নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২০
শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে গেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা এবং আদেশের কারণেই গ্রেপ্তার হলেন প্রতারক সাহেদ এবং এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ১ সপ্তাহ যাবত সাহেদ গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান কেন গ্রেপ্তারে দেরি হচ্ছে। এই ব্যাপারে শুধু সাহেদ নয়, সাহেদের সঙ্গে যারা যারা সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কাউকেই ছাড়া হবেনা। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিভাবে সাহেদ জড়াল, আওয়ামী লীগে কারা সাহেদকে নিয়ে আসলো বা কারা সাহেদকে বিভিন্ন উপকমিটিতে স্থান দিলো সে ব্যাপারেও খোঁজ নিতে দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, এই ধরণের অপকর্ম কিভাবে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অবিলম্বে তিনি সাহেদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং সাহেদ যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পান সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সরকারের যে অর্জন এবং করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে এরকম হাতেগোনা দু-একটি অপকর্মকারীর খারাপ কাজের জন্য। এই পরিস্থিতি যেন না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এখন কাজ করছে। শুধু সাহেদ একা না, সাহেদের মতো আরো যারা বিভিন্ন রকম অপকর্ম করছে তাঁদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। সূত্রগুলো আরো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের এই অপকর্মের পর প্রধানমন্ত্রী বিষ্মিত হন এবং করোনার সময়ে এই ধরণের দুষ্কর্ম মানুষ কিভাবে করেন সেই প্রশ্ন তিনি করেন এবং এর পরপরই সাহেদকে আইনের আওতায় দ্রুত আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয় এই করোনার সময় যারা অপকর্ম করেছে, দুষ্কর্ম করেছে তাঁদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাহেদের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট ছিল এবং সেখানে প্রভাবশালী মহলের কেউ সম্পৃক্ত ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে এবং এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাঁদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এখানে যদি আওয়ামী লীগের কোন ব্যক্তিও থাকে বা প্রভাবশালী কোন সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত থাকে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন যে, সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হবে এবং সেখানে দেখা হবে যে সাহেদের সঙ্গে কারা কারা সম্পৃক্ত ছিল। এখানে কারো পরিচয় দেখা হবে না, যারা সম্পৃক্ত তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয়, কোন অপকর্মকারীকেই ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।