেই প্রশ্ন যে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার কি কোন দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে? এমনটা মনে করেন না আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যে কাজ তাঁদেরকে দিচ্ছেন সেই কাজ তাঁরা করছেন। করোনা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই কাজ করছেন এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই করোনা পরিস্থিতিতে নিষ্ক্রিয়। তাঁদেরকে উদ্যোগী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতা আছেন যারা বিচক্ষণ, এরকম কঠিন সময় পার করতে তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। যেমন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ কিংবা বেগম মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতা করোনা সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এই ৩ নেতাই নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছেন। তোফায়েল আহমেদ তাঁর নির্বাচনী এলাকা ভোলায় ত্রাণ তৎপরতা এবং করোনা সঙ্কট মোকাবেলার জন্যে ঢাকা থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ভোলা অন্যান্য এলাকাগুলো থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁর অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা।
একই কথা আমির হোসেন আমুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমির হোসেন আমু বা তোফায়েল আহমেদকে এই সময়ে আরো সক্রিয় দেখতে চান আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। বেগম মতিয়া চৌধুরী কিছুটা সক্রিয় রয়েছেন। দলীয় অনেক কর্মকাণ্ডে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই কর্মকাণ্ড প্রকৃত মতিয়া চৌধুরীর ছায়ামাত্র বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। তাঁরা মনে করেন যে, মতিয়া চৌধুরীকে আরো সক্রিয় হওয়া দরকার। বিভিন্ন সঙ্কটের সময়, বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় বেগম মতিয়া চৌধুরীকে যেরকম উদ্যোমী এবং উদ্যোগী দেখা গিয়েছিল, এখন সেরকম উদ্যোম এবং উদ্যোগ দেখা যায় না বললেই চলে। সুতরাং তাকেও এই সঙ্কটে আরো বেশি সক্রিয় দেখতে চান আওয়ামী লীগের কর্মীরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শারীরিক অসুস্থতার জন্যে বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। তবে তাঁকেও আরো বেশি সক্রিয় দেখতে চান নেতাকর্মীরা। তিনি ঘরে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেন বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যুক্ত থাকেন, বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের মন্ত্রীদের বিভিন্ন খোঁজখবর রাখা উচিত বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির আগে ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। যখন পেঁয়াজ সঙ্কট দেখা দিয়েছিল তখন তিনি বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, গত বছর ডেঙ্গু প্রকোপের সময়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছিলেন। আওয়ামী লীগের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে সেভাবেই সক্রিয় দেখতে চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের কর্মীরা মনে করেন যে, ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে জনগণের মনে যদি কোন প্রকারের হতাশা তৈরি হয় বা সরকারের ব্যাপারে কোন প্রকার অস্বস্তি তৈরি হয় সেটার দায় আওয়ামী লীগের উপরেই আসবে, আমলাদের উপরে নয়। কাজেই এখন রাগ-অভিমান এবং কাকে মর্যাদা দেওয়া হলো, কাকে দেওয়া হলোনা- এসব বিচার-বিশ্লেষণ করার সময় নয়। এখন সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশে দাঁড়ানো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি সক্রিয় থাকে, সজাগ থাকে তাহলে যেকোন প্রকারের সঙ্কট থেকে সরকারকে মুক্ত করা সম্ভব হবে। আর এইজন্যেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সক্রিয় ভূমিকার দাবিতে ক্রমশ সরব হচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন