নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২০
রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক প্রতারক সাহেদকে নিয়ে এখন মিডিয়া সরগরম। এই মিডিয়াতেই সাহেদ সুশীল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আর সাহেদকে অনেকে এখন আওয়ামী লীগের নেতা, কিভাবে আওয়ামী লীগে এসেছে এই ধরণের নানান প্রশ্নে বিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন এবং তাঁরা মনে করছেন যে এটা আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা। কিন্তু বাংলা ইনসাইডার এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সাহেদ আসলে আওয়ামী লীগার হয়েছেন আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে।
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশে আমলাতন্ত্র জাঁকিয়ে বসেছে। বাংলাদেশের অনেক আমলারাই এখন আওয়ামী লীগের থেকে বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে, রাজনীতিবিদদের থেকে বড় রাজনীতিবিদ হয়ে গেছেন। কোন কোন আমলা তো আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক হিসেবে আবির্ভূত হন এবং দল কিভাবে চলবে না চলবে সে বিষয়েও ফতোয়া দেন। এই আমলারা ২০১৪ এর নির্বাচনে যেভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিল, ২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও আমলাতন্ত্রের দাপট দেখা গিয়েছিল। আমলাদের দাপটে অনেক রাজনীতিবিদরা কোণঠাসা হয়ে গেছেন। অনেক আমলারাই মনোনয়ন কে পাবে না পাবে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং তথাকথিত জনপ্রিয়তার জরিপ রিপোর্ট তৈরি করে শেখ হাসিনার হাতে দিয়ে তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিদেরকে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। এই সমস্ত আমলাতন্ত্রের দুষ্ট চক্রের ঔরসে প্রতারক সাহেদের জন্ম বলে আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যত দুষ্টু চক্র তৈরী হয়েছে তাদের একটি বড় অংশ এই আমলাদের হাত ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুর্ভাগ্য হলো ২০০৯ থেকেই এমন অনেক আমলা যারা আগে জিয়ার সৈনিক ছিলেন কিংবা বিএনপি- জামাতের পদলেহন করেছিলেন তারা এখন আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। নব্য আওয়ামী লীগার হয়ে তারা দল কিভাবে চলবে এবং কারা মনোয়ন পাবে এসব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ শুরু করে। বিশেষ করে স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের পছন্দের রাজনীতিবিদদের লালন পালন এবং পৃষ্টপোষকতা প্রদান শুরু করেন। আর এভাবেই আমলাতন্ত্রের কিছু দুর্বৃত্ত জারজ অবৈধ সন্তান রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। সাহেদের রাজনীতিতে প্রবেশ তেমনি একটি ঘটনা বলেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমে তিনি আওয়ামী লীগার হননি, প্রথমে তিনি আমলাদের পদলেহি চাকর হিসেবে ছিলেন। আমলারা তাদের বিভিন্ন রকম অনৈতিক অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্যই সাহেদকে ব্যবহার করতেন।
মজার ব্যাপার হলো, যে সমস্ত আমলারা বাহ্যত সৎ এবং নিবেদিত বলে নিজেদের জাহির করতেন তারাই আসলে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড করতেন এই সাহেদদের ব্যবহার করে। সাহেদদের ব্যবহারের জন্য তাদের একটা পরিচয় দেওয়ার দরকার হতো। তখন তারা রাজনৈতিক পরিচয় দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রায় ৫ বছর থাকা এক আমলা যিনি সাহেদকে তৈরী করেছেন। সাহেদ তার কাছে কিভাবে গেলেন এবং কিভাবে ঘনিষ্ঠ হলেন সেটি নিয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ দেখা গেছে ওই প্রভাবশালী আমলা আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতার চেয়েও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেন। এবং এই ক্ষমতাবান হওয়ার কারণেই সেই আমলা রাজনৈতিক সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ শুরু করেন। তার মাধ্যমেই সাহেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটিতে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ওই প্রভাবশালী আমলার কক্ষে সাহেদ প্রতিনিয়ত থাকতেন এবং তার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সবার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। ওই আমলা তার পদ ব্যবহার করে সাহেদকে বিভিন্ন জায়গায় সরকারী প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতেন। তাকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিতেন। সাহেদ ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত হওয়ার পরও ওই আমলার কারণে সবাই তথ্য গোপন করে। ওই প্রাক্তন আমলার কারণেই সাহেদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুক্তি করেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাজেই আমলাতন্ত্র যখন রাজনীতিতে মাখামাখি করে, আমলাতন্ত্র যখন রাজনীতির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে তখন তার পরিণতি যে কি ভয়াবহ হয় সাহেদ হলো তার একটি বড় উদাহরণ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।