নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০২০
ম্যাজিক টুথ পাউডারের বিজ্ঞাপনের কথা মনে আছে? শাশুড়ী পুত্র বধুকে নোংরা ভাষায় গালি দেয়। পুত্রবধু বলেন ‘আপনার মুখে এতো দুর্গন্ধ কেন? এই নেন ম্যাজিক টুথ পাউডার।’ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি কারো ‘দুর্গন্ধ’ মুক্তির জন্য ম্যাজিক টুথ পাউডার লাগে তাহলে সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন ‘পতিত’ রাজনীতিবীদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। এক সময় স্বৈরাচারের এই পদলেহী নোংরা বক্তব্যের জন্য আলোচিত হয়েছিলেন।
সময়টা ১৯৯০ সাল। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তীব্র। এসময় শাহ মোয়াজ্জেম এক বক্তৃতায় বললেন ‘ দুই মহিলা মিলিত হলে কিছুই উৎপাদন হয় না।’ সেসময় এরশাদের বিরুদ্ধে দুই নেত্রীর ঐতিহাসিক ঐক্যের প্রেক্ষাপটে শাহ মোয়াজ্জেম এই কদর্য মন্তব্য করেছিলেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে নোংরা উক্তি। এই উক্তির মতোই নোংরা, কদর্য এবং দুর্গন্ধময় শাহ মোয়াজ্জেমের রাজনৈতিক জীবন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন এই পতিত রাজনীতিবিদ।
৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর খুনী মোশতাকের ঘনিষ্ঠদের তালিকায় তার নাম ছিলো উপরের দিকে। খুনী মোশতাকের মন্ত্রী সভায় ঠাই পান এই বহুরূপী রাজনীতিবিদ। এরপর এরশাদের পদলেহীতে পরিণত হন। এরশাদকে খুশী করতে এমন কিছু নেই, যা শাহ মোয়াজ্জেম করেননি। তবে সবথেকে আলোচিত ছিলো একটি ঘটনা।
এরশাদের মা মারা গেছেন। পারিষদসহ এরশাদ গেলেন রংপুরে। মায়ের কবরে দোয়ার সময় কান্নার প্রতিযোগিতা হলো কাজী জাফর আর শাহ মোয়াজ্জেমের। কান্নার তীব্রতা দেখে এরশাদও অবাক হলেন। তারপর বললেন ‘এই মোয়াজ্জেম তোমার মা মারা যায় নি।’ এরশাদের পতনের পর আর বেশী দিন জাতীয় পার্টি করেননি। ডিগবাজী দিয়ে যোগদেন বিএনপিতে। এখন তার মতো ডিগবাজী রাজনীতিবীদের কদর কমে গেছে। আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। খুনীর দোসরের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা তো চিরদিনের জন্য বন্ধ। জাতীয় পাট্টিও এই আপদকে আর নিতে চায় না। আর তাই বিএনপিতে উপেক্ষিত হয়ে, সেখানেই আছেন। আদর্শহীন রাজনীতির এক বড় উদাহরণ হলেন এই ব্যক্তিটি। এক সময় খালেদা জিয়াকে নোংরা ভাষায় আক্রমন করা ব্যক্তিটিই এখন বিএনপির নেতা। বিএনপির রাজনীতিতে যেমন আদর্শের বালাই নেই তেমনি শাহ মোয়াজ্জেমেরও। কিন্তু এখন আলোচনায় আসতেই আবার বিএনপির সমালোচনা করছেন। বিএনপি নেতারা বলেন, যে পাত্রে খায়, সেই পাত্রে মল ত্যাগই শাহ এর রাজনীতি। আওয়ামী লীগ করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানী করেছে। জাতীয় পার্টি করে এরশাদের সঙ্গে বেঈমানী করেছে, এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও গাদ্দারী করছে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।