নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১২৪ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ১৬ নভেম্বর সভাপতি হিসেবে নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আফজাল বাবুর নাম ঘোষণা করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা
কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা
সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গোলাম সারোয়ার মামুন, অ্যাডভোকেট তাপস পাল, নজরুল ইসলাম মহসিন, এনাম-ই-খুদা জুলু, মো. আবু তাহের, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, আশীষ কুমার মজুমদার, মো. নুরুজ্জামান, মো. টুলু বিশ্বাস।
সভাপতি: নির্মল রঞ্জন গুহ
সহ-সভাপতি
গাজী মেজবাউল হোসেন সাজু, আব্দুর রাজ্জাক, তানভির শাকিল জয়, নির্মল চ্যাটার্জী, কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, মজিবর রহমান স্বপন, শামীম শাহরিয়ার, দেবাশীষ বিশ্বাস, সুব্রত পুরকায়স্থ, আব্দুল আলিম বেপারী, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, মো. নাসির, ফারুক আমজাদ খান, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী সাহানারা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাইদা, কৃষিবিদ আব্দুল সালাম, অ্যাডভোকেট মানিক ঘোষ, ডা. আসাদুজ্জামান খান রিন্টু।
সাধারণ সম্পাদক: এ কে এম আফজালুর রহমান
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
মোবাশ্বের চৌধুরী, এ. কে. এম. আজিম, খায়রুল হাসান জুয়েল
সাংগঠনিক সম্পাদক
নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, আরিফুর রহমান টিটু, ফরিদুর রহমান ইরান, মো. শাহজালাল মুকুল, নুরুল ইসলাম রাজা, মেহেদি হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান।
প্রচার সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম বিটু
দপ্তর সম্পাদক: আজিজুল হক আজিজ
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক: কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম আবুল
আইন বিষয়ক সম্পাদক: ড. ওয়াহিদুজ্জামান টিপু
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: মো. আক্তার হোসেন ভূঁইয়া মিরন
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক: ডা. আলী আবরার
তথ্য-গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক: আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার
সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: এস এম সিহাবুজ্জামান
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক: মো. শফিকুল ইসলাম (শফিক) - গাজীপুর
বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: আহাম্মদ উল্লাহ জুয়েল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: ইঞ্জি. কোবাদ হোসেন
সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: হাসান মতিউর রহমান
কৃষি বিষয়ক সম্পাদক: সারারা মোর্শেদ আকন্দ জাস্টিস
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: সাইফুর রহমান ছিন্টু
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক:
ডিজিটাল আর্কাইত ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: এম, এ, হান্নান
প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক: সুমন জাহিদ
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট শাহিনুল ইসলাম
শিশু ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: মেহেদী হাসান লিটু
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক: ওবায়দুল হক খান
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: ফয়সাল আহসান উল্লাহ
মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট জুয়েল আহমেদ
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক: মোস্তফা কামাল মনি
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: সাকিল আহম্মেদ জুয়েল
প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: আনোয়ার পারভেজ টিংকু
শিল্প বিষয়ক সম্পাদক: নজিবুর রহমান নিপু
বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক: আনোয়ারুল আজিম সাদেক
শ্রম বিষয়ক সম্পাদক: ইফতেখার হোসেন পলাশ
পাট ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক: আশিষ কুমার সিংহ
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: ইঞ্জি. মাহাবুবুর রহমান হেলাল
পানিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: রাহুল বড়ুয়া
প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: সাখাওয়াত হোসেন কবির
উপ-প্রচার সম্পাদক: মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব
উপ- দপ্তর সম্পাদক: অ্যাডভোকেট মনির হোসেন
উপ-দপ্তর সম্পাদক: রাহুল দাস
উপ- গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক: খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম সোহাগ
উপ-আইন সম্পাদক: অ্যাডভোকেট জিসান মাহমুদ
উপ-আইন সম্পাদক: ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ হাসিব
উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: বরদা ভূষন লিটন
উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক:
উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক: ডা. জয় হাজরা
উপ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: মোখলেছুর রহমান সুমন
উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক: মর্তুজা হায়দার শরীফ
উপ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: রাজিব মজুমদার রাজু
উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক: আফসারুজ্জামান
উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: উর্মি ঢালী
উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: শ্যামল গোস্বামী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক: এস.এম. মনিরুল ইসলাম মনি
উপ-প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক: ওয়াহেদুল ইসলাম সজিব
উপ-মানবাধিকার ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: আমিনুর রহমান সোহেল
উপ-শিশু ও পরিবার সম্পাদক: মেহেদি শিকদার
উপ-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক: তানভির আকতার সিপার
উপ-যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: মো. জসিম উদ্দিন মাদবর
উপ-মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: ফারুক হোসেন মুন্না
উপ-স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক: আবদুল্লাহ হেল কাফি
উপ-প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: ডা. উম্মে সালমা মুনমুন
উপ-পাট ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক: তারেক মাহমুদ চৌধুরী পাপ্পু
উপ-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: আফরোজ হাবিব
উপ-পানিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: মো. জামিল আহমেদ
উপ-প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: দেলোয়ার হোসেন
উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক: শাহ আলম সিকদার জয়
সদস্য
সুখেন্দ্র বৈদ্য, ডা. আব্দুস সালাম, মুর্তজা রাশেদ, গোলাম রাব্বানী, মোদাব্বের হোসেন শাহিন, মঞ্জু মোল্লা, জাকির হোসেন কিরণ, জহুরা পারভিন জয়া, অ্যাডভোকেট তপু গোপাল ঘোষ, হুমায়ন পাটোয়ারি, অ্যাডভোকেট দিপ্তিস হালদার, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, কাজী শরীফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহেদুল আলম জাহিদ, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, আব্দুল বাসেত গালিব, রফিকুল হায়দার চৌধুরী, আসিফ মোহাম্মদ জলি, মফিজুল ইসলাম ঢালী, নাসির উদ্দিন শিশির, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, অ্যাডভোকেট আয়মুল হাসান সুমন, রাজিবুল হাসান, ইসতিয়াক আহমেদ লিন, ব্যারিস্টার এনায়েত বাতেন রাসেল, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, মো. আজগর আলী, আবুল কালাম শিকদার, আদনান সুমন, নাবিলা নুহাত চৈতী, তৌহিদুর রহমান সেলিম, ইফতেখারুল ইসলাম সুজন, মো. শামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবু, সৈয়দ এহতেশামুল হক সুমন, শাহাবুদ্দিন চঞ্চল, আবু জাফর, ডা. রাজিব সাহা, জেসমিন আক্তার, মাশরুল আলম মিলন, জাভেদ মাসুদ, মির্জা সাফায়েত জাহান পলাশ, মো. তাহেরুল ইসলাম তাহের, মোহাম্মদ ফয়সাল, মো. মনির হোসেন, আরিফুল রহমান আরিফ, মিজানুর রহমান বোখারি আজম, শাহিন আহমেদ চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম মুন্সি এবং শহীদুল হক সুমন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ১৯৯৭ সালের তৎকালীন সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে আহ্বায়ক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রথম কমিটি গঠিত হয়।
২০০২ সালে প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাধারণ সম্পাদক হন পঙ্কজ দেবনাথ। সর্বশেষ ২০১২ সালে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি ও পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি প্রায় ১৭ বছর ধরে সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।