নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি সেতু মন্ত্রীও বটে। করোনা সংকটের শুরু থেকে তিনি খুব বেশি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হন না। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক কর্মসূচীগুলোতে তিনি যান। বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য, বিবৃতি দেওয়াই মূলত তাঁর প্রধান কাজ। এ সমস্ত বক্তব্য বিবৃতিতে তিনি যত রাজনৈতিক বিষয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বিষয় আনেন, ততোটা নিজের মন্ত্রণালয়ের বিষয় আনেন না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। তার মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধিও অনেক বড়। এজন্য তার মন্ত্রণালয়ে যে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাগুলো হচ্ছে, সেগুলোর দিকেও তার এখন নজর দেওয়া উচিত। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও রাজনৈতিক বক্তব্যের পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রণালয়ের অনিয়মগুলো দূর করার ক্ষেত্রেও তার কার্যকর অ্যাকশন মানুষ প্রত্যাশা করে।
করোনা সংকটের শুরু থেকেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঘিরে নানা রকম সমন্বয়হীনতা ও জগাখিচুড়ি চলছে। এক্ষেত্রে কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেওয়া যায়।
১। বাড়তি ভাড়া অথচ গণপরিবহনে নেই স্বাস্থ্যবিধি
করোনাকালীন সময়ে কিছুদিন গণপরিবহন বন্ধ ছিল। তারপর সরকার যখন গণপরিবহন শর্ত সাপেক্ষে চালু করল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালাতে হবে। সেখানে একজন ব্যক্তির আসনের সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তির আসনের দূরত্ব নির্ধারণ করে দেওয়া হল। তখন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা মিলে গণপরিবহনের নতুন ভাড়া ধার্য করলেন। নতুন ভাড়া বাড়ানো হল ৬০ ভাগ। অথচ এখন গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। মানুষ গাদাগাদি করে বাসে এখান থেকে ওখানে যাচ্ছে। অথচ তারা ভাড়া দিচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। এই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
২। পরিবহনে মৃত্যুর মিছিল
বাংলাদেশে করোনা সংকটের সময়ে পরিবহনে মৃত্যুর হার কমেনি। গণপরিবহন ও স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের মৃত্যু। এই সমস্ত মৃত্যুগুলোর কোথাও কোথাও স্রেফ দায়িত্বহীন অপ্রশিক্ষিত চালকের কারণে হচ্ছে। এখনো পরিবহন ব্যবস্থায় একটা স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। অথচ একের পর এক মৃত্যু, সে ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এখন পর্যন্ত কোন নজরদারি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গতকাল সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য বুলেটিন বন্ধ করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তত দুইদিন হলেও স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার করা উচিত। কিন্তু সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষ মনে করেন যে, প্রতিদিন সড়কে মৃত্যুর বুলেটিন প্রচার করা দরকার। কত নিরীহ মানুষ প্রতিদিন সড়কে মৃত্যুবরণ করছে, তার সংখ্যাও মানুষের জানার অধিকার আছে।
৩। নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থতা
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার নতুন সড়ক আইন করেছিল। কিন্তু সেই নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন করতে যেয়ে প্রথমে হোঁচট খায় সরকার। এরপর এই আইন ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই নতুন আইন বাস্তবায়নের কোন আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন আইন কি আদৌ আছে নাকি সেটি কেবল সংসদে পাশ হওয়া কাগজ মাত্র সে নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
কাজেই আমাদের সড়ক এখনো নিরাপদ নয়। এখনো চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। এখনো গণপরিবহনে ভাড়ার স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হয়নি। আর এসব বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া এখন জরুরী। ওবায়দুল কাদের কেবল শুধু সেতু মন্ত্রী নন, তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বটে। সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কাজেই তার মন্ত্রণালয়েই যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর কাছ থেকে আমরা সুশাসন কিভাবে প্রত্যাশা করব?
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।