নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
করোনা সারা দেশে সামাজিক অস্থিরতা এবং পুলিশ বাহিনীর চাপে থাকার সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে জামাত-শিবির। সারাদেশে সন্ত্রাস, নাশকতার মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির এক পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগুচ্ছে। একদিকে জামাত-শিবির বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন ও নেটওয়ার্ক গুলোকে তৎপর করছে। অন্যদিকে সংগঠন পূণ: গঠন ও ঝটিকা কর্মসূচী পালন করছে। একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে জামাতের মজলিশে সুরার এক ভাচুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামাতের আমীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে তিন দফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত গুলো হলো:
১. প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত জনসংযোগ বাড়াতে হবে।
২. সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি এসব তথ্য সংগ্রহ করে জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে।
৩. প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।
ঐ বৈঠকের কার্য-বিবরণী জেলা পর্যায় পযৃন্ত পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। এরপর থেকেই জামাত সারাদেশেই প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঝটিকা মিছিল, কর্মী সভা করছে। প্রকাশ্য এই তৎপরতার বাইরে জামাতের পাঁচ নেতাকে বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে আইন শৃংখলা বাহিনীর জঙ্গী বিরোধী লাগাতার সাড়াশি অভিযানের কারণে অধিকাংশ জঙ্গী সংগঠনের নেটওয়ার্ক দূর্বল হয়ে গেছে। অনেক জঙ্গী সংগঠন নিস্ক্রিয় হয়েছে। এগুলোকে চাঙ্গা করতে চায় জামাত-শিবির।
সে লক্ষ্যে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জামাত নেতারা যোগাযোগ করছে। জানা গেছে, জামাতের লক্ষ্য দুটি:- প্রথমত, রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে জামাতকে শক্তিশালী করা। দ্বিতীয়ত, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মজলিশে সুরার সভায় বলা হয়েছে, নানা কারণে এখন সরকার চাপে আছে। এই চাপ বাড়াতে হবে। জামাত মনে করছে করোনা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে জনগণ এই সরকারের উপর আস্থা হারাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, জামাত নেতারা এটাও কর্মীদের বলছে যে, সিনহা হত্যাকান্ড সহ বিভিন্ন ঘটনায় এখন আইন শৃংখলা বাহিনী চাপের মধ্যে আছে। কাজেই এখন জামাতের বিরুদ্ধে অভিযান স্তিমিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এখন, জামাত গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তারা নানা ইস্যু সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে সরকার বিরোধী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।
তবে, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অপতৎপরতা সম্পর্কে আমরা সচেতন এবং সজাগ। এদের দুরভিসন্ধি কখনও সফল হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।