নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২০
লম্বা সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে গা ছাড়া ভাব চলে আসায় এবং সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন না করায় সাহেদের মতো অপশক্তিরা দলের ভেতরে ঢুঁকে পড়েছে বলে মনে করেন মির্জা আজম। বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে টানা ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জামালপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ এবং ২০০৮ সালে তার নিজ দল সরকার গঠন করার পর সরকারদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে তিনি শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
মির্জা আজম বলেন, ‘দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের চোখে বিষয়টা ধরা না পড়লেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখে বিষয়টা ঠিকই ধরা পড়েছে। তিনি এই উপলব্ধি থেকে ২ বছর আগে নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করার। আমরা এই প্রেক্ষিতে দলের বিভিন্ন প্রান্তে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাঁদের অব্যহতি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরপরেও অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন জায়গায় ঝুলে আছে। অনেক জায়গায় অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা সুযোগ পেলেই নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দুর্নীতি-অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাঁদের এই অপকর্মের জন্যে আমাদের দল প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং আমাদের ইমেজ নষ্ট হয়। এই কারণে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি, জিরো টলারেন্স। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল যারা দলের নাম ব্যবহার করে স্বার্থ উদ্ধার করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাঁর নির্দেশ রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন যে, ‘এই দলটাই এরকম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিও কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় পায়নি। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে দলের নির্বাচিত এমপিদেরকেও বহিষ্কার করেছেন। সেই দল করি আমরা। অর্থাৎ এমন দলে দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নেই। তবে এরপরেও দুর্নীতি হচ্ছে, হয়তো সামনেও হবে। কিন্তু আমাদের সচেতন থাকতে হবে যে কোন অনুপ্রবেশকারী কিংবা আমার দলের নেতাও যদি কোন দুর্নীতি করে থাকে সেটাকে প্রশ্রয় যেন না দেওয়া হয়।’
সাহেদের মতো প্রতারকরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে কিভাবে? দরজাটা কোথায়? এমনকি তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদও ব্যবহার করে নিজের নামের সঙ্গে, কিভাবে সম্ভব হয়? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের মিশনই থাকে দলে ঢোকার। এজন্য তারা ধীরে ধীরে নিজের ইমেজ বিল্ডআপ করে। আমি দেখেছি যে, সাহেদের ওঠাবসা ছিল সরকারী প্রশাসনের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, এমনকি দলের অনেক নেতৃবৃন্দর সঙ্গে। এভাবেই হয়তো কারো রেফারেন্সে দলে প্রবেশ করেছে। তবে যারা এদের দলে অন্তর্ভুক্ত করে, তাঁরাও দেখা যায় দলে হয়তো নতুন রাজনীতিবিদ। দেখা যায় সে নিজেও এইসব টাউট বাটপারদের ঠিকভাবে চেনে না। হয়তো কেউ রিকোয়েস্ট করেছে তা রক্ষা করার জন্য তাকে দলে প্রবেশ করানো হয়েছে। ঢোকার পরে এই সাইনবোর্ড বিক্রি করে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। একইসাথে সাহেদের মতো টাউট বাটপাররা যারা বিভিন্ন সময়ে এমএলএম ব্যবসা করে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। যাদের টাকা আত্মসাত করেছে তাঁরা তো এদেরকে চেনে। তাহলে যখন সাহেদ টক শো করে বেড়িয়েছে তখন এই মানুষগুলো, যাদের টাকা আত্মসাত করেছে এবং যারা সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাঁরা কেন কোন অভিযোগ করেনি? আমরা শুধু দেখেই গেলাম লোকটা টক শো করে যাচ্ছে। একটা প্রেস কনফারেন্স করেও তো বলতে পারতো তারা। কিন্তু কখনো তো এমন অভিযোগ করতে দেখলাম না। অতএব মানুষও হয়তো সাহস পায়না অভিযোগ করার। অনেকে ভাবে এত উপরের লোক তার সঙ্গে কিভাবে পারবো। কিন্তু এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আসলে সকলের মুখ খোলা উচিত এবং এদেরকে কোন উচ্চপর্যায়ে দেখলে সকলের দৃষ্টি টানা উচিত এবং তাঁরা মুখ খুললে কিন্তু সাহেদের মতো প্রতারকরা এতদূর আগাতে পারতো না।’
আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া কি, যে কেউ চাইলেই প্রবেশ করতে পারেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন যে, একজন সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়াটা সাধারণত হয়ে থাকে একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে। ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারী তাদের কাছে আমাদের যে সদস্য সংগ্রহ ফরম আছে তা পূরণ করতে হয়। পরবর্তীতে তা যাচাই বাছাই করে তাকে সদস্যপদ দেওয়া হয়। তবে উচ্চপর্যায়ে, যেমন সাহেদ আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকিমিটির সদস্য নাকি হয়েছিলো। সেখানে আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকিমিটির যিনি আহ্বায়ক এবং সেক্রেটারি হয়তো রাজনীতিতে নতুন, যারা সাহেদকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাঁরা হয়তো কারো অনুরোধ রাখতে গিয়ে এটা করেছে এবং তাঁরা নিজেরাও যেহেতু নতুন তাই সাহেদের মতো টাউট বাটপারদের চিনতে পারেনি।
তিনি মনে করেন. সাহেদের মতো দুর্বৃত্তদের দলে ঢোকা বন্ধ করতে সকলকে সজাগ থাকা উচিত। নতুন কাউকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাঁর অতীত, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, পারিবারিক পরিচয়সহ সকল কিছু জেনে তাঁকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যদি আমরা সবাই সচেতন থাকি তাহলে সাহেদের মতো লোকরা আমাদের দলে ঢুকতে পারবে না।
সাহেদ প্রকাশ্য হয়েছে। এখনো এমন অনেক সাহেদই দলের মধ্যে আছে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর বলেন,‘সাহেদের মতো আরো যারা এখনো দলের ভেতরে রয়েছে তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করতে হবে, যার বিরুদ্ধে যা তথ্য আছে তা গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসা উচিত। তাহলে তার বিরুদ্ধে নিশ্চিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সবাই যদি চুপ থাকে, তার বিরুদ্ধে কথা যদি কেউ না বলেন, তার বিরুদ্ধে তথ্য যদি কেউ প্রকাশ না করে তাহলে এসব অনুপ্রবেশকারীরা দলে খুঁটি গেড়ে বসবে এবং নিজেদের পুরনো আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচয় দিবে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে সুযোগ পেলেই অপকর্ম করতে থাকবে এবং তখন দলের ইমেজ নষ্ট হবে।
টানা সাড়ে ১১ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামাতের এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে মির্জা আজম বলেন, এর আগেও বিভিন্ন শুদ্ধি অভিযানে ছাত্রলীগের উচ্চপদে ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের অনেককে খুঁজে বের করে বিতাড়িত করা হয়েছিল। তবে আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ, তাঁর শ্রম-মেধা-দুরদর্শীতার কারণে আজকে আমরা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণেও অনেক নেতাদের মাঝে গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে, অনেকে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় যার যা দলের জন্য সঠিক দায়িত্ব পালন করে না। ফলে এই ধরণের অপশক্তি বিভিন্ন সময়ে দলের ভেতরে অবস্থান করে নেয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি এভারকেয়ার হাসপাতাল তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।
জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।
এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।
শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।
আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।
কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ তৃণমূল উপজেলা নির্বাচন রাজনীতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান জাহিদ মালেক মোস্তফা কামাল
মন্তব্য করুন
এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়া বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন