নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সিদ্ধান্তটা আকস্মিক ছিল, দুইদিন আগেও ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভার্চুয়াল এই সাক্ষাৎকারের পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং আন্তরিক। রক্তের ঋণের বন্ধনে দুই দেশ আবদ্ধ। কিন্তু তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল। এই সিদ্ধান্তটি এতোই আচমকা ছিল যে, বাংলাদেশ এর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। কারণ গত কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। এর সতর্কতা হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একাধিক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে আর ১৫-২০ দিন পর এই সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়ত না। এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতীতের অভিজ্ঞতায় শুরু থেকেই প্রস্তুত ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যাপারে প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল। কিন্তু সে সমস্ত পেঁয়াজ আসার আগেই ভারতের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে।
গত বছর একই কারণে ভারতের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা উঠেছিলো। প্রশ্ন উঠেছে, কি কারণে হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একাধিক কারণ বের হচ্ছে। যদিও ভারত থেকে বলা হচ্ছে যে, তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট। তাদের দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কূটনীতিক মহল মনে করছেন, এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কূটনীতিক টানাপোড়েনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে সফরে আসেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া হিসেবেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এর পেছনে যে কারণগুলো থাকতে পারে বলে মনে করছে তারমধ্যে রয়েছে;
নেপালে সার রপ্তানি
ভারত সাম্প্রতিক সময়ে নেপালে সার রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। সুস্পষ্টভাবে নেপালের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ নেপাল ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমান্ত খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। এটা ভারত সহজভাবে নেয়নি এবং এইজন্য ভারত নেপালে সার রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। আর এই সময়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। বাংলাদেশ থেকে সার নেওয়ার জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে নেপালকে সার দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হন এবং এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করেন। একাধিক সূত্র বলছে যে, বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত ভারত পছন্দ করেনি।
চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক
চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কথাবার্তা হচ্ছে এবং এই নিয়ে ভারতের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কথা প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সার্ভিলেন্স সিস্টেমের কাজটি চীনা কোম্পানির পাওয়া, সিলেট বিমানবন্দরের কাজ চীনা কোম্পানির পাওয়ার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে একটি শীতলতা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তিস্তায় গভীর জলাধার নির্মাণ
ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই ঋণচুক্তির আওতায় ভারতের সীমান্তবর্তী তিস্তার দুই পাশে গভীর জলাধার নির্মাণ করা হবে। যেখানে বর্ষা মৌসুমে পানি জলাধারে সংগ্রহ করা হবে এবং তা শুকনো মৌসুমে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে তিস্তার পানি চুক্তি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে এবং এই নিয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না বাংলাদেশকে। একাধিক সূত্র বলছে যে, ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে এই বিষয়ে কথা হয়েছিল এবং হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলার বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয় ছিল এটা। কিন্তু এই ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত ইতিবাচক সাড়া পায়নি।
আর এই সমস্ত কারণেই বাংলাদেশের উপর একটা চাপ সৃষ্টির জন্যে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও দুই দেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে যে পেঁয়াজ কূটনীতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে ভারতের একান্তই খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্যে। এই বিষয়টি ভারতের ফরেন ট্রেডের একটি অংশ। ভারতে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্যেই এটা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যাই হোক না কেন, পেঁয়াজ নিয়ে যে একটা রাজনীতি আছে তা মন করে বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন